Holy Sonnets: Batter my heart, three-person’d God by John Donne
মূল কবিতা (অনুবাদ)
কবিতার সারসংক্ষেপ
কবি জন ডান কৃত “Holy Sonnets” গুচ্ছের এটি পনেরোতম কবিতা। কবি এখানে মহান ঈশ্বরের কাছে আবেদন করেছেন, তিনি যেন তাঁর ভেতরের সকল পঙ্কিলতা আর আবিলতাকে সবলে আঘাত করে দূর করে দেন। কবির হৃদয়ে ঠাঁই নিয়েছে অশুভ শয়তান, এই শয়তানের কবল হতে নিজেকে মুক্ত করতে চান কবি। কবি মনে করেন মহান ঈশ্বরের স্পর্শ পেলেই সকল অশুভ দিকগুলো পালিয়ে যাবে। শুভ দিকগুলো স্থান করে নেবে কবির হৃদয়ে। কবি আকুলতা সহকারে কামনা করেছেন ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ। কবি মনে করেন তাঁর হৃদয়টা যেন একটা শহরের মতো, যে শহরটা দখল করে রেখেছে অশুভ শয়তান। কবি চান কোনো ন্যায়পরায়ণ শাসক এসে যেন এই শহরের দখল নিয়ে কবিকে অশুভ বিষয় হতে মুক্ত করেন। কবি এখানে ন্যায়পরায়ণ শাসক বলতে ঈশ্বরের আগমনকেই কামনা করেছেন। কবি শেষে বলেন, তাঁর যাত্রা শুধুমাত্র মহান ঈশ্বরকেই লক্ষ্য করে । কবির এই বিশ্বাস প্রবল যে একমাত্র মহান ঈশ্বরই কবিকে মুক্ত করতে পারেন সব রকম অশুভ শক্তি হতে, শয়তানের কবল হতে। মহান ঈশ্বরই পারেন কবির হৃদয়কে আবিলতা মুক্ত করতে ।
কাব্যিক মূল্যায়ন
কবি শুরুতেই ঈশ্বরের কাছে আবেদন করেছেন, ঈশ্বর যেন তাঁর হৃদয়ে জোরালো আঘাত করে হৃদয়ে সুমধুর নির্মল হাওয়া বইয়ে দিয়ে অন্তকরণকে পরিচ্ছন্ন করেন। কবি বলেন, মহান ঈশ্বর যদি তাঁর ভেতরের কলুষতা দূর করে তাঁর মাঝে পরিশুদ্ধতা আনেন তাহলে তিনি সেই স্পর্শ লাভ করে নবজীবন নিয়ে, নতুন করে নির্মল মানব রূপে দণ্ডায়মান হবেন। কবি এটা অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, তাঁর অন্তরে শয়তানরূপী পাপাত্মা বাসা বেঁধেছে। তিনি তাঁর হৃদয়কে তুলনা করেছেন এক শহরের সাথে, যে শহর অরাজকতা, কলুষতা আর আবর্জনায় পূর্ণ। কবি চান কোনো পুণ্যবান শাসক, সাহসী শাসক এসে সেই আবিলতাপূর্ণ শহরকে দখল করে, সমস্ত আবর্জনা দূর করে, কলূষমুক্ত করে সে শহর শাসন করুক । কবি আসলে এখানে শাসক রূপে মহান ঈশ্বরকেই চাচ্ছেন। তিনি বলেন, মহান ঈশ্বরকে তিনি আকুলভাবে কামনা করেন, একমাত্র মহান ঈশ্বরই পারেন তাঁর হৃদয় জনপদের সকল ময়লা নোংরা দিকগুলো দূর করে দিতে। কবি সর্বদাই এটা স্মরণে রাখেন যে মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সবগুলোরই নিয়ন্ত্ৰক মহান ঈশ্বর। মহান ঈশ্বরই মানব সত্তার নিয়ন্ত্রক। কবি চান ঈশ্বর যেন তাঁর সকল ইন্দ্রিয় মাঝে অবস্থান করে সঠিক সরল পথ প্রদর্শন করান। অন্তর হতে অশুভ শক্তিকে তাড়িয়ে সে স্থানে যেন তিনি গড়ে তোলেন অসাধারণ সুন্দর পুণ্যস্থান, আর সে পুণ্যভূমিতে যেন গড়ে তোলেন এক মহিমময় শুভ আবাসস্থল । কবি হতাশাগ্রস্ত এ কারণে যে, তাঁর হৃদয়ের আবাসস্থলে শয়তান নিবাস গড়েছে, কবি চান ঈশ্বর যেন তাঁকে সহজ সরল পথ প্রদর্শন করেন। শয়তান যেন কবিকে চারপাশ হতে কঠিন শৃংঙ্খলে আটকে রেখেছে, কবি চান ঈশ্বরের শক্তি যেন শয়তানের সে শৃংঙ্খল বেড়ী ভেঙ্গে দিয়ে তাঁকে মুক্ত করেন। মুক্ত করে, পুণ্যের পথে, আলোর পথে নিয়ে আসেন ৷