Tess of the D’Urbervilles Bangla and English Summary

Tess of the D’Urbervilles by Thomas Hardy Bangla and English Summary

“টেস অব দ্য ডি’আর্বারভিলস” টমাস হার্ডির একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ক্লাসিক উপন্যাস যা ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এই উপন্যাসটি ১৮৯১ সালে প্রকাশিত হয় এবং এর মাধ্যমে হার্ডি এক অমলিন সামাজিক বিশ্লেষণ ও গভীর মানবিক অনুধ্যায় তুলে ধরেছেন। এটি টেস নামের একটি তরুণীর জীবন কাহিনী, যে তার পিতামাতার ভুল ধারণার কারণে সমাজের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় এবং এক গভীর দুঃখের দিকে ধাবিত হয়। হার্ডি তার লেখায় সমাজের অবিচার, ধর্মীয় নিষ্ঠুরতা এবং পিতৃতন্ত্রের করাল গ্রাসের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ হিসেবে এই উপন্যাসটি রচনা করেছেন।

বিষয়তথ্য
লেখক ও জীবনের সময়কালথমাস হার্ডি (১৮৪০-১৯২৮)
প্রকাশনার তারিখপ্রথমে ১৮৯১ সালে দ্য গ্রাফিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ১৮৯২ সালে একটি সম্পূর্ণ উপন্যাস হিসাবে প্রকাশিত হয়।
ঘরানাTess of the d’Urbervilles একটি উপন্যাস। এটি উভয়ই একটি ট্র্যাজেডি এবং ভিক্টোরিয়ান উপন্যাস হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে।
বর্ণনার দৃষ্টিভঙ্গিউপন্যাসটি তৃতীয় পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে।
সময়ের প্রেক্ষাপট১৯ শতকের শেষের দিকে, বিশেষ করে ১৮৮০-এর দশকে।
স্থানিক প্রেক্ষাপটদক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ওয়েসেক্স।

 

টেস অফ দ্য ডি’আরবারভিলস এর থিমসমূহ

  • সামাজিক শ্রেণী ও অসমতা: থমাস হার্ডির Tess of the d’Urbervilles উপন্যাসে ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডের সামাজিক শ্রেণী ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের কঠোর পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে। টেস, একজন দরিদ্র এবং অসহায় নারী, সমাজের পূর্বাগ্রহ এবং পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধের শিকার হয়, যা তাকে একটি মর্মান্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। উপন্যাসটি সেই সময়ের অন্যায় ও অসমতা সম্পর্কে আলোকপাত করে।
  • প্রকৃতি এবং সভ্যতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: উপন্যাসটি প্রাকৃতিক বিশ্বের সাথে শিল্পায়নের মধ্যে উত্তেজনা অন্বেষণ করে, যেখানে টেস প্রকৃতির পবিত্রতার প্রতীক এবং আধুনিকতার কঠোরতা তা ধ্বংস করার হুমকি দেয়।
  • যৌ*নতা: টেসের যৌ*নতা উপন্যাসের একটি কেন্দ্রীয় থিম হিসেবে উপস্থিত, যেখানে তিনি সামাজিক প্রত্যাশা এবং দ্বৈত মানদণ্ডের পরিণতির মুখোমুখি হন।
  • ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা: উপন্যাসের চরিত্রদের বিশ্বাস এবং কাজগুলিতে ধর্মের ভূমিকা রয়েছে, বিশেষ করে পাপ এবং মুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে। আধ্যাত্মিকতা ঐতিহ্যগত ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত নৈতিকতার মধ্যে সংঘাত অন্বেষণ করে।
  • যৌ*ন নৈতিকতা এবং লি*ঙ্গ ভূমিকা: উপন্যাসটি ভিক্টোরিয়ান সমাজে নারীদের উপর আরোপিত ঐতিহ্যগত লি*ঙ্গ ভূমিকা এবং প্রত্যাশার প্রতি চ্যালেঞ্জ জানায়।
  • আধুনিকীকরণ এবং শিল্পায়ন: ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডের পরিবর্তিত বিশ্ব উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ জীবন শিল্পায়নের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।
  • নির্দোষতা এবং দুর্নীতি: নির্দোষতা এবং দুর্নীতির থিমটি টেসের সাথে সম্পর্কিত, যিনি একটি বিশুদ্ধ এবং নির্দোষ যুবতী হিসাবে চিত্রিত হয়েছেন কিন্তু সামাজিক নিয়ম এবং তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার দ্বারা দুর্নীতিগ্রস্ত হন। উপন্যাসটি বর্ণনা করে যে কীভাবে একটি নির্দোষতা একটি অনৈতিক, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দ্বারা ধ্বংস হয়।
  • ভালোবাসা এবং সম্পর্ক: উপন্যাসটি পুরুষ ও নারীর মধ্যে ভালোবাসা এবং সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে আলোচনা করে।

