The Luncheon Bangla Translation and Summary

The Luncheon by William Somerset Maugham

উইলিয়াম সমারসেট মম-এর লেখা “The Luncheon” গল্পটি এক আকর্ষণীয় এবং ব্যঙ্গাত্মক রচনা, যেখানে সমাজের বাহ্যিকতা, প্রতারণা এবং মানবীয় দুর্বলতাগুলোর এক চমৎকার চিত্রায়ণ দেখা যায়। গল্পটি একটি সাধারণ মধ্যাহ্নভোজনের ঘটনা হলেও, এর ভেতর দিয়ে মানুষের বস্তুবাদী মানসিকতা, সম্পর্কের ভণ্ডামি এবং স্মৃতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মম তার সহজ-সরল লেখনী শৈলীর মাধ্যমে সমাজের আচার-আচরণের প্রতি তীক্ষ্ণ সমালোচনা করেছেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য গল্পটিকে বিশ্লেষণমূলক আলোচনার এক উর্বর ক্ষেত্র করে তুলেছে।

বিষয়তথ্য
লেখকউইলিয়াম সমারসেট মম (১৮৭৪-১৯৬৫)
লেখক সম্পর্কেব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, এবং ছোট গল্প লেখক।
প্রকাশনার তারিখমার্চ ১৯২৪
স্বরবন্ধুসুলভ, বিনয়ী, উদ্বিগ্ন, রসাত্মক, এবং ব্যঙ্গাত্মক।
ধরনপ্রথম ব্যক্তির বর্ণনা (একটি আধুনিক ছোট গল্প)
পটভূমিগল্পটি “প্যারিস” এ সেট করা হয়েছে।

Read More: The Gift of the Magi Bangla Summary

Bangla Translation

আমি তাঁকে একদিন থিয়েটারে দেখেছিলাম। বিরতির সময় তাঁর ইশারায় আমি তাঁর কাছে গিয়ে বসলাম। অনেকদিন হলো তাঁর সাথে দেখা হয়নি, আর যদি কেউ তাঁর নাম না বলত, আমি তাঁকে চিনতে পারতাম কি না সন্দেহ ছিল। তিনি আমাকে উচ্ছ্বাস ভরে বললেন,

“আচ্ছা, কত বছর কেটে গেছে! সময় কত দ্রুত চলে যায়! আমরা কেউই তো আর তরুণ হচ্ছি না। মনে আছে, প্রথমবার যখন তোমার সাথে দেখা হয়েছিল? তুমি আমাকে লাঞ্চে নিমন্ত্রণ করেছিলে।”

আমি কি সেটা মনে রেখেছিলাম?

সেই ঘটনার প্রায় বিশ বছর আগে, আমি প্যারিসে থাকতাম। তখন আমার ছোট্ট একটা অ্যাপার্টমেন্ট ছিল, যেখানে জানালা দিয়ে একটা কবরস্থান দেখা যেত। আমি সবে তখন যৎসামান্য আয় করতাম, যা দিয়ে কোনোমতে দিন চলত। সে আমার একটি বই পড়েছিল এবং আমাকে তা নিয়ে চিঠি লিখেছিল। আমি উত্তর দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। কিছুদিন পর সে আরেকটি চিঠি লিখল, সে প্যারিসে আসছে এবং আমার সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু তার সময় সীমিত, এবং সে পরের বৃহস্পতিবার দুপুরে ফয়োটস রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করার জন্য সময় পাবে। ফয়োটস একটি নামকরা রেস্টুরেন্ট, যেখানে ফ্রান্সের সিনেটররা খাওয়া দাওয়া করে। এটা আমার সাধ্যের বাইরে ছিল। কিন্তু আমি এতটাই চাপে ছিলাম যে, না বলতে পারিনি। আমার কাছে তখন মাত্র আশি ফ্রাঁস ছিল, যা দিয়ে পুরো মাস চলতে হতো। আমি ভেবেছিলাম, যদি খুব সাধারণ লাঞ্চ খাই, তাহলে মোটামুটি কেটে যাবে। কফি না খেলেই চলবে।

