Easter Wings by George Herbert
Lord, who createdst man in wealth and store,
Though foolishly he lost the same,
Decaying more and more,
Till he became
Most poore:
With thee
O let me rise
As larks, harmoniously,
And sing this day thy victories:
Then shall the fall further the flight in me.
My tender age in sorrow did beginne
And still with sicknesses and shame.
Thou didst so punish sinne,
That I became
Most thinne.
With thee
Let me combine,
And feel thy victorie:
For, if I imp my wing on thine,
Affliction shall advance the flight in me.
মূল কবিতা বাংলা অনুবাদ
মহান প্রভু যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ সম্পদ আর প্রাচুর্য সহকারে,
মানুষ ছুড়েছে দূরে সে সব বোকামি করে,
ক্রমে ক্রমে তার অবনতি হতে হতে
শেষাবধি
অধিক দারিদ্রতা এসে
ঘিরেছে তারে ।
ও প্রভু, এবার জেগে উঠতে চাই আমি
জাগাও আমাকে মার্জিত ক্রীড়াচ্ছলে,
আর আমি গাই সেই পুনরুত্থান দিবসের সঙ্গীত :
প্রভুর দয়া ঝরলে মোর পরে, আমিও উড়ে যাবো স্বর্গলোকে ।
মোর শৈশব কেটেছে বেদনা আর দৈব দুর্বিপাকে :
আজও বইছি সে লজ্জা আর বেদনার দুর্বহ ভার
বহন করেছি পাপের শাস্তিভার
এবার আমি আনুগত্য সহকারে
মিলিত হতে চাই
একান্তে তোমারই সান্নিধ্যে,
আমাকে মিলিত করো তোমারি সাথে
আর অনুভব করতে দাও পুনরুজ্জীবনের দিনটিকে :
যদি মোর ভগ্ন পাখায় দাও নতুন পালক
তোমার মমতা আমাকে উড়িয়ে নেবে ঊর্ধ্বলোকে
কবিতার সারসংক্ষেপ
কবি জর্জ হার্বার্ট তাঁর ‘Easter Wing’ কবিতায় যিশুর পুনরুত্থানের দিকটিকে মনে রেখে এ কবিতা রচনা করেছেন। কবি বলেন মহান ঈশ্বর মানব সৃষ্টি করেছেন সকল প্রাচুর্যসহকারে কিন্তু মানবকুল তা দূরে ঠেলে ফেলেছে বুদ্ধির ভুলে। কবি শোকাকুল চিত্তে জানান। মানব ঈশ্বরের এই করুণা ধারা দূরে ঠেলে দিতে দিতে শেষ পর্যায়ে এসে দারিদ্রের চরম সীমায় উপনীত হয়েছে, নানা শোক, তাপ, পাপের বেদনার গ্লানি বইতে হচ্ছে তাকে। কবি অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ জানান তাঁর নতুন করে জাগরণ ঘটানোর, কবি বলেন এই জাগরণের মধ্য দিয়ে তাঁর মাঝে ধ্বনিত হোক পুনরুত্থান দিবসের সঙ্গীত। আর কবি এটাও বলেন যে, এমনটি ঘটার পর তিনি প্রভুর দয়ায় উড়ে যাবেন স্বর্গলোকে। কবি জানান শৈশবকাল তাঁর দুঃখ আর বেদনাভারে কেটেছে। যে গ্লানির লজ্জা আর বেদনাভার, কৃত পাপের ভার তাঁকে আজও বইতে হচ্ছে। কবি বলেন, এবার তিনি মহান প্রভুর আনুগত্য চান, মিলিত হতে চান প্রভুর সাথে। কবি চান, ঈশ্বর যদি তাঁর ক্ষয়ে যাওয়া পাখায় দেন নতুন পালক, তাহলে তিনি উড়ে যেতে পারেন স্বর্গলোকে।
কাব্যিক মূল্যায়ন
কবি জর্জ হার্বার্ট তাঁর “Easter Wing” কবিতায় পুনরুত্থানের দিনটিকে স্মরণ করে মহান প্রভুর আনুগত্য কামনা করেছেন। কবি এখানে প্রভুর দয়ার উপর নির্ভর করে নবতর জন্ম লাভ করে যাতে স্বর্গলোকে উড়ে যেতে পারেন সেই কামনা তাঁর কবিতার ভাষায় প্রকাশ করেছেন ।
কবি শুরুতেই বলেন, ঈশ্বর মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন সব রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। কিন্তু মানুষ অজ্ঞতাবশত; মহান প্রভুর সে দানকে দূরে ঠেলে দিয়ে ক্রমেই দারিদ্রসীমার নীচে আর দুর্দশার অতলে ডুবে গেছে । কবি এই দুর্দশার বেদনাভার হতে নতুন করে জাগ্রত হতে চেয়েছেন মহান ঈশ্বরের করুণার দান দ্বারা । তিনি কামনা করেন, মহান প্রভু যেন তাঁর করুণার নির্ঝর দ্বারা তাঁকে জাগ্রত করেন। কবি ঈশ্বরের করুণা ধারায় জাগ্রত হয়ে নবতর জন্ম লাভ করে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে চান আর এই পরিশুদ্ধতা দ্বারাই তিনি নিজেকে নির্মল করে যাত্রা করবেন স্বর্গলোক পানে। কবি গভীর মর্মপীড়া সহকারে তাঁর শৈশব কৈশোর কালের কথা তুলে ধরেছেন, কবির শৈশব কৈশোরকাল কেটেছে নানা দুঃখ কষ্ট বেদনা আর দৈব দুর্বিপাকের মাঝে। তিনি আজও অবধি সেই বেদনাভার আর গ্লানি বহন করে যাচ্ছেন, শুধু তাই নয়, তিনি যেন পাপের শাস্তিভারও বহন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।
কবি এবারে মিলিত হতে চান মহান ঈশ্বরের সাথে, মিশে যেতে চান তাঁর করুণাধারার মাঝে। ঈশ্বরের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কবির আকুল আর্তি ঝরে পড়েছে কবিতায়। কবি যেন নতুন করে শুদ্ধ মানব হিসেবে জাগ্রত হতে চান, যেমন করে পুনরুত্থানকালে জাগরণ ঘটবে মানুষের। আর এই জাগরণ শুধুমাত্র মহান ঈশ্বরের দয়াতেই সম্ভব। কবি মনে করেন স্বর্গলোকে উড্ডিন হতে হলে তাঁর এই কলুষতাপূর্ণ, পাপভারে জর্জরিত ক্ষতিগ্রস্ত পাখার দ্বারা সম্ভব নয়, তিনি কামনা করেন ঈশ্বর যেন নতুন করে তাঁকে আবার জাগ্রত করে তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত পাখা আবার নতুন করে গড়ে দেন, নতুন পাখায় যেন গজায় নতুন পালক । ঈশ্বরের দয়ায় প্রাপ্ত তাঁর সেই নতুন পাখায় ভর করে তিনি যেন স্বর্গলোকে উপস্থিত হয়ে মহান ঈশ্বরের করুণার ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন।
মোট কথা কবি এ কবিতায় তাঁর জীবনের যতোনা গ্লানি, ভুল ভ্রান্তি সব পরিহার করে ঈশ্বরের করুণার উপর নির্ভর করে, নিজেকে পরিশুদ্ধ করে স্বর্গলোকে যাত্রা করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন ।
Source: Poetry Foundation