চরিত্রসমূহ

  • টেস ডার্বারফিল্ড (Tess Durbeyfield): টেস উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। তিনি একজন দরিদ্র কৃষকের কন্যা, যার জীবন সমাজের নিষ্ঠুর নিয়ম এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিকার হয়ে একাধিক দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। টেসের ব্যক্তিত্ব তার নির্দোষতা, শক্তি, এবং জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।
  • অ্যালেক ডি’আরবারভিল (Alec d’Urberville): অ্যালেক উপন্যাসের প্রধান প্রতিপক্ষ। তিনি ধনী ডি’আরবারভিল পরিবারের উত্তরসূরি, যিনি টেসকে প্রতারণা করে তার জীবন ধ্বংস করেন। অ্যালেক টেসের জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে এবং তার প্রতি নির্মম আচরণ করে।
  • অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার (Angel Clare): অ্যাঞ্জেল টেসের প্রেমিক এবং স্বামী। তিনি একজন আদর্শবাদী যুবক, যিনি সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যেতে চান। তবে, তিনি টেসের অতীতের কথা জানার পর তাকে পরিত্যাগ করেন। অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের চরিত্রে দ্বিধা, আদর্শবাদ, এবং পরিণতির প্রতি দায়বদ্ধতা ফুটে ওঠে।
  • জোয়ান ডার্বারফিল্ড (Joan Durbeyfield): টেসের মা, যিনি তার মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিন্তু বাস্তবতা সম্পর্কে অজ্ঞ। তিনি টেসকে ডি’আরবারভিল পরিবারের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উৎসাহিত করেন, যা পরে টেসের জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে।
  • জন ডার্বারফিল্ড (John Durbeyfield): টেসের বাবা, যিনি নিজেকে ডি’আরবারভিল পরিবারের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিষ্কার করেন এবং এই তথ্যকে ব্যবহার করে নিজেকে সমাজে উচ্চতর শ্রেণীতে স্থাপন করতে চান। তার অহংকার এবং অলসতা টেসের জীবনের অনেক সমস্যার কারণ হয়।
  • মারিয়ন (Marian), ইজ (Izz Huett), এবং রেটি (Retty Priddle): এরা টেসের বন্ধু এবং দুধের খামারের সহকর্মী। তাদের প্রত্যেকেরই টেসের জীবনের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তারা অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের প্রতি আকৃষ্ট ছিল।
  • মার্সি চ্যান্ট (Mercy Chant): অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের পরিবারের জন্য আদর্শ পাত্রী হিসেবে বিবেচিত এক যুবতী। তিনি অ্যাঞ্জেলের পরিবার দ্বারা পছন্দিত হলেও অ্যাঞ্জেল তাকে বিয়ে করেন না।
  • ফেলিক্স ক্লেয়ার (Felix Clare) এবং কেথবার্ট ক্লেয়ার (Cuthbert Clare): অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের দুই বড় ভাই, যারা ঐতিহ্যগত ধার্মিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধে গভীরভাবে বিশ্বাসী। তারা অ্যাঞ্জেলের বিপরীত, যারা ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধে গভীরভাবে যুক্ত।
  • রেভারেন্ড জেমস ক্লেয়ার (Reverend James Clare): অ্যাঞ্জেলের বাবা এবং একজন ধর্মপ্রচারক। তিনি ধার্মিক এবং রক্ষণশীল মানুষ, যিনি ধর্ম এবং নৈতিকতার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন। তার চরিত্র অ্যাঞ্জেলের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
  • মিসেস ক্লেয়ার (Mrs. Clare): অ্যাঞ্জেলের মা। তিনি তার স্বামীর মতোই ধার্মিক এবং রক্ষণশীল। তিনি এবং তার স্বামী টেসের মতো একজন সাধারণ মেয়ের সাথে অ্যাঞ্জেলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেন না।
  • সোরিয়া ডি’আরবারভিল (Soraya d’Urberville): অ্যালেকের মা এবং ডি’আরবারভিল পরিবারের প্রধান। তিনি একজন কঠোর এবং নিষ্ঠুর মহিলা, যিনি টেসকে নিজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন।
  • লিজা-লু ডার্বারফিল্ড (Liza-Lu Durbeyfield): টেসের ছোট বোন। উপন্যাসের শেষে লিজা-লু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যখন টেস তাকে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারকে অনুরোধ করে।
  • জন ডি’আরবারভিল (John d’Urberville): অ্যালেকের বাবা, যিনি একটি নামমাত্র ডি’আরবারভিল নামটি ব্যবহার করেন এবং টেসের পরিবারের সত্যিকারের ডি’আরবারভিল উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য একধরনের কৌতুক করেন। তার চরিত্রটি সমাজের ভণ্ডামি এবং স্বার্থপরতার প্রতীক।

