The Tyger (Songs of Experience) Bangla Summary

The Tyger (Songs of Experience) by William Blake

“The Tyger” উইলিয়াম ব্লেকের অন্যতম বিখ্যাত কবিতা, যা তাঁর সংকলন “Songs of Experience”-এ অন্তর্ভুক্ত। এই কবিতায় ব্লেক ঈশ্বরের সৃষ্টির জটিলতা এবং রহস্যময় দিকগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কবি বাঘের ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখে বিস্মিত হয়ে জানতে চান, কে এমন একটি শক্তিশালী এবং ভয়াল প্রাণী সৃষ্টি করেছেন? কবিতাটি শুধুমাত্র বাঘের সৃষ্টিকর্তা নয়, বরং সৃষ্টির প্রকৃতি এবং ঈশ্বরের অসীম ক্ষমতা নিয়ে গভীর দার্শনিক চিন্তাভাবনার সূত্রপাত ঘটায়।

Read More: Romantic Poetry

মূল তথ্য (Key Information)বিবরণ (Description)
শিরোনাম (Title)The Tyger
কবি (Poet)William Blake (1757-1827)
প্রকাশিত (Published)1793, in the collection “Songs of Experience”. The poem was later included in Blake’s combined “Songs of Innocence and Experience” (1794).
পরিবেশ (Setting)Tiger’s natural habitat – a dark forest or jungle
রূপ (Form)“The Tyger” consists of six quatrains. The first and last quatrains are almost identical.
ছন্দ প্রকৃতি (Rhyme Scheme)The rhyme scheme of each stanza is AABB.

কবিতার গঠন এবং রূপ (Structure and Form)

“The Tyger” কবিতাটি একটি সুসংগঠিত এবং নিয়মিত কাঠামোতে লেখা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি স্তবক সমান পরিমাপের এবং গঠনগতভাবে সুন্দর। কবিতার মূল উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়, যা ঈশ্বর এবং সৃষ্টির রহস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রথম এবং শেষ স্তবক দুটি প্রায় একই রকম, তবে “could” এবং “dare” শব্দের বিনিময় কবিতার মূল সুরের পরিবর্তন প্রকাশ করে। এই দুটি শব্দের ভিন্নতা কবির ঈশ্বরের সৃষ্টিশক্তির প্রতি প্রাথমিক কৌতূহল থেকে আরও গভীর চ্যালেঞ্জের দিকে যাত্রা নির্দেশ করে।

কবিতাটি বেশিরভাগই প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক, যেখানে কবি ঈশ্বরের দিকে অন্তত তেরটি ভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। কবি বাঘের মতো একটি বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর প্রাণীকে সৃষ্টির জন্য ঈশ্বর কীভাবে এটি করেছেন তা নিয়ে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন, তবে তার প্রশ্নের গভীরে একটি আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকে—সৃষ্টিকর্তা নিজে কে বা তিনি কেমন? কবি সৃষ্টির সৌন্দর্য এবং ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি তার শঙ্কা ও কৌতূহল প্রকাশ করেন।

এছাড়াও, কবিতার ছন্দবদ্ধ এবং সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামো কবিতার ভাবগম্ভীরতা এবং কাব্যিক সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে। প্রতিটি স্তবক এবং পঙক্তির ছন্দময়তা কবিতার ভয়ংকর এবং রহস্যময় সুরকে আরো গভীর করে তোলে, যা পাঠকদের সৃষ্টিশক্তি এবং ঈশ্বরের রহস্যময়তার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে।

কবিতার বিশ্লেষণ (Detailed Analysis)

প্রথম স্তবক

Tyger Tyger, burning bright,
In the forests of the night;
What immortal hand or eye,
Could frame thy fearful symmetry?

