The Rime of the Ancient Mariner Bangla Summary

The Rime of the Ancient Mariner by Samuel Taylor Coleridge

স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের রচিত দ্য রাইম অফ দ্য এনসিয়েন্ট মেরিনার (The Rime of the Ancient Mariner) ইংরেজি সাহিত্যের এক অনন্য রোমান্টিক কবিতা। এটি একটি দীর্ঘ বর্ণনামূলক কবিতা, যেখানে প্রকৃতি, অতিপ্রাকৃত এবং মানবিক পাপ ও পরিত্রাণের বিষয়বস্তু গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কবিতাটি একজন প্রাচীন নাবিকের কণ্ঠে বলা একটি গল্প, যেখানে তিনি এক বিবাহের অতিথিকে তার ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা শোনান।

কবিতাটি সাতটি অংশে বিভক্ত, প্রতিটি অংশে নাবিকের দুঃখজনক অভিজ্ঞতা, তার পাপ, সেই পাপের শাস্তি, এবং পরিশেষে তার আত্মশুদ্ধি এবং শিক্ষার গল্প ফুটে উঠেছে। গল্পের শুরুতে নাবিকের দ্বারা আলবাট্রস নামক শুভ পাখি হত্যার ফলে এক ভয়ংকর অভিশাপ শুরু হয়। এর ফলে প্রকৃতি এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির মধ্যে নাবিক এক অসহায় অবস্থায় পতিত হয়।

কবিতায় প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, জীবনের পবিত্রতা এবং আত্মার শুদ্ধির মতো বিষয়বস্তু অত্যন্ত গভীরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কোলরিজের কাব্যিক দক্ষতা, শক্তিশালী চিত্রকল্প এবং প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে কবিতাটি এক গভীর নৈতিক শিক্ষা দেয়।

“দ্য রাইম অফ দ্য এনসিয়েন্ট মেরিনার” শুধুমাত্র একটি কবিতা নয়, এটি প্রকৃতি, মানব এবং স্রষ্টার মধ্যকার সম্পর্কের এক অসাধারণ চিত্র। কবিতাটির সারাংশ এবং এর শিক্ষামূলক দিকগুলো জানতে পুরো গল্পের বিশ্লেষণ অপরিহার্য।

Literary Devices (সাহিত্যিক অলঙ্কার)

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ তার কবিতা দ্য রাইম অফ দ্য অ্যাঙ্কশিয়েন্ট মেরিনার-এ অসাধারণ সাহিত্যিক অলঙ্কার ব্যবহার করেছেন, যা এই কবিতার সৌন্দর্য ও গভীরতাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। প্রতিটি অলঙ্কার কবিতার বিভিন্ন স্তরকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে এবং এর প্রতীকী অর্থ ও পাঠকের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। নিচে কবিতায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক অলঙ্কারগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. ইমেজারি (Imagery)

ইমেজারি বা চিত্রকল্প কবিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অলঙ্কার। কোলরিজ এমন জীবন্ত এবং বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন, যা পাঠকের মনে দৃশ্যের বাস্তবতা গেঁথে দেয়।
উদাহরণ:

  • “The very deep did rot: O Christ!
    That ever this should be!
    Yea, slimy things did crawl with legs
    Upon the slimy sea.”
    এখানে “slimy things” এবং “rotting sea” এর বর্ণনা প্রকৃতির ক্ষয় ও ভীতিকর পরিবেশ তুলে ধরে।

২. প্রতীকী অর্থ (Symbolism)

প্রতীকী উপাদান কোলরিজের কবিতার কেন্দ্রীয় বিষয়। প্রতিটি প্রতীক কবিতার গভীর থিম বোঝাতে সাহায্য করে।

  • আলবাট্রস (Albatross): এটি একাধারে শুভেচ্ছা এবং অভিশাপের প্রতীক। আলবাট্রস হত্যা নাবিকের অপরাধবোধ ও এর শাস্তি বোঝায়।
    উদাহরণ:
  • “Instead of the cross, the Albatross
    About my neck was hung.”
    এখানে আলবাট্রস পাপের বোঝা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৩. অনুপ্রাস (Alliteration)

অনুপ্রাস কবিতায় সুরেলা গুণ যোগ করে।
উদাহরণ:

  • “The fair breeze blew, the white foam flew,
    The furrow followed free.”
    এখানে “b,” “f,” এবং “w” ধ্বনির পুনরাবৃত্তি কবিতার সুরকে মধুর করে তুলেছে।

৪. স্বরপ্রত্যাস (Assonance)

স্বরধ্বনির পুনরাবৃত্তি কবিতার ছন্দ এবং সুরময়তাকে আরও জোরদার করে।
উদাহরণ:

  • “Day after day, day after day,
    We stuck, nor breath nor motion;”
    এখানে “a” এবং “o” স্বরধ্বনির পুনরাবৃত্তি কবিতার একঘেয়েমি এবং স্থবিরতা ফুটিয়ে তুলেছে।

৫. বিদ্রূপ (Irony)

কোলরিজ নাটকীয় এবং পরিস্থিতিগত বিদ্রূপ ব্যবহার করেছেন, যা নাবিকের পরিস্থিতি এবং দুঃখকষ্টকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
উদাহরণ:

  • “Water, water, everywhere,
    Nor any drop to drink.”
    এখানে নাবিক চারদিকে পানি থাকা সত্ত্বেও পিপাসায় কাতর, যা বিদ্রূপাত্মক এবং একইসঙ্গে বেদনাদায়ক।