বাংলা সারসংক্ষেপ

উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ও পরিচিতি:

টমাস হার্ডির “টেস অব দ্য ডি’আর্বারভিলস” উনিশ শতকের শেষভাগের ইংরেজি সাহিত্যের একটি অন্যতম প্রধান রচনা। এই উপন্যাসটি ইংল্যান্ডের সমাজব্যবস্থা, ধর্ম, পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নিষ্ঠুরতা, এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের একটি গভীর চিত্র তুলে ধরে। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র টেস ডার্বিফিল্ড একজন সরল, পরিশ্রমী, এবং সুন্দরী তরুণী, যার জীবন একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে জটিল হয়ে ওঠে।

উপন্যাসের সূচনা: টেসের পরিবারের বিপর্যয় এবং ভুল ধারণা

টেসের পরিবার মূলত এক দরিদ্র কৃষক পরিবার, যারা মলচেস্টারের মার্লট নামক গ্রামে বসবাস করে। তার বাবা, জন ডার্বিফিল্ড, একদিন দুর্ঘটনাক্রমে জানতে পারে যে তার পরিবার আসলে প্রাচীন এবং সম্ভ্রান্ত ডি’আর্বারভিলস পরিবারের বংশধর। এই তথ্যে তারা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে এবং মনে করে যে তাদের পরিবার একসময় ধনী এবং প্রতিপত্তিশালী ছিল। এই ভুল ধারণা তাদের ভবিষ্যতের প্রতি অবাস্তব আশা এবং ভুল সিদ্ধান্তের দিকে ধাবিত করে। তারা বিশ্বাস করে, ডি’আর্বারভিলস পরিবারের সাথে তাদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে পারলে তাদের আর্থিক দুর্দশা দূর হবে।

মে ডে মেলা ও এঞ্জেলের সাথে প্রথম দেখা: এক অসমাপ্ত প্রেমের শুরু

উপন্যাসের শুরুতেই, টেসের পরিবারে একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে তাদের একমাত্র ঘোড়াটি মারা যায়। এই ঘটনায় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। টেসের পরিবার তার ওপর চাপ দেয় ডি’আর্বারভিলস পরিবারের কাছে সাহায্য চাইতে। এদিকে, টেস তার বান্ধবীদের সাথে মে ডে মেলায় যোগ দেয়, যেখানে তার প্রথম দেখা হয় এঞ্জেল ক্লেয়ারের সাথে। এঞ্জেল টেসকে দেখে মুগ্ধ হলেও, তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক তখন গড়ে ওঠে না। এই মেলাটি ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে কাজ করে।