প্রথম স্তবকে কবি টাইগার বা বাঘের সৌন্দর্য এবং তার স্রষ্টাকে প্রশ্ন করেন। “Burning bright” শব্দগুচ্ছটি বাঘের উজ্জ্বল হলুদ রঙের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা রাত্রির অন্ধকার বনে তার উপস্থিতি প্রদর্শন করে। এখানে প্রধান প্রশ্নটি ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে, এবং ধীরে ধীরে উইলিয়াম ব্লেক খ্রিস্টধর্মের ঈশ্বরকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উত্থাপন করেন—যেমন এক অসাধারণ এবং ভয়ঙ্কর প্রাণী সৃষ্টি করতে ঈশ্বর সক্ষম কি না। কবি এখানে ঈশ্বরকে সরাসরি ভুল না বললেও, পাঠককে এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেতে উদ্দীপিত করেন।

“Fearful symmetry” এখানে দ্বৈত অর্থ বহন করে—একদিকে বাঘের সৌন্দর্য এবং অন্যদিকে ঈশ্বরের সৃষ্টিশক্তির রহস্যময়তা। কবি এখানে একটি রহস্যময় প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠককে প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করেন যে, এমন একটি ভয়ঙ্কর প্রাণী সৃষ্টিকারী ঈশ্বর কেমন হতে পারেন।

দ্বিতীয় স্তবক

In what distant deeps or skies.
Burnt the fire of thine eyes?
On what wings dare he aspire?
What the hand, dare seize the fire?

এখানে কবি বাঘের চোখের আগুন সম্পর্কে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে সেই আগুন হয়ত কোন দূরবর্তী স্বর্গ বা নরক থেকে এসেছে। এই স্তবকে “fire” শব্দটি বাঘের চোখের আগুনকে একধরণের অতিপ্রাকৃত শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে। “Hand” এবং “wings” এর উল্লেখ করে, কবি ঈশ্বরের সৃষ্টিশক্তি এবং সাহসকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, যা মূলত ঈশ্বরকে নির্দেশ করে।

তৃতীয় স্তবক

And what shoulder, & what art,
Could twist the sinews of thy heart?
And when thy heart began to beat,
What dread hand? & what dread feet?

এই স্তবকে কবি ঈশ্বরের শারীরিক গঠন নিয়ে চিন্তা করেন, যার মাধ্যমে বাঘের মতো এমন এক শক্তিশালী প্রাণী তৈরি হয়েছে। কবির প্রশ্ন ঈশ্বরের ক্ষমতা এবং দক্ষতা নিয়ে, যা মানবশক্তির বাইরে।

চতুর্থ স্তবক

What the hammer? what the chain,
In what furnace was thy brain?
What the anvil? what dread grasp,
Dare its deadly terrors clasp?

এই স্তবকে কবি বাঘের সৃষ্টির প্রক্রিয়ার উপমা হিসেবে একজন লোহার কারিগরের উল্লেখ করেন। ব্লেক এখানে সৃষ্টিকর্তাকে একজন ধাতু তৈরির কারিগরের সাথে তুলনা করেন, যিনি বাঘের মস্তিষ্ক গঠনের জন্য হ্যামার, চেইন এবং ফার্নেসের মতো যন্ত্র ব্যবহার করছেন। কবির বিশ্বাস এবং প্রশ্নের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখানে প্রকট হয়।

পঞ্চম স্তবক

When the stars threw down their spears
And water’d heaven with their tears:
Did he smile his work to see?
Did he who made the Lamb make thee?

এই স্তবকে ব্লেক খ্রিস্টধর্মের প্রতীকগুলি ব্যবহার করেন। “Stars threw down their spears” একটি ব্যঙ্গাত্মক ইঙ্গিত যা ঈশ্বরের প্রধান দূত শয়তানের পতন নির্দেশ করে। “Lamb” শব্দটি এখানে যিশু খ্রিস্টের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কবি ঈশ্বরের সৃষ্টিকে নিয়ে এক প্রশ্ন করেন—যিনি “Lamb” তৈরি করেছেন, তিনিই কি এই ভয়ংকর বাঘকেও সৃষ্টি করেছেন?

ষষ্ঠ স্তবক

Tyger Tyger burning bright,
In the forests of the night:
What immortal hand or eye,
Dare frame thy fearful symmetry?

