Table of Contents
Kubla Khan by by Samuel Taylor Coleridge
Kubla Khan; or, A Vision in a Dream: A Fragment শিরোনামের কবিতাটি রোমান্টিক যুগের অন্যতম প্রতিভাবান কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের একটি অতিপ্রাকৃত এবং কল্পনাপ্রসূত রচনা। কোলরিজ, যিনি রোমান্টিক কবিতায় অতিপ্রাকৃত বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য “Father of Supernaturalism in Romantic Poetry” নামে পরিচিত, এই কবিতাটি ১৭৯৭ সালে রচনা করেন। পরে, লর্ড বায়রনের অনুরোধে ১৮১৬ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
কবিতাটি রহস্যময় এবং গভীর ভাবনাপ্রসূত একটি রোমান্টিক কাব্য। এটি ৫৪টি লাইনে বিভক্ত, যা তিনটি স্তবকে গঠিত। কবিতাটি লিখিত হয়েছে আইয়াম্বিক টেট্রামিটার (Iambic Tetrameter) ছন্দে, যা এর ছন্দময়তাকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। কবিতার স্থান ও কাল হিসেবে কোলরিজ বেছে নিয়েছেন মঙ্গোল সাম্রাজ্যের যানাডু (Xanadu) শহর এবং ১৯৯৭ সালের সময়কাল।
কুবলা খান কে ছিলেন?
এই কবিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র কুবলা খান আসলে ছিলেন মঙ্গোলিয়ার প্রভাবশালী সম্রাট কুবলাই খান। তিনি চেঙ্গিস খানের নাতি এবং মঙ্গোল সাম্রাজ্যের পঞ্চম খান। কুবলাই খান তার দক্ষ শাসন ও সামরিক শক্তির জন্য ইতিহাসে সুপরিচিত। কোলরিজ তার কবিতায় এই ঐতিহাসিক চরিত্রকে কেন্দ্রে রেখে এক কল্পনাপ্রসূত জগৎ তৈরি করেছেন, যেখানে কুবলাই খানের আদেশে যানাডু শহরে নির্মিত হয়েছে এক বিশাল এবং রহস্যময় আনন্দ-ভবন।
Structure and Form (স্ট্রাকচার এবং ফর্ম)
স্যামুয়েল টেলর কোলরিজের কবিতা ‘Kubla Khan’ তিনটি স্ট্যানজায় বিভক্ত, যার দৈর্ঘ্য পরিবর্তনশীল। কবিতার স্ট্রাকচার তার স্বপ্নময় প্রকৃতির প্রতিফলন করে, যেখানে ফোকাস এবং রিদমের পরিবর্তন ভাঙা বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কবিতার রাইম স্কিম জটিল এবং অনিয়মিত, যা এর স্বপ্নময় গুণকে প্রতিফলিত করে। প্রথম স্তবকে ABAAB প্যাটার্ন দিয়ে শুরু করে, যা পরবর্তী অংশে বিভিন্ন রাইমিং কাপলেট এবং অল্টারনেটিং রাইমে রূপান্তরিত হয়। এই বৈচিত্র্যময় রাইম স্কিম কবিতার রহস্যময় ও অন্যজাগতিক আবহকে আরও সমৃদ্ধ করে।
মিটারের দিক থেকে, এটি প্রধানত আইয়াম্বিক টেট্রামিটার (iambic tetrameter) ব্যবহার করে, যা একধরনের ছন্দময় ও মন্ত্রমুগ্ধকর গুণ প্রদান করে। তবে, কোলরিজ প্রায়ই এই প্যাটার্ন পরিবর্তন করেন, যেখানে ট্রোকি (trochees), এনাপেস্ট (anapests), এবং স্পন্ডি (spondees) অন্তর্ভুক্ত করা হয় নির্দিষ্ট শব্দকে জোর দেওয়া বা নির্দিষ্ট প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য। এই মেট্রিক্যাল নমনীয়তা কবিতাকে স্বপ্নময় প্রবাহ এবং হঠাৎ নাটকীয় জোরের মধ্যে পরিবর্তন করতে সক্ষম করে, যা বর্ণিত দৃষ্টির অতীন্দ্রিয় প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।
কবিতার এই স্ট্রাকচার এবং ফর্ম তার বিষয়বস্তুর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত, যা পাঠককে একটি রহস্যময় এবং অপ্রাকৃত অভিজ্ঞতার মধ্যে নিয়ে যায়।
Detailed Analysis (বিশদ বিশ্লেষণ)
লাইন ১-১২:
Or, a vision in a dream. A Fragment.
In Xanadu did Kubla Khan
A stately pleasure-dome decree:
Where Alph, the sacred river, ran
Through caverns measureless to man
Down to a sunless sea.
So twice five miles of fertile ground
With walls and towers were girdled round;
And there were gardens bright with sinuous rills,
Where blossomed many an incense-bearing tree;
And here were forests ancient as the hills,
Enfolding sunny spots of greenery.