ডি’আর্বারভিল পরিবারের কাছে টেসের যাত্রা: এক অনাকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের শুরু

টেসের পরিবার তাদের কল্পিত ডি’আর্বারভিল বংশের সাথে সংযোগ স্থাপন করার জন্য টেসকে স্যান্ডবর্নে ডি’আর্বারভিলস পরিবারের কাছে পাঠায়। সেখানে টেসের সাথে পরিচয় হয় অ্যালেক ডি’আর্বারভিলের, যিনি আসলে ডি’আর্বারভিল পরিবারের প্রকৃত সদস্য নন, বরং একজন ধনী ব্যবসায়ী। অ্যালেক টেসকে তার পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে মেনে নেয় এবং তাকে তার মা মিসেস ডি’আর্বারভিলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। অ্যালেক টেসকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, এবং অবশেষে তার লালসার শিকার বানায়।

টেসের ধ*র্ষণ ও তার পরবর্তী মানসিক আঘাত: এক নারীর সংগ্রামের শুরু

অ্যালেকের দ্বারা ধ*র্ষণের পর টেসের জীবন একেবারেই পরিবর্তিত হয়ে যায়। এই ঘটনার পর টেস গ্রামে ফিরে আসে এবং সমাজের চোখে এক কলঙ্কিত নারী হিসেবে পরিচিতি পায়। তার ভিতরের আত্মসম্মানবোধ ভেঙে পড়ে এবং সে চরম মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়। তার জীবনের এই দুঃখময় অধ্যায় তাকে আরও বিচ্ছিন্ন এবং একাকী করে তোলে।

টেসের সন্তান ও তার মৃত্যুর কাহিনী: এক নারীর মাতৃত্বের যন্ত্রণার চিত্র

অ্যালেকের দ্বারা ধর্ষণের ফলে টেস গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং কিছুদিন পরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু তার সন্তান শীঘ্রই মারা যায়। টেস তার সন্তানের নাম রাখে “সরো” (Sorrow), যা তার জীবনের দুঃখ-দুর্দশার প্রতীকী অর্থ প্রকাশ করে। এই নামকরণের মাধ্যমে টেস তার জীবনের চরম দুঃখকে তুলে ধরে। টেস তার সন্তানকে গির্জার বাইরে একটি অজানা জায়গায় কবর দেয়, যা তার সামাজিক বঞ্চনা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠুরতার প্রতীক।

নতুন জীবনের খোঁজে: ডেইরি ফার্মে কাজ ও এঞ্জেলের পুনঃপ্রবেশ

সন্তানের মৃত্যুর পর, টেস সিদ্ধান্ত নেয় যে সে একটি নতুন জীবন শুরু করবে এবং টলবোথিস নামক একটি ডেইরি ফার্মে কাজ নেয়। সেখানে তার সাথে আবারও দেখা হয় এঞ্জেল ক্লেয়ারের, যিনি একজন শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। এঞ্জেল টেসের সৌন্দর্য, সরলতা এবং শ্রমশীলতায় মুগ্ধ হয়ে পড়ে এবং তাকে ভালোবাসতে শুরু করে। টেস যদিও তার অতীতের কারণে নিজেকে এঞ্জেলের ভালোবাসার উপযুক্ত মনে করে না, তবুও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এঞ্জেলের প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব: টেসের দ্বিধা ও সংকট