শেষ স্তবক প্রথম স্তবকের পুনরাবৃত্তি, কিন্তু এখানে “could” এর পরিবর্তে “dare” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে কবি ঈশ্বরের সৃষ্টিশক্তির সাহসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করেন। কবি প্রশ্ন করেন, এমন ভয়ংকর এবং রহস্যময় প্রাণী সৃষ্টিকারী ঈশ্বর কতটা সাহসী হতে পারেন।

Read More: The Lamb (Songs of Innocence) Bangla Summary

Literary Devices (সাহিত্যিক উপাদান)

1. যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন (Rhetorical Questions):
কবিতাটি যুক্তিপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে পূর্ণ, যা পাঠকদের সৃষ্টির প্রকৃতি এবং ভালো ও মন্দের সহাবস্থান সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। কবি সরাসরি উত্তর প্রত্যাশা না করে এমন প্রশ্ন করেন যা পাঠকের মনের মধ্যে অন্বেষণের জন্ম দেয়। উদাহরণস্বরূপ, “Did he smile his work to see?” এবং “Did he who made the Lamb make thee?” প্রশ্নগুলো শুধুমাত্র পাঠকের চিন্তা জাগ্রত করতে রচিত হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো স্রষ্টার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং সৃষ্টি ও ঈশ্বরের রহস্যময়তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।

2. বৈপরীত্য (Contrast):
কবিতায় বৈপরীত্য একটি শক্তিশালী সাহিত্যকৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে বাঘের সৃষ্টি এবং মেষের সৃষ্টি একে অপরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মেষ হলো নির্দোষতা ও কোমলতার প্রতীক, অন্যদিকে বাঘ হলো শক্তি, ভয় এবং ধ্বংসের প্রতীক। এই তীব্র বৈপরীত্য কবিতায় সৃষ্টির দ্বৈত প্রকৃতি তুলে ধরে, যা নির্দোষতা এবং অভিজ্ঞতা উভয়ের সহাবস্থানকে নির্দেশ করে। এটি মানবজীবনের পরস্পরবিরোধী দিকগুলো তুলে ধরে, যেখানে মঙ্গল এবং অমঙ্গল উভয়ই সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান।

3. রূপক (Metaphor):
কবিতায় বাঘকে রূপক হিসেবে “fire” এবং “symmetry” বলা হয়েছে। “fire” বা আগুনের রূপকটি বাঘের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং তীব্রতার প্রতি ইঙ্গিত করে, যা ভয় জাগ্রত করে। “symmetry” শব্দটি বাঘের ভয়ঙ্কর ও পরিপূর্ণ আকৃতিকে বোঝায়, যা শক্তি এবং শৃঙ্খলার প্রতীক। এই রূপকগুলো সৃষ্টির জটিলতা এবং শক্তিশালী প্রকৃতিকে তুলে ধরে।

4. পুনরাবৃত্তি (Repetition):
কবিতার প্রথম লাইনটি “Tyger Tyger, burning bright” বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে, যা বাঘের কেন্দ্রীয় ছবি এবং তার প্রখর প্রকৃতিকে জোরালোভাবে ফুটিয়ে তোলে। এই পুনরাবৃত্তি কবিতার ছন্দময় গঠনকেও শক্তিশালী করে এবং বাঘের শক্তি ও রহস্যময়তার প্রতি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে।

5. চিত্রকল্প (Imagery):
“The Tyger” কবিতাটি উজ্জ্বল এবং শক্তিশালী চিত্রকল্পে ভরপুর। কবি বাঘের ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটিয়ে তোলেন যেমন: “burning bright,” “frame thy fearful symmetry,” এবং “stars throw down their spears.” এই চিত্রকল্পগুলো বাঘের ক্ষমতা এবং ভয়াবহ উপস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে, যা কবিতার সার্বিক ভাব এবং সৃষ্টির শক্তিময়তাকে আরও বর্ণময় করে তোলে। এই চিত্রকল্পের মাধ্যমে কবি পাঠকদের মনোজগতে একটি ভয়ঙ্কর এবং গভীর অনুভূতির সৃষ্টি করতে সক্ষম হন।

এই সাহিত্যিক উপাদান গুলো কবিতার ভাব ও অর্থকে গভীর করে এবং পাঠকদের মধ্যে বাঘের সৃষ্টি, স্রষ্টার ক্ষমতা এবং সৃষ্টির জটিলতা নিয়ে ভাবনার জন্ম দেয়।