৬. উপমা (Simile)

উপমার মাধ্যমে কোলরিজ কবিতার দৃশ্যগুলোকে আরও জীবন্ত করে তুলেছেন।
উদাহরণ:

  • “The water, like a witch’s oils,
    Burnt green, and blue and white.”
    এখানে সাগরের বর্ণনা চমৎকারভাবে অতিপ্রাকৃত বৈশিষ্ট্য পেয়েছে।

৭. রূপক (Metaphor)

রূপকের ব্যবহার কবিতার অতিপ্রাকৃত এবং গভীর অর্থ প্রকাশ করে।
উদাহরণ:

  • “The silence of the sea!”
    এখানে সমুদ্রের নিরবতাকে নাবিকের ভয় এবং একাকীত্বের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

৮. ব্যক্তিায়ন (Personification)

প্রকৃতি এবং অতিপ্রাকৃত উপাদানগুলোকে মানুষ হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, যা কবিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
উদাহরণ:

  • “The Sun now rose upon the right:
    Out of the sea came he.”
    এখানে সূর্যকে একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

৯. অলঙ্কারধর্মী পুনরাবৃত্তি (Repetition)

কোলরিজ পুনরাবৃত্তি ব্যবহার করে কবিতার নাটকীয়তা এবং অনুভূতিকে বাড়িয়েছেন।
উদাহরণ:

  • “Day after day, day after day,”
    এই পুনরাবৃত্তি স্থবিরতার অনুভূতিকে তীব্র করে।

১০. চিত্রধর্মী তুলনা (Visual Contrast)

কবিতার বিভিন্ন দৃশ্যের মধ্যে বৈপরীত্য প্রকৃতির উজ্জ্বলতা এবং নাবিকের হতাশার অনুভূতিকে তুলে ধরে।
উদাহরণ:

  • “The ice was here, the ice was there,
    The ice was all around.”
    বরফের এই বর্ণনা প্রকৃতির শক্তি ও নাবিকের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

১১. ধ্বনিপ্রতীক (Onomatopoeia)

কোলরিজ শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা প্রকৃতির ধ্বনি বা ক্রিয়া কার্যকরভাবে তুলে ধরে।
উদাহরণ:

  • “The loud wind never reached the ship,
    Yet now the ship moved on!”
    শব্দের ছন্দ প্রকৃতির ক্রিয়াকে বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।

Bangla Summary

দ্য রাইম অফ দ্য অ্যাঙ্কশিয়েন্ট মেরিনার কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের রচিত একটি দীর্ঘ আখ্যানমূলক কবিতা, যা রোমান্টিক সাহিত্য যুগের একটি অন্যতম মাইলফলক। কবিতাটি সাতটি ভাগে বিভক্ত, প্রতিটি অংশেই রহস্যময় ও গভীর অর্থবহ ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে।

এই কবিতায় একজন প্রাচীন নাবিকের অতীতের অভিজ্ঞতার কাহিনি উঠে এসেছে, যেখানে প্রকৃতি, আত্মার মুক্তি, এবং অপরাধবোধের পুনর্মূল্যায়ন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কবিতার প্রতিটি অংশে কবি গভীর প্রতীক ও ভাবধারা ব্যবহার করেছেন, যা পাঠককে একটি রহস্যময় জগতে নিয়ে যায়।

এই সারাংশে কবিতার সাতটি অংশ আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রতিটি অংশের মূল বিষয় এবং বার্তা বুঝতে পারে। প্রতিটি অংশের মূল ঘটনা, প্রতীকী অর্থ, এবং কবিতার থিম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাঠক এখানে জানতে পারবেন কীভাবে কবি প্রকৃতি, মানুষের পাপ ও প্রায়শ্চিত্তের ধারণা নিয়ে কাজ করেছেন।

নিচে দ্য রাইম অফ দ্য অ্যাঙ্কশিয়েন্ট মেরিনার কবিতার সাতটি অংশ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো, যা কবিতার গভীরতর অর্থ বোঝাতে সহায়ক হবে।

PART I: The Foundations of the Story

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের কাব্যিক মহাকাব্য ‘The Rime of the Ancient Mariner’ এর প্রথম অংশটি একটি রহস্যময় পুরাতন নাবিকের কাহিনি দিয়ে শুরু হয়। এক বিবাহ অতিথি তার আত্মীয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল, কিন্তু পথিমধ্যে তাকে এক প্রাচীন নাবিক থামিয়ে দেন। নাবিকের দীর্ঘ ধূসর দাড়ি এবং উজ্জ্বল চোখ দেখে অতিথি প্রথমে বিরক্ত হন এবং তার সঙ্গে কথা বলার কারণ জানতে চান। বিবাহ অতিথি বারবার নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চাইলে নাবিক তাকে একটি কাহিনি শোনার জন্য বাধ্য করেন। নাবিকের চোখের মায়াময় শক্তিতে অতিথি মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনতে বাধ্য হয়।