এঞ্জেল টেসকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু টেস তার অতীতের কারণে নিজেকে যোগ্য মনে করতে পারে না। তার মা তাকে পরামর্শ দেয় যে এসব কথা এঞ্জেলকে না জানানোই ভালো। অবশেষে, টেস তার অতীতের কথা একটি চিঠিতে লিখে এঞ্জেলের কাছে রাখে, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে চিঠিটি এঞ্জেল কখনো পড়তে পায় না। তারা বিয়ে করে এবং বাসর রাতে টেস তার অতীতের কথা এঞ্জেলকে খুলে বলে।

এঞ্জেলের প্রতিক্রিয়া: বিবাহের পর সম্পর্কের অবনতি

টেসের অতীত জানার পর, এঞ্জেল প্রচণ্ডভাবে হতাশ হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে সে টেসের সাথে আর থাকতে পারবে না। যদিও সে টেসকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের সম্পর্কের গভীরে একটি বড় ফাটল ধরে। এঞ্জেল টেসকে একা রেখে বিদেশে চলে যায়, এবং টেস আবার তার গ্রামের জীবনে ফিরে আসে। এই সময়ে, টেসের জীবন আরও অসহায় এবং একাকী হয়ে পড়ে।

অ্যালেকের পুনরাগমন: টেসের জীবনে নতুন এক বিপর্যয়

এঞ্জেলের চলে যাওয়ার পর, অ্যালেক ডি’আর্বারভিল আবার টেসের জীবনে ফিরে আসে। এবার অ্যালেক তাকে প্রলুব্ধ করার জন্য আরও কৌশল ব্যবহার করে। অ্যালেক টেসকে প্রস্তাব দেয় যে যদি সে তার সাথে থেকে তার মিসট্রেস হয়, তবে সে টেসের পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নেবে। প্রথমে টেস অ্যালেকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, কিন্তু তার পরিবারের আর্থিক দুর্দশা তাকে বাধ্য করে অ্যালেকের প্রস্তাবে রাজি হতে। এভাবেই টেস আবারও অ্যালেকের শিকারে পরিণত হয় এবং তার জীবনে নতুন করে বিষাদের ছায়া নেমে আসে।

এঞ্জেলের ফিরে আসা: সম্পর্কের চূড়ান্ত পরিণতি এবং টেসের আত্মসমর্পণ

একদিন, টেস জানতে পারে যে এঞ্জেল ব্রাজিল থেকে ফিরে এসেছে এবং তার জন্য অপেক্ষা করছে। এ সময় টেস বুঝতে পারে যে সে অ্যালেকের সাথে থাকার কারণে একটি বিশাল ভুল করেছে। ক্রোধে ও অপরাধবোধে আচ্ছন্ন হয়ে, টেস অ্যালেককে খুন করে এবং এঞ্জেলের সাথে পালিয়ে যায়। তারা দুজনে কিছুদিনের জন্য সুখী হয়, কিন্তু তাদের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। শেষ পর্যন্ত, টেস ধরা পড়ে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

উপসংহার: এক করুণ সমাজের প্রতিচ্ছবি

টমাস হার্ডির “টেস অব দ্য ডি’আর্বারভিলস” উপন্যাসটি এক নির্দোষ, সরল এবং পরিশ্রমী তরুণীর জীবনের করুণ পরিণতি তুলে ধরে। এই উপন্যাসে হার্ডি সমাজের কঠোর বাস্তবতা, ধর্মের নামে সামাজিক নিষ্ঠুরতা, এবং নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন। টেসের জীবনের দুঃখ-দুর্দশা এবং তার আত্মত্যাগের কাহিনী পাঠকদের মানবিক অনুভূতিতে আঘাত করে এবং সমাজের প্রতি গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে।

হার্ডি এই উপন্যাসের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন যে, সমাজের কুসংস্কার এবং ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে কতজন নির্দোষ মানুষ নিজেদের জীবনের উপর থেকে আস্থা হারায় এবং ধ্বংস হয়ে যায়। টেসের করুণ পরিণতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সমাজের পরিবর্তন না হলে, আরো অনেক টেস ডার্বিফিল্ড এর মত মানুষ দুঃখের শিকার হবে।