আমি তাঁকে জানালাম, আমি বৃহস্পতিবার সাড়ে বারোটায় ফয়োটসে তাঁর সাথে দেখা করব। সে যতটা তরুণী হবে ভেবেছিলাম, ততটা ছিল না। চেহারায় বেশ সম্মানজনক, তবে আকর্ষণীয় না। বয়স চল্লিশের কাছাকাছি ছিল, আর বড় বড় দাঁতের একটা চমকপ্রদ হাসি ছিল তাঁর মুখে। সে প্রচুর কথা বলছিল, কিন্তু যেহেতু সে আমার ব্যাপারে কথা বলছিল, তাই আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম।

যখন মেন্যু নিয়ে আসা হলো, তখন আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। দাম আমার অনুমানের চেয়েও বেশি ছিল। কিন্তু সে আমাকে আশ্বস্ত করল, “আমি দুপুরে খুব বেশি কিছু খাই না।”

“আহা! আপনি এমন বলবেন না,” আমি উদারভাবে বললাম।

“আমি সবসময় মাত্র একটি জিনিস খাই। আজকাল মানুষ অনেক বেশি খায়। হয়তো ছোট্ট একটু মাছ… যদি স্যামন পাওয়া যায়!”

বছরের এই সময়ে স্যামন পাওয়া কঠিন ছিল, কিন্তু আমি ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করলাম। হ্যাঁ, তাদের কাছে তাজা স্যামন এসেছে—প্রথমবারের মতো। আমি অতিথির জন্য অর্ডার করলাম। তারপর ওয়েটার জিজ্ঞেস করল, স্যামন রান্না হতে হতে কিছু খাবেন কি না।

“না,” সে বলল, “আমি একটির বেশি কখনো খাই না, যদি না সামান্য ক্যাভিয়ার পাওয়া যায়। ক্যাভিয়ার আমার পছন্দ।”

আমার মন ভারী হয়ে গেল। আমি জানতাম ক্যাভিয়ার আমার সাধ্যের বাইরে। কিন্তু সে কথা তাঁকে বলতে পারলাম না। ওয়েটারকে ক্যাভিয়ার আনার নির্দেশ দিলাম। আমি নিজে সবচেয়ে সস্তা মেন্যু থেকে মাটন চপ নিলাম।

“মাংস খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না,” সে বলল, “তোমার শরীর কি করে কাজ করবে এতো ভারী খাবার খেয়ে?”

এরপর পানীয়ের প্রসঙ্গ উঠল।

“আমি দুপুরে কিছু খাই না,” সে বলল।

“আমিও না,” আমি দ্রুত জবাব দিলাম।

“হ্যাঁ, তবে সাদা ওয়াইন পান করি। ফরাসি সাদা ওয়াইন হালকা, আর হজমের জন্য ভালো।”

“আপনি কী চান?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।

“আমার ডাক্তার আমাকে শুধু শ্যাম্পেন পান করতে দিয়েছেন।”

আমি প্রায় পাথর হয়ে গেলাম। আমি আধা বোতল শ্যাম্পেন অর্ডার করলাম, যদিও আমার ডাক্তার আমাকে শ্যাম্পেন নিষিদ্ধ করেছেন বলে উল্লেখ করলাম।

“তাহলে তুমি কী পান করবে?” সে জিজ্ঞেস করল।

“জল,” আমি বললাম।

সে ক্যাভিয়ার এবং স্যামন খেল, আর আমি খাবারের বিল নিয়ে চিন্তিত হতে লাগলাম। যখন আমার মাটন চপ আসল, সে আমাকে কড়া ভাবে বলল, “তুমি দেখছি ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেছ। এটা ভুল। তোমার উচিত আমার মতো একটা খাবার খাওয়া।”

অবশেষে বিল এল। সেগুলো বিশাল। যখন আমি তা পরিশোধ করলাম, তখন আমার কাছে টিপ দেওয়ার জন্য খুব সামান্য অর্থ বাকি ছিল। তিন ফ্রাঁস রেখে গেলাম এবং তাঁর দৃষ্টিতে বুঝতে পারলাম, তিনি আমাকে কৃপণ ভাবছেন।

তবে আমার প্রতিশোধ হলো—আজ সে প্রায় বিশ স্টোন ওজনের!