নাবিক তার গল্প শুরু করেন, যেখানে তিনি তার জাহাজ এবং নাবিকদের শুভ যাত্রার বর্ণনা দেন। প্রথমে জাহাজটি শান্ত আবহাওয়া এবং শুভ লক্ষণ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই জাহাজটি প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে এবং দক্ষিণ মেরুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। সেখানে বরফ, কুয়াশা এবং তুষারে ঢেকে থাকা পরিবেশের বর্ণনা দেন নাবিক। বরফ এতটাই ঘন ছিল যে তা আশেপাশের সবকিছু ঢেকে দেয়, এবং তাদের আশেপাশে কোনও জীবনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এই সময়ে একটি অ্যালবাট্রস পাখি উপস্থিত হয়, যা প্রথমে শুভ লক্ষণ বলে মনে হয়। নাবিক এবং তার সঙ্গীরা পাখিটিকে স্বাগত জানায় এবং তা তাদের বরফের মধ্য দিয়ে পথ খুঁজে নিতে সাহায্য করে। পাখিটির উপস্থিতি পুরো নাবিকদলের মধ্যে আশার সঞ্চার করে এবং তারা ভাবতে থাকে যে এটি ঈশ্বরের আশীর্বাদ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে, নাবিক একটি বেদনাদায়ক সত্য প্রকাশ করেন—তিনি তার ক্রসবো দিয়ে অ্যালবাট্রসটিকে হত্যা করেন।

নাবিক কেন পাখিটিকে হত্যা করেছিলেন বা এর পেছনের কারণ কী ছিল তা প্রথম অংশে প্রকাশ করা হয় না। তবে তার এই কাজ একটি বড় অশুভ ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত হয়। নাবিকের এই নিষ্ঠুর কাজ প্রকৃতির প্রতি অসম্মান এবং তার পরিণতি সম্পর্কে কাহিনির ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশ করে। পাখিটির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাগুলোর ভয়াবহতার পূর্বাভাস দেয়।

নাবিকের এই কাহিনি একটি নৈতিক বার্তা দিয়ে শুরু হয়, যেখানে তার অপরাধ এবং প্রাকৃতিক শক্তির প্রতিশোধের ইঙ্গিত স্পষ্ট। কোলরিজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীবনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। প্রথম অংশটি শুধুমাত্র গল্পের সূচনা নয়, বরং পুরো কবিতার জন্য একটি গভীর ভিত্তি স্থাপন করে। পাঠককে কাহিনির গভীরতা উপলব্ধি করতে উৎসাহিত করে এবং নাবিকের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে।

PART II: A Turn of Events

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের “দ্য রাইম অফ দ্য এনসিয়েন্ট মেরিনার” কবিতার দ্বিতীয় অংশটি আলবাট্রস হত্যার পরবর্তী ঘটনাবলী বর্ণনা করে। নাবিকরা প্রথমে আলবাট্রস পাখিটির অভাব অনুভব করে এবং প্রাচীন নাবিকের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। তারা পাখিটির মৃত্যুতে একদিকে শোক করে, অন্যদিকে এটিকে নিজেদের সৌভাগ্যের জন্য ভালো কাজ বলে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। তবে খুব দ্রুতই তারা বুঝতে পারে যে প্রকৃতি তাদের প্রতি বিরূপ হয়ে উঠেছে। বাতাস থেমে যায় এবং সমুদ্র সম্পূর্ণ স্থির হয়ে যায়। পানিতে ঘেরা থাকা সত্ত্বেও, তারা এক ফোঁটা পানিও পান করতে পারে না।

এই অংশে প্রকৃতির শক্তি এবং মানুষের পাপ ও দায়বদ্ধতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। আলবাট্রস হত্যার মাধ্যমে প্রাচীন নাবিক প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করেছে এবং এর ফলস্বরূপ প্রকৃতি তার এবং তার সঙ্গীদের জন্য শাস্তি আনয়ন করে। উদাহরণস্বরূপ, উজ্জ্বল সূর্য আকাশে উদিত হয়, কিন্তু তা তাদের উপর একটি ‘রক্তাক্ত সূর্যের’ মতো কঠোর গরমের আকারে শাস্তি প্রদান করে। নাবিকরা একদিকে পাখিটির হত্যাকে সঠিক বলে মনে করলেও প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া তাদের ভুল বোঝার জন্য যথেষ্ট ছিল।

কবিতার দ্বিতীয় অংশে সমুদ্রের স্তব্ধতা এবং নাবিকদের দুর্দশা অত্যন্ত কাব্যময় ভাষায় চিত্রিত হয়েছে। “পানি, পানি সর্বত্র, কিন্তু এক ফোঁটা পান করার মতো নয়” লাইনটি এই দুর্দশার প্রতীকী উদাহরণ। এই অবস্থাটি দেখায় যে, যদিও তারা প্রাচুর্যের মধ্যে রয়েছে, প্রকৃতি তাদের সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেছে। আলবাট্রস হত্যার জন্য শাস্তি হিসেবে তাদের চারপাশের পরিবেশ একটি ভয়ঙ্কর নির্জনতার রূপ ধারণ করেছে।

এই অংশে নাবিকদের মনের দ্বন্দ্বও তুলে ধরা হয়েছে। তারা প্রাচীন নাবিকের কাজকে একবার পাপ এবং আরেকবার সঠিক বলে ব্যাখ্যা করে, যা তাদের মানসিক দুর্বলতা এবং পরিবর্তনশীল মনোভাব নির্দেশ করে। তারা একদিকে পাখিটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে, আবার অন্যদিকে এটিকে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর একটি সুযোগ বলে মনে করে। এই মনোভাব তাদের স্বার্থপরতা এবং প্রকৃতির প্রতি অসচেতনতার প্রকাশ করে।