Themes

1. স্রষ্টা এবং সৃষ্টির সম্পর্ক:
উইলিয়াম ব্লেকের কবিতা “The Tyger”-এ প্রধান থিম হলো স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মধ্যে সম্পর্ক। কবিতাটি ধীরে ধীরে পাঠকদের মূল প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়: ঈশ্বর কেমন স্রষ্টা, যিনি এমন ভয়ঙ্কর ও রহস্যময় এক বাঘের সৃষ্টি করতে পারেন? বাঘের মধ্যে ঈশ্বরের শক্তিশালী ও শিল্পময় সত্তার প্রতিফলন ঘটে। কবি বাঘকে একদিকে যেমন ভয়ানক ও ধ্বংসাত্মক হিসাবে চিত্রিত করেছেন, তেমনই তাকে সৌন্দর্যের প্রতীকও করেছেন। এটি ঈশ্বরের দ্বৈত সত্তা, যেখানে তিনি একাধারে সৃষ্টির সৌন্দর্য ও শক্তি উভয়কেই ধারণ করেন।

2. ধর্ম (Religion):
ধর্মও এই কবিতার একটি প্রধান থিম। কবিতার প্রতিটি স্তবকের মাধ্যমে ব্লেক ঈশ্বরের সৃষ্টির রহস্য এবং ঈশ্বরের প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। “The Tyger”-এর মাধ্যমে তিনি বারবার প্রশ্ন করেন, কীভাবে একটি সর্বজ্ঞ স্রষ্টা এমন একটি ভয়ানক এবং সৌন্দর্যময় সত্তা তৈরি করতে পারেন? এই প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে কবি ঈশ্বরের ক্ষমতা এবং তাঁর সৃষ্টির জটিলতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেন। ধর্মীয় প্রশ্ন এবং ঈশ্বরের অপার ক্ষমতা কবিতার মূল ভাবনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।

3. শক্তি এবং ধ্বংস (Power and Destruction):
বাঘের সৃষ্টির মাধ্যমে ব্লেক শক্তি এবং ধ্বংসের ধারণা নিয়ে কাজ করেছেন। বাঘ একটি শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মক প্রাণী হিসেবে চিত্রিত হয়েছে, যা তার শারীরিক ক্ষমতা দিয়ে অন্য দুর্বল প্রাণীদের উপর কর্তৃত্ব চালায়। কবি এখানে বোঝাতে চান, এই শক্তিময় সত্তা কেবল একটি শিল্পময় ঈশ্বরের সৃষ্টি হতে পারে। বাঘের সৃষ্টি কোনরূপ দৈব বা অসম্পূর্ণ হতে পারে না, বরং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি হয়েছে।

4. নির্দোষতা বনাম অভিজ্ঞতা (Innocence vs. Experience):
কবিতার শেষ অংশে মেষের প্রতি উল্লেখ করে ব্লেক নির্দোষতা এবং অভিজ্ঞতার মধ্যে তুলনা টেনেছেন। মেষ এবং বাঘের তুলনা করে কবি দেখিয়েছেন, ঈশ্বর যেমন শক্তিশালী বাঘের মতো সত্তার সৃষ্টি করেছেন, তেমনই তিনি নিরীহ মেষের মতো দুর্বল সত্তারও সৃষ্টি করেছেন। মেষ কবিতায় নির্দোষতার প্রতীক, যেখানে বাঘ অভিজ্ঞতা, শক্তি, এবং ধ্বংসাত্মক প্রকৃতির প্রতীক।

5. অনুত্তরিত প্রশ্ন (Unanswered Questions):
“The Tyger” কবিতাটি মূলত একাধিক অনুত্তরিত প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কবিতার শেষ পর্যন্ত কবি ঈশ্বরের ইচ্ছা, তার অসীম ক্ষমতা এবং সৃষ্টির রহস্য নিয়ে পাঠকদের মধ্যে ভাবনার জন্ম দেন। কবিতার মাধ্যমে ব্লেক আমাদের মনে ঈশ্বরের অপার শক্তির প্রতি মুগ্ধতা এবং বিস্ময় সৃষ্টি করেন। কবি নির্দোষতা এবং অভিজ্ঞতার মধ্যে দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেন এবং পাঠকদের সৃষ্টির জটিলতা নিয়ে চিন্তা করতে আহ্বান করেন।

এই থিমগুলো “The Tyger” কবিতার কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং ব্লেকের সৃষ্টির দার্শনিক জিজ্ঞাসা এবং ধর্মীয় ভাবনার জটিলতাকে উন্মোচিত করে।