Course Code241101Marks: 100Credits: 4Class Hours: 60
Course Title: Nineteenth Century NovelSubject For: Honours Fourth Year
Writer NameNovel NameSummary
Jane AustenPride and PrejudiceRead Summary
Charles DickensA Tale of Two CitiesRead Summary
Charlotte BronteJane EyreRead Summary
Thomas HardyTess of the D’UrbervillesRead Summary

 

English Summary

“Tess of the d’Urbervilles,” a classic novel by Thomas Hardy published in 1891, explores the life and struggles of Tess Durbeyfield, a young woman from a poor family in rural England. The story begins in the village of Marlott, where Tess’s father, John Durbeyfield, learns from a clergyman named Tringham that their family is connected to the noble d’Urbervilles. This news excites John, who dreams of a better future for his family. During a May Day celebration, Tess meets Angel Clare, who is immediately taken with her beauty and purity.

As the plot develops, Tess’s life becomes increasingly troubled. Her family faces financial hardship after their horse, Prince, dies in an accident caused by Tess. Feeling responsible for her family’s misfortune, Tess seeks help from the d’Urberville family. At their estate, she encounters Alec d’Urberville, who offers her a job at his poultry farm. Alec’s intentions, however, are far from honorable.

Despite her hesitations, Tess accepts Alec’s offer. Alec’s behavior soon becomes overbearing and manipulative. During a journey home from a fair, he pressures Tess into a secluded area and imposes himself on her. This traumatic encounter leads to Tess becoming pregnant, and she later gives birth to a son named Sorrow, who dies shortly after birth.

In an effort to escape her troubled past, Tess finds work at a dairy farm called Talbothays, where she falls in love with Angel Clare. Angel admires Tess’s innocence and proposes marriage. Struggling with the decision to reveal her past, Tess eventually discloses her history on their wedding night. Angel, unable to come to terms with Tess’s past, leaves her and travels to Brazil.

Devastated, Tess returns to her village and faces numerous hardships. Alec reappears and proposes that Tess become his mistress in exchange for financial support for her family. In a moment of desperation, Tess agrees.

When Angel returns and learns about Tess’s situation, they decide to flee together. However, their attempt to start anew is short-lived. Tess, overwhelmed by Alec’s repeated advances and manipulation, kills him in a moment of anger. She and Angel go on the run but are ultimately captured by the authorities. Tess is arrested and sentenced to death.

In her final moments, Tess asks Angel to care for her younger sister, Liza-Lu, and to look after her family. The novel concludes with Tess’s execution, underscoring the harsh realities of societal and personal injustices and the inevitability of her tragic fate.

Author

  • Thomas Hardy

    টমাস হার্ডি, অর্ডার অব মেরিট (ইংরেজি Thomas Hardy, ২ জুন ১৮৪০ - ১১ জানুয়ারি ১৯২৮) একজন ইংরেজ সাহিত্যিক। রোমান্টিসিজম ঘরানার এই কবি ও ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ও চার্লস ডিকেন্স এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ডিকেন্সের মতো তার লেখাও ভিক্টোরিয়ান সোসাইটিতে সমালোচিত হয়েছিল। যদিও হার্ডি তার লেখায় তৎকালিন ক্ষয়িষ্ণু গ্রাম্য সমাজের দিকে বেশি আলোকপাত করেছিলেন। টমাস হার্ডি প্রথম দিকে নিজেকে একজন কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পরে অবশ্য একজন ঔপন্যাসিক হিসাবেও তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।তার লেখালেখির শুরুটা খুব অল্প বয়সে হলেও ১৮৭০ সালের পূর্বে তার কোন লেখা প্রকাশিত হয়নি। টেস অব দ্যা ড’আরবারভিলস (১৮৯১), ফার ফ্রম দ্যা ম্যডিং ক্রাউড (১৮৭৪), দ্যা মেয়র অব কাস্টারব্রিজ (১৯৮৬), জুড দ্যা অবসকিউর (১৮৯৫) তার জনপ্রিয় উপন্যাস।

    View all posts

Leave a Comment