অবশেষে, দ্বিতীয় অংশটি প্রকৃতির মহত্ত্ব এবং মানুষের পাপের শাস্তির ধারণা শক্তিশালীভাবে তুলে ধরে। আলবাট্রস হত্যার ফলে নাবিকদের যে স্থবিরতা এবং যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়, তা প্রকৃতির প্রতি মানুষের দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। এই অংশটি কেবল নাবিকদের শারীরিক কষ্ট নয়, তাদের মানসিক এবং নৈতিক দ্বন্দ্বকেও উপস্থাপন করে, যা কবিতার মূল থিমগুলিকে আরও গভীরতর করে তোলে।

PART III: Key Characters and Their Motivations

স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের “The Rime of the Ancient Mariner” কবিতার তৃতীয় অংশটি প্রাচীন নাবিক এবং তার সঙ্গীদের সমুদ্রযাত্রার এক ভয়ংকর অধ্যায়ের বর্ণনা দেয়। এই অংশে, নাবিকদের শারীরিক ও মানসিক দুরবস্থা চরমে পৌঁছায়। তাদের গলা তৃষ্ণায় শুকিয়ে যায় এবং ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে তারা এতটাই অসহায় হয়ে পড়ে যে, কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। এমন সময়, পশ্চিম দিগন্তে কিছু একটা দেখার আশা জাগে। এটি প্রথমে একটি ছোট বিন্দু হিসেবে দেখা দেয় এবং ধীরে ধীরে আকার ধারণ করে। তৃষ্ণার্ত নাবিকরা কথা বলতে না পারায়, প্রাচীন নাবিক নিজের হাত কামড়ে রক্ত চুষে তার ঠোঁট ভিজিয়ে অন্যদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়।

পরবর্তী দৃশ্যে, নাবিকেরা দেখতে পায় যে সেই রহস্যময় জাহাজটি তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রথমে তারা আশার আলো দেখতে পেয়ে খুশি হয়, তবে খুশি খুব দ্রুত আতঙ্কে পরিণত হয় যখন তারা বুঝতে পারে এটি একটি অশরীরী জাহাজ। এই অদ্ভুত জাহাজের মাঝখানে দুইটি ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যায়—একটি হল “ডেথ” (মৃত্যু) এবং অপরটি “লাইফ-ইন-ডেথ” (মৃত্যুর মধ্যে জীবন)। তারা নাবিকদের জীবন নিয়ে পাশা খেলছে। খেলার শেষে, লাইফ-ইন-ডেথ জিতে যায় এবং প্রাচীন নাবিকের আত্মা তার দখলে যায়। এই দৃশ্য দেখে নাবিকদের সঙ্গীরা প্রচণ্ড ভয়ে নাবিককে অভিশাপ দেয় এবং একে একে তারা সকলেই মারা যায়।

তৃতীয় অংশে প্রকৃতি এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির অঙ্গীকার গভীরভাবে ফুটে ওঠে। নাবিকরা প্রকৃতির সাথে যে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে, বিশেষত অ্যালবাট্রস পাখি হত্যা করার পর, তা তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। প্রকৃতি তাদের প্রতি রুষ্ট হয়ে ওঠে এবং তাদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। “লাইফ-ইন-ডেথ” চরিত্রটি ভয়ঙ্করভাবে মানবজাতির পাপ ও অনুতাপের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। প্রাচীন নাবিক নিজের আত্মা হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করতে শুরু করে।

এই অংশে কোলরিজের কবিতার গঠনশৈলীতে এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যালাড স্টাইল দেখা যায়। চার থেকে ছয় লাইনের স্তবকগুলোতে কখনও সমান মাত্রার ছন্দ ব্যবহার করা হয়েছে, আবার কখনও ভিন্ন। “লাইফ-ইন-ডেথ”-এর উপস্থিতি এবং নাবিকদের দুর্দশার বিবরণ পাঠককে মর্মস্পর্শী অনুভূতির দিকে নিয়ে যায়। কোলরিজ প্রকৃতির বর্ণনায় অসাধারণ ইমেজারি ব্যবহার করেছেন, যেমন “দ্য ওয়েস্টার্ন ওয়েভ ওয়াজ অল অ্যা-ফ্লেম” এবং “উইথ থ্রোটস আনস্লেকড, উইথ ব্ল্যাক লিপস বেকড”। এই অংশে আলিটারেশন, রিপিটিশন এবং পারসোনিফিকেশন-এর ব্যবহার কবিতাকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।

শেষের দিকে, জাহাজের যাত্রা এবং মৃত্যুর উপস্থিতি সমস্ত নাবিকদের মধ্যে এক অন্ধকার ও রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। নাবিকের বর্ণনায় গভীর ভয়ের অনুভূতি স্পষ্ট। “লাইফ-ইন-ডেথ”-এর হাতে আত্মা হারানোর অভিশাপ নাবিককে চরম যন্ত্রণা দেয়। এই অংশটি প্রকৃতি এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির মধ্যে মানবজাতির অবস্থান সম্পর্কে চিন্তার খোরাক যোগায়। এটি কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে পাপ, অনুতাপ এবং প্রকৃতির প্রতিশোধের তীব্র বার্তা তুলে ধরা হয়েছে।