Read More: Long Walk to Freedom (Part 11) Bangla Chapter 115

Themes

প্রতারণা এবং বাহ্যিকতা (Deception and Appearance): গল্পের শুরুতে বর্ণনাকারী মহিলার আভিজাত্য ও আকর্ষণীয়তায় মুগ্ধ হন। তবে গল্পের অগ্রগতিতে বোঝা যায়, তিনি আসলে সত্যিকারের বন্ধুত্বের চেয়ে নিজের ধনসম্পদ এবং সামাজিক অবস্থান দেখানোর জন্য বেশি মনোযোগী। বর্ণনাকারী বুঝতে পারেন যে মহিলার উদ্দেশ্য যতটা আন্তরিক মনে হয়েছিল, ততটা নয়। ফলে, মিথ্যা বাহ্যিকতা ও প্রতারণার ধারণা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বস্তুবাদ (Materialism): মহিলার ধনসম্পদ ও আভিজাত্যের প্রতি আসক্তি তার রেস্তোরাঁ পছন্দ এবং দামী খাবারের অর্ডার থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। গল্পটি দেখায় কীভাবে বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি মানুষের সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগকে প্রভাবিত করতে পারে।

সাদাসিধা মনোভাব ও দুর্বলতা (Naiveté and Vulnerability): বর্ণনাকারী কিছুটা সাদাসিধা এবং উচ্চ সমাজের আচার-আচরণে অনভিজ্ঞ। গল্পটি দেখায় কীভাবে একজন পৃথিবীর অভিজ্ঞতাহীন মানুষকে ধূর্ত ব্যক্তিরা সহজেই ঠকাতে পারে বা সুযোগ নিতে পারে।

ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ (Irony and Satire): “The Luncheon” গল্পে ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপের মাধ্যমে সমাজের নিয়ম-কানুন এবং বাহ্যিকতা ভিত্তিক বিচার-বিশ্লেষণকে সমালোচনা করা হয়েছে। গল্পের ভেতরে যে আইরনি কাজ করে তা দেখায় কীভাবে বাহ্যিক চেহারা বা অভিজাততা দেখে মানুষ অন্যকে বিচার করে।

অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি (Experiences and Memories): গল্পটি প্রধান চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়েছে, যিনি এই অভিজ্ঞতাটি স্মরণ করছেন। এটি দেখায় কীভাবে একসময় তুচ্ছ মনে হওয়া ঘটনাও জীবনের দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এই থিমগুলির প্রতিফলন গল্পে সমাজের বিভিন্ন রীতিনীতি ও মানুষের আচরণের নানান দিক নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনার সুযোগ দেয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Bangla Summary (বাংলা সারসংক্ষেপ)

উইলিয়াম সমারসেট মমের ছোটগল্প The Luncheon হাস্যরসাত্মক ও ব্যঙ্গাত্মক একটি গল্প। গল্পটি একজন দরিদ্র লেখক এবং এক প্রভাবশালী মহিলা ভোজন রসিকের মধ্যে এক অদ্ভুত লাঞ্চের ঘটনা নিয়ে লেখা, যেখানে লেখক এক অপ্রত্যাশিত আর্থিক বিপদে পড়ে যান।

গল্পের শুরুতে লেখক একজন মহিলার সাথে তার সাক্ষাতের কথা বলেন, যিনি লেখকের লেখার প্রশংসা করে তার সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই সময়, লেখক ছিলেন একজন দরিদ্র ব্যক্তি এবং তার আয় খুবই সীমিত ছিল। কিন্তু প্রশংসার প্রলোভন তাকে মহিলার আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে প্ররোচিত করে। মহিলা তাকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ করেন, এবং জায়গা হিসেবে বেছে নেন Foyot’s, একটি অত্যন্ত বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, যা মূলত খুব ধনী মানুষদের জন্যই উপযুক্ত। লেখক জানতেন যে এই রেস্তোরাঁ খুবই ব্যয়বহুল, তবুও নিজের সম্মান বজায় রাখার জন্য মহিলার প্রস্তাব মেনে নেন।