Bangla Summary

উইলিয়াম ব্লেকের কবিতা “The Tyger” ধীরে ধীরে কিছু গভীর এবং জটিল প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়, যা মূলত ঈশ্বর এবং তাঁর সৃষ্টির প্রকৃতি সম্পর্কে। কবিতাটি শুরু হয় বাঘকে উদ্দেশ্য করে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় জানতে চাওয়ার মাধ্যমে, এবং প্রতিটি স্তবকে আলাদা আলাদা প্রশ্নের মাধ্যমে কবি তাঁর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। কবিতার মূল থিম হচ্ছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং তাঁর সৃষ্টির ধরণ ও গুণাবলী সম্পর্কে গভীর অন্বেষণ।

প্রথমত, কবিতায় কবি প্রশ্ন তোলেন, কে এই বাঘকে সৃষ্টি করেছেন? বাঘের ভয়ানক ও সুন্দর অবয়ব দেখে কবি বিস্মিত হন এবং প্রশ্ন করেন, কোন সৃষ্টিকর্তার সাহস হয়েছে এমন এক ভয়ানক প্রাণী তৈরি করার? বাঘের আগুনের মতো উজ্জ্বল চোখ, এর শক্তিশালী শরীর এবং তার ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখে কবি মুগ্ধ হন। প্রতিটি স্তবকে কবি বারবার এই প্রশ্ন করেন, কোন সৃষ্টিকর্তার শক্তি এবং ক্ষমতা এমন ভয়ংকর সত্তা তৈরি করার পেছনে ছিল?

১. বাঘের সৃষ্টিকর্তা কে?

কবিতার প্রতিটি স্তবকে বাঘের সৃষ্টিকর্তার পরিচয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। কবি কল্পনা করেন, বাঘের এই সৌন্দর্য ও ভয়ানক রূপ কোন সৃষ্টিকর্তার হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে। এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে কবি শুধু বাঘ নয়, ঈশ্বরের সৃষ্টির রহস্যময় দিকগুলি সম্পর্কে জানতে চান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে সৃষ্টিকর্তা এইরকম জটিল ও শক্তিশালী একটি প্রাণী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন? এটি শুধুমাত্র একটি সৌন্দর্যের সৃষ্টি নয়, বরং এতে ভয় এবং ধ্বংসের প্রতিফলনও রয়েছে।

২. সৃষ্টিকর্তার বড়াই:

কবি আরও কল্পনা করেন যে, যিনি এই বাঘকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই একজন দক্ষ কারিগর। তিনি ভাবেন, কার হাতের স্পর্শে বাঘের হৃদয় প্রথমবারের মতো স্পন্দিত হয়েছিল? এর মাধ্যমে কবি ঈশ্বরের কারিগরি দক্ষতা এবং তাঁর সৃষ্টির শিল্পময়তার উপর জোর দেন। কবিতার এই অংশে কবি মূলত ঈশ্বরের শক্তি এবং ক্ষমতার প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি ভাবেন, যিনি বাঘের মতো প্রাণী সৃষ্টি করতে সক্ষম, তিনি কতটা অসাধারণ ও ক্ষমতাশালী হবেন।

৩. সৃষ্টিকর্তার অনুভূতি:

কবিতার শেষে কবি প্রশ্ন করেন, এই ভয়ানক বাঘকে তৈরি করার পর সৃষ্টিকর্তার অনুভূতি কেমন ছিল? তিনি কি তাঁর সৃষ্টির উপর গর্বিত ছিলেন? কবি কল্পনা করেন, ঈশ্বর কি তাঁর সৃষ্টি দেখে হেসেছিলেন? এটি মূলত একটি গভীর প্রশ্ন যা ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষের বোধগম্যতার সীমাবদ্ধতা বোঝায়। বাঘের মতো একটি শক্তিশালী এবং ভয়ানক প্রাণী তৈরির পর, সৃষ্টিকর্তা কি সন্তুষ্ট ছিলেন?