PART IV: Themes and Symbolism Explored

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের কবিতা ‘দ্য রাইম অব দ্য এনশিয়েন্ট ম্যারিনার’-এর চতুর্থ অংশে কবি প্রাচীন নাবিকের একাকিত্ব ও পাপের শাস্তির বর্ণনা দিয়েছেন। গল্পটি এমন এক মুহূর্তে পৌঁছায় যেখানে নাবিক তার সঙ্গীদের মৃত্যু এবং নিজের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা অনুভব করে। এই অংশের শুরুতে, ওয়েডিং গেস্ট ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রশ্ন তোলে যে প্রাচীন নাবিকও কি মৃত এবং তার সামনে ভূত হিসেবে উপস্থিত? নাবিক তাকে আশ্বস্ত করে যে সে জীবিত এবং তার পাপের শাস্তি হিসেবে তাকে একাকী যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। জীবনের প্রতি সমস্ত আশা হারিয়ে, মৃতদেহের মাঝে আটকে থাকা নাবিক প্রার্থনা করতে চাইলেও পারে না। সময় পার হয়, অথচ তার যন্ত্রণা বাড়তেই থাকে। তবে, গল্পের শেষে, তার হৃদয়ে পরিবর্তন আসে, এবং যখন সে প্রার্থনা করতে সক্ষম হয়, তখন তার গলায় ঝুলে থাকা পাখিটির দেহ সমুদ্রের জলে ডুবে যায়।

একাকিত্ব এবং যন্ত্রণা:
প্রাচীন নাবিক তার সঙ্গীদের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ একাকী হয়ে পড়ে। সে চারদিকে কেবল মৃত্যু আর পচনের চিত্র দেখতে পায়। সাগর থেকে শুরু করে ডেক পর্যন্ত সবকিছু পচে যাচ্ছে, অথচ মৃতদেহগুলো অবিকৃত রয়ে গেছে। তার নিজের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে তার মনে হয় যেন পুরো প্রকৃতিই তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। নাবিক এভাবে বোঝায় যে, প্রকৃতি কেবলমাত্র তার পাপের শাস্তি দিচ্ছে এবং তাকে নিঃসঙ্গ করে তুলেছে। সে প্রার্থনা করার চেষ্টা করলেও এক শয়তানি কণ্ঠ তার অন্তরের সমস্ত আশা নিঃশেষ করে দেয়।

মৃতদের চোখের অভিশাপ:
নাবিক মৃত নাবিকদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় সেখানে এক অদ্ভুত অভিশাপ লুকিয়ে আছে। সেই চোখগুলো যেন তাকে দোষারোপ করছে এবং তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছে। এই অভিশাপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে, নাবিক এটাকে ‘এতিম শিশুর অভিশাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর’ বলে উল্লেখ করে। সাত দিন এবং সাত রাত ধরে সেই অভিশাপ নাবিককে তাড়িত করে, এবং সে বেঁচে থাকার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলে। কিন্তু, তার মৃত্যু হয় না। কবি এখানে বোঝাতে চান যে, পাপের শাস্তি শুধুমাত্র শারীরিক যন্ত্রণায় সীমাবদ্ধ নয়; আত্মার উপর অভিশাপ আরো ভয়ঙ্কর।

জীবনের প্রতি ভালোবাসার পুনর্জাগরণ:
নাবিক যখন পানির সাপগুলোকে দেখে, তখন তাদের রঙ, গতিবিধি এবং সৌন্দর্য তার মধ্যে এক নতুন অনুভূতি সৃষ্টি করে। সে উপলব্ধি করে যে, এই সাপগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্যের অংশ এবং জীবনের প্রতীক। তার হৃদয়ে ভালোবাসা জাগ্রত হয় এবং সে তাদের জন্য মঙ্গল কামনা করে। অজান্তেই তার মনে আসে প্রার্থনা, এবং এই প্রার্থনাই তাকে মুক্তির পথ দেখায়। প্রার্থনার মুহূর্তেই তার গলায় ঝুলে থাকা মৃত আলবাট্রসটি পড়ে যায় এবং সমুদ্রের জলে ডুবে যায়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই তাকে মুক্তি দিয়েছে।

প্রতীক ও শিক্ষা:
এই অংশে কোলরিজ প্রকৃতির শক্তি ও পাপের শাস্তির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্রাচীন নাবিকের গল্প প্রকৃতির প্রতিশোধ, মানুষের পাপ, এবং মুক্তির পথকে প্রতিফলিত করে। আলবাট্রস, মৃতদেহের চোখ, এবং পানির সাপগুলো প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এই অংশের শেষে, নাবিকের মধ্যে আত্মিক পরিবর্তন আসে, যা বোঝায় যে প্রকৃতি তখনই ক্ষমা করে যখন মানুষ প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।

এভাবেই চতুর্থ অংশে প্রাচীন নাবিকের যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা এবং তার মুক্তির পথে প্রথম পদক্ষেপের গল্প বলা হয়েছে। কবি প্রাকৃতিক চিত্রকল্প, আবেগপূর্ণ বর্ণনা, এবং প্রতীকী উপাদানের মাধ্যমে গল্পটিকে আকর্ষণীয় ও শিক্ষণীয় করে তুলেছেন।

PART V: The Climax and Its Impact

পঞ্চম অংশে, প্রাচীন নাবিকের অভিজ্ঞতাগুলি নতুন পর্যায়ে পৌঁছে। প্রকৃতির প্রতি তার শ্রদ্ধাশীল মনোভাব তাকে আধ্যাত্মিক শান্তি প্রদান করে। শুরুর দিকে, নাবিক দেখায় যে, প্রকৃতির প্রতি তার পাপ ও তার পরিণতির বোঝা তাকে প্রার্থনার অযোগ্য করেছিল। কিন্তু যখন সে প্রকৃতির প্রতি নতুন করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, তখন তার প্রার্থনা করার ক্ষমতা ফিরে আসে। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে সে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায়, সে বৃষ্টির স্বপ্ন দেখে এবং জেগে ওঠার পর দেখে যে, প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতির সঙ্গে অতিপ্রাকৃত ঘটনার মেলবন্ধন এ অংশে আরও গভীর হয়।