লেখক লাঞ্চের দিন গিয়ে পৌঁছালে মহিলা জানান, তিনি কখনো বেশি খাবার খান না এবং খাবারের প্রতি তার বিশেষ কোনো আসক্তি নেই। এরপরই গল্পের মূল হাস্যকর অংশ শুরু হয়। মহিলা বলতে থাকেন, তিনি শুধুমাত্র ‘হালকা কিছু’ খাবেন, কিন্তু তার পছন্দগুলো একে একে অত্যন্ত দামী খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে থাকে। তিনি প্রথমে অর্ডার করেন একটি বড় স্যামন মাছ। লেখক মনে মনে ভাবে, এটি ইতিমধ্যেই তার বাজেটের বাইরে চলে যাচ্ছে, তবুও তিনি কিছু বলতে পারেন না।

মহিলা যখন মূল খাবারের জন্য স্যামন অর্ডার করেন, তখন লেখক আশা করেছিলেন, এটিই হয়তো তার শেষ ডিশ হবে। কিন্তু মহিলা তারপর অ্যাসপারাগাস অর্ডার করেন, যা আবারও অত্যন্ত দামী। লেখক প্রতিটি মুহূর্তে ভাবতে থাকেন, কিভাবে তিনি বিল মেটাবেন, কারণ তার পকেটে সীমিত পরিমাণ টাকা ছিল। মহিলার অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছার কোনো শেষ নেই—তিনি পানীয় হিসেবে দামি সাদা ওয়াইন এবং শেষে ডেজার্ট হিসেবে আইসক্রিম ও কফি অর্ডার করেন। তার এই অহেতুক ভোজনরসিকতা লেখকের জন্য এক বিষাক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।

গল্পের চরম বিন্দুতে মহিলা তিনটি বড় বড় মিশরীয় কমলা অর্ডার করেন, যা লেখকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তোলে। লেখক বুঝতে পারেন যে বিল দেওয়ার সময় তার পকেটে যথেষ্ট অর্থ থাকবে না। লেখক তার মাথায় নানা দুশ্চিন্তা করেন, কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে, শেষ পর্যন্ত তিনি সাহস করে বিল চেয়ে আনেন এবং ভীতির সঙ্গে বিল পরিশোধ করেন। লেখকের কাছে তখন একেবারেই টাকা থাকে না, এমনকি ওয়েটারকে টিপস দেওয়ার মতো কিছু অবশিষ্ট থাকে না। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে নিজের দুরবস্থা লুকিয়ে রাখেন এবং মহিলার সামনে সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন।

লাঞ্চ শেষে, লেখক মহিলাকে বিদায় জানাতে যান। মহিলা তার ভোজনের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট ছিলেন এবং আবার একদিন লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু লেখক মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি আর কখনো এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চান না।

গল্পের শেষে লেখক পাঠকদের জানিয়ে দেন, ২০ বছর পর যখন তিনি এই গল্পটি লিখছিলেন, তখন সেই মহিলা ১৩৩ কেজি ওজনের একজন অতি মোটা মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। এটি পাঠকদের কাছে এক রকম প্রতীকী প্রতিশোধের মতো শোনায়, কারণ লেখক এই ঘটনা এবং সেই মহিলার অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতার মাধ্যমে এক ধরনের কৌতুকময় পরিণতি প্রকাশ করেন।

Summary of “The Luncheon” by William Somerset Maugham

“The Luncheon” by William Somerset Maugham is a humorous and ironic short story that revolves around a luncheon meeting between the narrator and a woman who had once written to him admiring his work. The story is set in Paris, where the narrator, a struggling writer at the time, agrees to meet the woman at an expensive restaurant. She insists on choosing the place, although she claims she only eats light meals, as she has little appetite.

During the luncheon, the woman orders several expensive dishes, including salmon, caviar, and asparagus, while the narrator, conscious of his limited budget, nervously watches the bill increase with each order. Ironically, she continues to insist that she never eats much, all the while indulging in one extravagant dish after another. The narrator, too polite to stop her, resigns himself to the mounting expense.

Throughout the meal, the woman’s conversation reveals her vanity and disregard for the narrator’s financial situation. While she enjoys the luxurious food, the narrator can barely afford to pay for the meal, leaving him financially strained for the rest of the month. The story ends with an amusing twist, as the narrator recalls that many years later, he saw the woman again—and she had grown quite overweight, making her earlier claims of eating lightly seem even more absurd.

The story touches on themes of deception, social pretense, and the clash between appearances and reality. It also highlights the narrator’s vulnerability and naiveté, as well as the irony of the woman’s behavior, making it an engaging and insightful commentary on human nature and social etiquette.