৪. মেষ এবং বাঘের তুলনা:

কবিতার শেষের দিকে কবি মেষের কথা উল্লেখ করে। তিনি প্রশ্ন করেন, একই সৃষ্টিকর্তা যিনি বাঘের মতো শক্তিশালী এবং ভয়ানক প্রাণী তৈরি করেছেন, তিনি কি ল্যাম্বের মতো নিরীহ এবং দুর্বল প্রাণীও তৈরি করেছেন? এই তুলনা কবিতায় একটি বিশেষ প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে, যেখানে মেষ নির্দোষতার প্রতীক এবং বাঘ শক্তি ও অভিজ্ঞতার প্রতীক। কবি এখানে ঈশ্বরের সৃষ্টির দ্বৈত স্বভাব তুলে ধরেছেন, যা একটি শক্তিশালী এবং জটিল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।

৫. ধর্মীয় চিন্তা ও দার্শনিক প্রশ্ন:

“The Tyger”-এর মাধ্যমে উইলিয়াম ব্লেক মূলত ঈশ্বরের সৃষ্টির জটিলতা এবং মানুষের সীমিত বোধগম্যতা নিয়ে গভীর দার্শনিক প্রশ্ন তোলেন। কবিতার প্রতিটি স্তবকে বাঘের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে নতুন নতুন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা মূলত ঈশ্বরের প্রকৃতি, শক্তি, এবং সৃষ্টির রহস্যময়তার প্রতি নির্দেশ করে। ঈশ্বরের ক্ষমতা সীমাহীন, এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ভালো-মন্দ, নির্দোষতা এবং শক্তি উভয়ই বিদ্যমান।

৬. কবিতার মূল ভাব:

উইলিয়াম ব্লেকের এই কবিতাটি শুধুমাত্র সৃষ্টির রহস্য নিয়ে নয়, বরং ঈশ্বরের সত্তা এবং তাঁর সৃষ্টির গঠন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনার প্ররোচনা দেয়। কবিতার মাধ্যমে ব্লেক মানুষকে এই চিন্তায় বাধ্য করেন যে, ঈশ্বর শুধু সৌন্দর্য সৃষ্টি করেন না, তিনি শক্তি, ধ্বংস এবং ভয়ও সৃষ্টি করতে সক্ষম। “The Tyger” কবিতাটি বারবার প্রশ্ন তুলে, ঈশ্বরের সীমাহীন ক্ষমতা এবং সৃষ্টির বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে পাঠকদের মধ্যে এক গভীর চিন্তার প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে।

English Summary

In William Blake’s “The Tyger,” the poet explores the awe-inspiring yet terrifying nature of the tiger, using it as a symbol to question the nature of creation, God, and the existence of good and evil. The poem is part of Blake’s “Songs of Experience,” serving as a counterpart to his earlier work, “The Lamb” in “Songs of Innocence.” While “The Lamb” focuses on innocence and gentleness, “The Tyger” represents power, danger, and the complexities of experience.

The poem begins with the famous rhetorical question, “Tyger, Tyger, burning bright, / In the forests of the night;” where the speaker marvels at the tiger’s majestic yet dangerous appearance. The imagery of “burning bright” highlights the tiger’s glowing eyes and fiery spirit, symbolizing its ferocity. The poet immediately introduces the central theme of the poem: Who or what kind of divine force could have created such a fearful and powerful creature? The phrase “fearful symmetry” suggests the tiger’s physical beauty and its terrifying nature, combining a sense of balance with destructive power.

In the second stanza, Blake questions the origin of the tiger’s energy and spirit. He imagines the tiger’s fiery eyes as being forged in some distant realm, possibly in heaven or hell, emphasizing its otherworldly, almost supernatural power. The poet’s questions become more intense, as he wonders what kind of creator would have the courage to seize this powerful fire and shape it into the tiger.

The third stanza shifts the focus to the physical process of creation. Blake uses metaphors of craftsmanship, such as “What the hammer? What the chain, / In what furnace was thy brain?” suggesting that the tiger was created through a deliberate and intense process. This craftsmanship imagery evokes a blacksmith forging metal, indicating the immense strength and skill required to create such a creature. The speaker is awestruck at the sheer force and effort involved in shaping the tiger’s heart and mind.

In the fourth stanza, Blake delves deeper into the terrifying nature of creation, likening the process to a kind of divine blacksmithing. The “hammer,” “anvil,” and “furnace” allude to the difficult, almost violent, act of bringing such a powerful creature into existence. The creator’s “dread grasp” suggests both the strength and fear required to contain and shape the tiger’s terrifying power.