ঘুম থেকে জেগে, নাবিক অনুভব করে যে তার চারপাশের জগৎ জীবিত হয়ে উঠছে। প্রথমে, সে তার দেহের হালকা অনুভূতি এবং প্রাণবন্ত বৃষ্টির প্রভাবে আশ্চর্য হয়। এরপর, হঠাৎই মৃত নাবিকেরা জীবিত হয়ে ওঠে, কিন্তু তারা কথা বলে না বা চোখ নড়ায় না। এটি নাবিকের জন্য ভীতিকর হলেও, সে বুঝতে পারে যে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে স্বর্গীয় আত্মারা। এই অংশটি প্রকৃতির শক্তি এবং অতিপ্রাকৃতের উপস্থিতি দ্বারা পূর্ণ।

অন্যদিকে, জাহাজের চলাচল সম্পূর্ণ নতুনভাবে দেখা যায়। কোনও বাতাস না থাকা সত্ত্বেও, জাহাজ ধীরে ধীরে এগোতে থাকে। আকাশে চাঁদ এবং বজ্রঝড়ের মিশ্রণ একটি রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। মৃত নাবিকেরা জাহাজের দড়ি টানতে এবং অন্যান্য কাজ করতে শুরু করে, কিন্তু তাদের শরীর জীবনহীন হাতিয়ারের মতো কাজ করে। এই দৃশ্যটি একটি রহস্যময় এবং ভুতুড়ে অনুভূতি সৃষ্টি করে, যা প্রাচীন নাবিকের অভিজ্ঞতার ভয়াবহতাকে আরও গভীর করে।

এরপর, ভোরের প্রথম আলোতে মৃত নাবিকেরা কাজ বন্ধ করে এবং মাস্তুলের চারপাশে জড়ো হয়। তাদের দেহ থেকে মিষ্টি সুর বের হতে থাকে, যা জাহাজকে একটি স্বর্গীয় পরিবেশ প্রদান করে। এই সুরগুলো কখনও একত্রে, কখনও পৃথকভাবে ফিরে আসে এবং সমুদ্রের বাতাসে একটি রহস্যময় অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের পাখির গান এবং আকাশে সুরের মিলন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে তুলে ধরে। এই অংশে প্রকৃতি এবং অতিপ্রাকৃতের সম্মিলিত প্রভাব প্রকট হয়।

শেষে, জাহাজটি ধীরে ধীরে এবং মসৃণভাবে এগোতে থাকে। যদিও কোনও বাতাস বইছে না, জাহাজের নিচ থেকে কোনও অদৃশ্য শক্তি তাকে চালিত করে। এটি দেখায় যে নাবিকের পাপের শাস্তি শেষ হয়ে আসছে এবং প্রকৃতির সঙ্গে তার পুনর্মিলন ঘটছে। পঞ্চম অংশে প্রকৃতি, পাপ, ক্ষমা এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাব একত্রে কবিতার গভীর অর্থ প্রকাশ করে।

PART VI: Lessons and Reflections

ষষ্ঠ অংশে, কবি স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ ম্যারিনারের যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব চিত্রিত করেছেন, যেখানে ম্যারিনার তার পাপের ভার থেকে মুক্তির প্রতীক্ষায় নিজের দেশ অভিমুখে ফিরে আসে। এই অংশে প্রথম ও দ্বিতীয় অদৃশ্য কণ্ঠস্বর দু’জনের মধ্যেকার আলাপ চলতে থাকে, যা ম্যারিনারের জাহাজের রহস্যময় চলাচল এবং প্রকৃতির অস্বাভাবিক আচরণ বোঝায়। প্রথম কণ্ঠস্বর জানতে চায়, কীভাবে জাহাজ এত দ্রুত চলছে, এবং দ্বিতীয় কণ্ঠস্বর ব্যাখ্যা করে যে চাঁদ ও সমুদ্রের মধ্যে একটি অপার্থিব সংযোগ কাজ করছে, যা জাহাজকে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ম্যারিনার জাহাজে মৃত নাবিকদের মাঝে জেগে ওঠে এবং অনুভব করে যে জাহাজ ধীরে ধীরে নিজের দেশে ফিরে চলেছে। এই অংশে, প্রকৃতি ও অতিপ্রাকৃতের সংমিশ্রণ গভীরভাবে প্রকাশ পায়। সমুদ্রের নিঃশব্দতা এবং চাঁদের নির্দেশনার প্রতিচ্ছবি ম্যারিনারের যাত্রাকে রহস্যময় এবং নাটকীয় করে তোলে। মৃত নাবিকদের চোখ থেকে যে অভিশাপ ঝরছিল, তা ধীরে ধীরে লাঘব হতে থাকে এবং ম্যারিনার প্রার্থনা করে যেন সে জাগ্রত থাকে এবং এই অভিজ্ঞতাকে সত্য বলে অনুভব করতে পারে।