এই অংশে স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ তার কবিতা ‘Kubla Khan’ এ বর্ণনা করেছেন কিভাবে কুবলা খান একটি মহিমান্বিত আনন্দ প্রাসাদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এই প্রাসাদ নির্মাণের জন্য কী কী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছিল। কুবলা খান ‘Alph’ নামে পবিত্র একটি নদীর তীরে এই প্রাসাদ নির্মাণের নির্দেশ দেন। এই পবিত্র নদী মাটির নীচে দিয়ে অসীম গুহার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এমন এক সাগরে পড়ে যেখানে সূর্যের রশ্মি প্রবেশ করতে পারে না।
এর জন্য, দশ মাইলের একটি উর্বর জমি বেছে নেওয়া হয়, যা চারপাশে প্রাচীর ও মিনার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এই জমির একদিকে ছিল সুগন্ধি গাছ ও ফুলের বাগান। এই বাগানে সুগন্ধি ফুল ফুটত এবং আঁকাবাঁকা ঝর্ণার ধারা প্রবাহিত হতো, যা এই স্থানটিকে অতুলনীয় সৌন্দর্য দান করেছিল। জমির অন্য দিকে ছিল গভীর, প্রাচীন বন, যা পাহাড়ের মতো প্রাচীন এবং যার মধ্যে রোদে উজ্জ্বল ছোট ছোট ঘাসভর্তি জমি ছিল।
কোলরিজ এই অংশে একটি রোমান্টিক ও রহস্যময় প্রাসাদের চিত্র আঁকেন। কবিতার এই বর্ণনা পাঠকদের একটি স্বর্গীয় পরিবেশে স্থানান্তরিত করে, যেখানে সংগীত, রঙ, এবং সুগন্ধ একীভূত হয়ে ওঠে। কবিতাটি নিয়ে সুইনবার্ন মন্তব্য করেছেন, “এই কবিতা পড়তে পড়তে আমরা এমন এক স্বর্গীয় পরিবেশে ঢুকে যাই, যেখানে সংগীত, রঙ, এবং সুগন্ধ এক হয়ে যায়; যেখানে আমরা রঙ শুনতে পারি এবং স্বর্গের সুর দেখতে পারি।”
এই অংশে কবি শুধু একটি স্থানের সৌন্দর্যের বর্ণনা দেননি, বরং একটি স্বপ্নময় ও পরাবাস্তব পরিবেশ তৈরি করেছেন যা পাঠকদের মনকে মুগ্ধ করে।
লাইন ১৩-৩১
But oh! that deep romantic chasm which slanted
Down the green hill athwart a cedarn cover!
A savage place! as holy and enchanted
As e’er beneath a waning moon was haunted
By woman wailing for her demon-lover!
And from this chasm, with ceaseless turmoil seething,
As if this earth in fast thick pants were breathing,
A mighty fountain momently was forced:
Amid whose swift half-intermitted burst
Huge fragments vaulted like rebounding hail,
Or chaffy grain beneath the thresher’s flail:
And mid these dancing rocks at once and ever
It flung up momently the sacred river.
Five miles meandering with a mazy motion
Through wood and dale the sacred river ran,
Then reached the caverns measureless to man,
And sank in tumult to a lifeless ocean;
And ’mid this tumult Kubla heard from far
Ancestral voices prophesying war!
এই অংশটি কোলরিজের ‘Kubla Khan’ কবিতার অন্যতম বিখ্যাত অংশ এবং শব্দ ও ছন্দের সহজাত ব্যবহার দ্বারা এটি পাঠকের মনকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। এই অংশে, কবি সেই রহস্যময় গভীর উপত্যকার কথা বলেছেন, যা সবুজ পাহাড়ের উপর দিয়ে সিডার গাছের ছায়ায় ঢেকে রয়েছে। এটি এক রহস্যময় এবং রোমান্টিক স্থান, যা বর্ণনার সীমা ছাড়িয়ে যায়।
এই জায়গাটি একটি জাদুময় পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে মনে হয় এটি ভূত, পরী এবং নিরাশ প্রেমিকাদের কান্নায় পূর্ণ, যারা ক্ষীণ চাঁদের আলোতে তাদের দানব-প্রেমিকের জন্য বিলাপ করছে। এই জায়গার অস্পষ্টতা ও রহস্যময়তা তন্ত্র-মন্ত্র এবং জাদুবিদ্যার ইঙ্গিত দেয়।
এই রহস্যময় গিরিখাত থেকে একটি বিশাল ঝর্ণা প্রবল গতিতে নির্গত হয়, যা এমনভাবে প্রবাহিত হচ্ছিল যেন পৃথিবী প্রচণ্ড শ্বাস নিচ্ছে। এই ঝর্ণা থেকে বিশাল পাথরের টুকরো উপরে উঠে বাতাসে নাচছিল এবং পরে চারদিকে ছিটকে পড়ছিল, যা দেখতে মনে হয়েছিল যেন আকাশ থেকে শিলাবৃষ্টি হচ্ছে বা ধান ঝাড়ার সময় চিটেগুলো বাতাসে উড়ছে।