বিশ্লেষণ

গল্পটি মূলত খাদ্যাভ্যাস, ভণ্ডামি, এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যকে ব্যঙ্গ করে। লেখকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফয়ত রেস্তোরাঁয় যাওয়ার ঘটনা এবং মহিলার নিজেকে ‘হালকা’ খাবারের দাবি করা, যা পুরোপুরি তার বিপরীত হয়ে ওঠে, এই সমস্ত ঘটনাগুলো কৌতুকের আড়ালে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এছাড়াও, লেখকের আর্থিক অসুবিধা এবং তার মধ্যে থাকা আত্মসম্মানবোধের লড়াই গল্পে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

মহিলার নির্লজ্জ ভোজন রসিকতা এবং তার কথার বিপরীত কাজ লেখকের দারিদ্র্যের প্রতি এক রকম অবজ্ঞা প্রকাশ করে। যদিও মহিলাটি লেখকের প্রশংসা করেছিলেন এবং তার সান্নিধ্য পেতে চেয়েছিলেন, তার কাজ এবং আচরণে লেখকের প্রতি কোনো সহানুভূতি বা সমবেদনা দেখা যায় না। এভাবেই মম গল্পটিকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করেছেন।

উপসংহার

The Luncheon একটি সরল কিন্তু কৌতুকময় গল্প, যা সামাজিক ভণ্ডামি এবং ভোজনরসিকতার একটি মজার ব্যঙ্গ। গল্পের শেষে লেখক তার নিজের পরিস্থিতির বাইরে এসে মহিলার প্রতি একটি সুক্ষ্ম প্রতিশোধ গ্রহণ করেন, যা গল্পটিকে আরও বেশি রসাত্মক করে তোলে। উইলিয়াম সমারসেট মমের লেখা এই গল্পটি কেবল একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি সমাজের কিছু সাধারণ প্রবণতাকেও প্রতিফলিত করে, যা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

Author

  • S. Maugham By Carl Van Vechten (1880 - 1964) - This image is available from the United States Library of Congress's Prints and Photographs divisionunder the digital ID cph.3a42838r.This tag does not indicate the copyright status of the attached work. A normal copyright tag is still required. See Commons:Licensing., Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=20580285

    উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ (২৫ জানুয়ারি ১৮৭৪ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬৫) একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং ছোটগল্প লেখক ছিলেন, যিনি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল বিক্রিত সাহিত্যিকদের মধ্যে একজন। প্যারিসে জন্মগ্রহণ করে, তিনি ইংল্যান্ডে শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং ১৮৯৭ সালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন, যদিও তিনি কখনো চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হননি। তার প্রথম উপন্যাস, লিজা অফ ল্যাম্বেথ, জীবনের অন্ধকার দিকগুলোর উপর আলোকপাত করে। নাটক লিখে তিনি প্রথম জাতীয় খ্যাতি অর্জন করেন এবং ১৯০৮ সালের মধ্যে তার চারটি নাটক একই সময়ে লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে প্রদর্শিত হয়। তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অফ হিউম্যান বন্ডেজ (১৯১৫), দ্য মুন অ্যান্ড সিক্সপেন্স (১৯১৯), এবং দ্য রেজর'স এজ (১৯৪৪) অন্তর্ভুক্ত। সমারসেট মমের লেখায় স্পষ্টতা ও প্রাঞ্জলতার জন্য প্রসিদ্ধ, তবে তিনি স্রোতসাধক সমালোচকদের মধ্যে একপ্রকার অবজ্ঞার শিকার হন। বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ গোপন সেবায় কাজ করেন এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে গল্প লেখেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি প্রধানত সমকামী ছিলেন এবং ১৯১৭ সালে সিরি ওয়েলকামের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কের পাশাপাশি এক যুবক পুরুষের সঙ্গে তার দীর্ঘকালীন সম্পর্ক ছিল। ১৯৪৪ সালে তার সঙ্গীর মৃত্যুর পর, মম্‌ তার জীবনের শেষ সময়গুলোতে লিখতে অক্ষম হয়ে পড়েন এবং ৯১ বছর বয়সে মারা যান।

    View all posts

Leave a Comment