ম্যারিনার তার নিজের দেশের লাইটহাউস, পাহাড় এবং চার্চের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়। এই দৃশ্যগুলি তাকে পুনরায় আশা এবং শান্তি প্রদান করে। জাহাজটি বন্দরের দিকে প্রবাহিত হয়, আর জাহাজের তলদেশে শান্ত সমুদ্র জলের প্রতিবিম্বিত চাঁদের আলো কবির ভাষায় এক স্বপ্নিল সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। এই দৃশ্য তার অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়, এবং সে বুঝতে পারে যে তার যাত্রার শেষ পর্ব শুরু হয়েছে।

এই অংশে, ম্যারিনার মৃত নাবিকদের দেহ থেকে দূত-সদৃশ সত্তার উত্থান দেখে। তাদের প্রত্যেকের আত্মা আকাশে উড়ে যায়, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা তাদের পাপের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে। এ দৃশ্য দেখে ম্যারিনার শান্তি এবং কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে। একইসাথে, সে প্রার্থনা করে যে বন্দরে অপেক্ষমাণ হেরমিট তার পাপের মুক্তির উপায় বলে দেবে।

ষষ্ঠ অংশটি প্রকৃতি, পাপ, ক্ষমা এবং পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে ম্যারিনারের এক আধ্যাত্মিক যাত্রার চূড়ান্ত পর্বকে তুলে ধরে। কোলরিজের চমৎকার প্রকৃতি চিত্রণ, রহস্যময় কণ্ঠস্বর, এবং অতিপ্রাকৃত ঘটনাবলীর মাধ্যমে এই অংশে একটি গভীর নৈতিক বার্তা প্রতিফলিত হয়েছে। ম্যারিনারের এই অভিজ্ঞতা তার জীবনের একটি বিশাল পরিবর্তনের সূচনা করে, যা ভবিষ্যতে তাকে প্রকৃতি এবং সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিক্ষা দেয়।

PART VII: Conclusion and Legacy

সপ্তম ও শেষ পর্বে, “The Rime of the Ancient Mariner” কবিতার গল্পটি শেষ হয় এবং নাবিক তার চূড়ান্ত উপলব্ধি এবং বার্তা দিয়ে পাঠককে বিদায় জানায়। গল্পটি শুরু হয় একজন ধর্মপ্রাণ সাধু বা হেরমিটকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে, যিনি নাবিককে তার পাপমোচনের আশা দেন। নাবিকের জাহাজ যখন ডুবে যেতে শুরু করে, একটি ছোট নৌকা তাকে উদ্ধার করে। তবে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ে না; জাহাজটি ডুবে গিয়ে তৈরি করে একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিপাক, যা ছোট নৌকাটিকেও বিপন্ন করে। নাবিক জাহাজের সাথে প্রায় মারা গেলেও অদ্ভুতভাবে প্রাণে বেঁচে যায় এবং তাকে উদ্ধার করা হয়।

কবিতার এই অংশে, নাবিক এবং হেরমিটের সম্পর্ক আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নাবিক, তার পাপের ভার বহন করে, হেরমিটের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তার কাহিনি বলার সময়, সে বারবার তার যন্ত্রণা বর্ণনা করে এবং বলে, যদি সে তার গল্প বলতে না পারে, তবে সেই যন্ত্রণা তার কাছে ফিরে আসে। নাবিকের জন্য এই গল্প বলা তার পাপমোচনের একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। তার এই উপলব্ধি তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা: প্রকৃতির প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করা।

গল্পের শেষভাগে, নাবিক বিবাহ অতিথিকে একটি গভীর শিক্ষা দেন। তিনি বলেন, প্রার্থনার মাধুর্য এবং প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের গুরুত্ব, যা একটি বিবাহ উৎসবের আনন্দ থেকেও অনেক বেশি। এই শিক্ষা শুধু নাবিকের জীবন পরিবর্তন করে না, বরং তা পাঠকের মনেও গভীর প্রভাব ফেলে। প্রকৃতি, পাপ, ক্ষমা এবং পুনর্জন্মের মাধ্যমে নাবিকের যাত্রা, পাঠককে মানবজীবনের গভীরতর অর্থ অনুধাবন করতে সাহায্য করে।

কবিতার কাঠামো এবং ভাষার আলোচনায়, এটি একটি লিরিক্যাল ব্যালাড হিসেবে পরিচিত, যেখানে সংলাপ এবং সঙ্গীতধর্মী গঠন পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখে। বিশেষত সপ্তম পর্বে, কোলরিজ প্রকৃতির বিবরণ এবং অলৌকিক ঘটনাবলীর মাধ্যমে মানবজীবনের জটিলতা এবং প্রকৃতির প্রভাবকে বিশদভাবে তুলে ধরেছেন।

“The Rime of the Ancient Mariner” এর শেষ অংশ প্রকৃতি ও মানবজীবনের একটি প্রতীকী ব্যাখ্যা। নাবিকের কাহিনি আমাদের শিখায়, প্রকৃতির প্রতি অবমাননার ফল এবং ক্ষমার মধ্য দিয়ে পুনর্জন্মের সম্ভাবনা। তাই, এটি একটি কালজয়ী সাহিত্যকর্ম যা মানবিক দায়িত্ব এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের গুরুত্ব নিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

English Summary

Samuel Taylor Coleridge’s The Rime of the Ancient Mariner is a seminal poem in English literature that explores themes of guilt, redemption, and the natural and spiritual worlds. It is told through the perspective of an old mariner who recounts his harrowing sea voyage to a guest at a wedding. The poem is structured into seven parts, each revealing a pivotal aspect of the mariner’s journey and moral transformation.