The fifth stanza takes a theological turn, asking whether the creator smiled upon seeing the completed tiger, and whether the same creator who made the innocent lamb also made the fearsome tiger. This introduces the theme of duality—Blake is questioning how the same God could create both the gentle lamb (symbolizing innocence and purity) and the ferocious tiger (symbolizing experience and danger). This contrast reflects the broader struggle between good and evil, light and darkness, innocence and experience in the world.

The poem concludes by repeating the opening stanza, but with one significant change. The word “could” in the first stanza becomes “dare” in the last, shifting the focus from the creator’s ability to create the tiger to the boldness or audacity required to do so. Blake leaves the reader pondering the nature of God and creation—if God can create such a dangerous and magnificent creature, what does that say about the nature of the universe and the forces that govern it?

In summary, “The Tyger” is an exploration of the mysteries of creation, the duality of existence, and the complexity of divine power. Through a series of rhetorical questions, Blake pushes the reader to think about the relationship between beauty and terror, innocence and experience, and the nature of the divine creator. The poem’s unanswered questions leave us contemplating the balance of good and evil in the world and the awe-inspiring power behind all creation.

Author

  • By Thomas Phillips - one or more third parties have made copyright claims against Wikimedia Commons in relation to the work from which this is sourced or a purely mechanical reproduction thereof. This may be due to recognition of the "sweat of the brow" doctrine, allowing works to be eligible for protection through skill and labour, and not purely by originality as is the case in the United States (where this website is hosted). These claims may or may not be valid in all jurisdictions.As such, use of this image in the jurisdiction of the claimant or other countries may be regarded as copyright infringement. Please see Commons:When to use the PD-Art tag for more information., Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=116437

    উইলিয়াম ব্লেক (২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ - ১২ আগস্ট ১৮২৭) ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, চিত্রশিল্পী এবং মুদ্রণশিল্পী। জীবদ্দশায় অল্পস্বীকৃত হলেও, ব্লেক রোমান্টিক যুগের কবিতা এবং চিত্রকলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। তার "প্রফেটিক ওয়ার্কস" নামক রচনাগুলি বিংশ শতাব্দীর সমালোচক নর্থ্রপ ফ্রাই দ্বারা "ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে কম পঠিত কবিতার দেহ" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্লেক লন্ডনে পুরো জীবন কাটিয়েছেন, তিন বছর ফেলফাম ছাড়া, এবং তার রচনা বহুমুখী এবং প্রতীকবাহী সমৃদ্ধ যা "ঈশ্বরের শরীর" বা "মানব অস্তিত্ব নিজেই" হিসেবে কল্পনাকে গ্রহণ করে। সমসাময়িকেরা তাকে পাগল মনে করলেও, পরবর্তীকালে তার অভিব্যক্তি, সৃজনশীলতা এবং দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক মূলে জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন। তার চিত্রকর্ম এবং কবিতাগুলি রোমান্টিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে এবং "প্রি-রোমান্টিক" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্লেক ছিলেন একজন ধর্মবাদী, যিনি নিজের মার্সিয়োনাইট ধর্মতত্ত্ব পছন্দ করতেন এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ড এবং প্রায় সব ধরণের সংগঠিত ধর্মের বিরোধী ছিলেন। তার কাজের মধ্যে ফরাসি এবং আমেরিকান বিপ্লবের আদর্শ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ব্লেকের স্ত্রী ক্যাথারিন বাউচার তার অনেক বই তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি মুদ্রণশিল্পী এবং রঙমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ব্লেকের কাজের এককতা তাকে শ্রেণীবদ্ধ করা কঠিন করে তোলে এবং উনবিংশ শতাব্দীর পণ্ডিত উইলিয়াম মাইকেল রসেটি তাকে "একটি গৌরবময় আলোকিত ব্যক্তি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ব্লেকের জন্ম লন্ডনের সোহার ব্রড স্ট্রিটে ২৮ নভেম্বর ১৭৫৭ সালে, তিনি সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তার পিতা জেমস ব্লেক ছিলেন একজন মোজা বিক্রেতা এবং তার মা ক্যাথারিন ব্লেক তাকে বাড়িতে শিক্ষিত করেছিলেন। ধর্মীয় মিস্টিক অভিজ্ঞতা এবং বাইবেল ব্লেকের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

    View all posts

Leave a Comment