Introduction

The poem begins with the Ancient Mariner stopping a wedding guest to narrate his tale. Despite the guest’s reluctance, the mariner’s “glittering eye” compels him to listen. The story serves as a cautionary tale filled with supernatural elements and profound moral lessons.

The Mariner’s Journey and the Albatross (Part I & II)

The mariner describes how his ship sets sail under favorable conditions but is soon caught in a fierce storm, driving them to a desolate, icy region. The crew encounters an albatross, which is seen as a good omen. The bird’s arrival seems to guide the ship out of danger, and the sailors feed it in gratitude. However, the mariner inexplicably shoots the albatross with his crossbow, an act that marks the beginning of his misfortune.

The mariner’s deed brings a curse upon the ship. The winds cease, leaving the vessel stranded in a motionless sea. The crew blames the mariner and hangs the albatross around his neck as a symbol of his guilt.

Punishment and Supernatural Torment (Part III & IV)

As the mariner and the crew languish under the blazing sun, they suffer from extreme thirst and despair. One day, a ghostly ship appears on the horizon, piloted by two spectral figures: Death and Life-in-Death. The pair play a dice game to determine the mariner’s fate, and Life-in-Death wins.

While the mariner is spared, the crew succumbs to death one by one, their souls departing in ghastly ways. The mariner, now utterly alone, is haunted by his isolation and the corpses of his shipmates. He endures mental torment and begins to recognize the sanctity of all life. When he notices the beauty of the sea creatures around him, he feels a deep sense of reverence and prays, causing the albatross to fall from his neck and into the sea.

Redemption and Return (Part V & VI)

The mariner’s repentance brings a temporary reprieve. He sleeps and is refreshed by rain, and the ship begins to move, seemingly manned by the spirits of the dead sailors. However, his suffering is not over. The mariner continues to face supernatural challenges, including eerie sounds and visions.

A group of angelic spirits guides the ship back to safety. The mariner hears two voices discussing his fate, one of which suggests that his penance is not complete.

Confession and Moral Transformation (Part VII)

The ship finally reaches the mariner’s homeland, but it is destroyed by supernatural forces as it nears shore. The mariner is rescued by a hermit, a pilot, and the pilot’s boy. He confesses his sins to the hermit, and this act of confession becomes a turning point for his spiritual healing.

The mariner is doomed, however, to wander the earth, compelled to retell his story to those who need to hear it. Through his tale, he teaches the moral lesson of respecting all forms of life as part of God’s creation:

“He prayeth well, who loveth well
Both man and bird and beast.”

Conclusion

The wedding guest, deeply affected by the mariner’s story, leaves the wedding a “sadder and wiser man.” The poem ends on a contemplative note, emphasizing the interconnectedness of humanity, nature, and the divine.

Themes and Significance

The poem delves into universal themes like sin, redemption, and the consequences of human actions on the natural world. The mariner’s journey symbolizes the spiritual voyage of humanity, where suffering leads to enlightenment and an appreciation for the sanctity of life.

Coleridge’s The Rime of the Ancient Mariner is a richly layered work that blends vivid imagery, symbolism, and moral allegory, making it a timeless masterpiece of Romantic poetry.

Author

  • By Peter Vandyke - http://www.zeno.org/Literatur/I/coleridg.jpg, held at the National Portrait Gallery, Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=3976299

    স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ (২১ অক্টোবর ১৭৭২ – ২৫ জুলাই ১৮৩৪) একজন ইংরেজ কবি, সাহিত্য সমালোচক, দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিক ছিলেন, যিনি ইংল্যান্ডে রোমান্টিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং লেক কবিদের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি তার বন্ধু উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের সাথে এবং চার্লস ল্যাম্ব, রবার্ট সাউদি ও চার্লস লয়েডের সাথে সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছেন। তার রচিত কবিতাগুলির মধ্যে "দ্য রাইম অফ দ্য এন্সিয়েন্ট ম্যারিনার" এবং "কুবলা খান" উল্লেখযোগ্য। তার প্রবন্ধ "বায়োগ্রাফিয়া লিটারারিয়া" বিশেষভাবে প্রভাবশালী ছিল, বিশেষ করে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ক্ষেত্রে। তিনি "সাসপেনশন অফ ডিসবিলিফ" এর মতো অনেক পরিচিত শব্দ ও বাক্যাংশ উদ্ভাবন করেন। কোলরিজের জীবনে তিনি উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার সম্মুখীন হন, এবং ধারণা করা হয় যে তিনি দ্বিমেরুকী ব্যাধিতে ভুগছিলেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং তার চিকিৎসার জন্য লডানাম ব্যবহার করতেন, যা তাকে জীবনের দীর্ঘ মাদকাসক্তিতে আক্রান্ত করে। তার জীবনের উত্থান-পতনের মাঝে, তার মর্যাদা মৃত্যুর পর বাড়তে থাকে এবং তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হন। তার জীবনের প্রথম দিকে তিনি তার বাবার সাথে ডেভনের ওটারি সেন্ট মেরিতে বসবাস করতেন এবং পরে চার্লস ল্যাম্বের সাথে স্কুলে পড়াশোনা করেন। কেমব্রিজের জেসাস কলেজে পড়ার সময় তিনি ক্রীতদাস প্রথার বিরুদ্ধে একটি ওড রচনা করেন এবং স্বর্ণপদক অর্জন করেন।

    View all posts

Leave a Comment