এই গিরিখাত থেকেই পবিত্র নদী আল্ফ (Alph) প্রবাহিত হয়। এই নদী পাঁচ মাইল জিগজ্যাগ গতিতে বন ও উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অবর্ণনীয় গুহার মধ্য দিয়ে একটি নির্জীব সাগরে পড়ে। নদী যখন সাগরে পড়ে, তখন একটি প্রচণ্ড গর্জনের শব্দ তৈরি হয়।
এই বিশাল শব্দের মধ্যে, কুবলা খান তার পূর্বপুরুষদের কণ্ঠ শুনতে পান, যারা তাকে ভবিষ্যদ্বাণী করে জানায় যে, তিনি শীঘ্রই উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুদ্ধের দিকে ধাবিত হবেন। তার বিলাসবহুল জীবনের মগ্নতা ও অলসতা থেকে বেরিয়ে এসে তাকে অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দেয়।
এই অংশটি কেবল একটি রহস্যময় স্থান বা ঝর্ণার বিবরণ নয়; এটি একটি দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রতিফলন, যেখানে বিলাসিতা এবং অলসতা মানবজীবনে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেয়। কোলরিজ এখানে প্রকৃতি এবং মানবজীবনের মধ্যে এক জটিল সম্পর্ক তুলে ধরেছেন।
লাইন ৩২-৪২
The shadow of the dome of pleasure
Floated midway on the waves;
Where was heard the mingled measure
From the fountain and the caves.
It was a miracle of rare device,
A sunny pleasure-dome with caves of ice!
A damsel with a dulcimer
In a vision once I saw:
It was an Abyssinian maid
And on her dulcimer she played,
Singing of Mount Abora.
এই অংশে কোলরিজ কুবলা খানের আনন্দ ভবনের মোহনীয় পরিবেশ ও সৌন্দর্যের কথা আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। কুবলা খানের প্লেজার-ডোম ছিল এক আশ্চর্য রোমান্টিক এবং মনোরম প্রাসাদ। কবি বলেন, প্রাসাদের ছায়া পানির ওপর ভেসে উঠছিল এবং ঝর্ণার প্রবাহ এবং গুহার প্রতিধ্বনি মিলে এমন এক সুর তৈরি করেছিল যা মনে হচ্ছিল যেন সঙ্গীত বেজে চলেছে।
এই প্রাসাদ ছিল এক বিরল নির্মাণশৈলীর উদাহরণ, যা গ্রীষ্ম ও শীতের বৈশিষ্ট্য একসঙ্গে ধারণ করেছিল। প্রাসাদের উপরের অংশ ছিল খোলা ও উষ্ণ, যেখানে সূর্যের আলো পড়ত। আবার নিচের কক্ষগুলো বরফের সাহায্যে ঠান্ডা রাখা হতো, যা কখনোই গলত না।
পরবর্তী কয়েকটি লাইনে কোলরিজ একটি সুন্দরী তরুণীর পরিচয় দেন, যাকে একটি দূরবর্তী দেশ থেকে আনা হয়েছিল এই রোমান্টিক পরিবেশ সম্পূর্ণ করার জন্য। কবি বলেন যে, এক স্বপ্নে তিনি এই তরুণীকে দেখেছিলেন, যিনি আবিসিনিয়া (Abyssinia) থেকে এসেছিলেন।
তরুণীটি তার ডালসিমার (dulcimer) বাজিয়ে গান গাইছিলেন এবং তার দেশ আবিসিনিয়া এবং মাউন্ট আবোরা (Mount Abora) সম্পর্কে গাইছিলেন। এই গানের মাধ্যমে তরুণীর মাতৃভূমির প্রতি গভীর আকাঙ্ক্ষা ও স্মৃতি প্রকাশিত হয়। তিনি তার নিজের দেশ থেকে দূরে চীনে আনা হয়েছিলেন এবং স্বদেশে ফিরে যেতে ও নিজের দেশের মেয়েদের সঙ্গে আবার আনন্দে সময় কাটাতে চাইছিলেন।
কবিতার এই অংশে কোলরিজ স্বপ্নময় এবং রোমান্টিক পরিবেশের সাথে এক বিষণ্ণতার ছোঁয়া যোগ করেছেন, যেখানে এক তরুণীর স্বদেশ হারানোর ব্যথা এবং স্মৃতি প্রকাশ পেয়েছে। এটি শুধু একটি প্রাসাদের বিবরণ নয়, বরং মানবমনের গভীর ইচ্ছা ও স্মৃতির প্রতীকী চিত্র।
লাইন ৪৩-৫৫
Could I revive within me
Her symphony and song,
To such a deep delight ’twould win me,
That with music loud and long,
I would build that dome in air,
That sunny dome! those caves of ice!
And all who heard should see them there,
And all should cry, Beware! Beware!
His flashing eyes, his floating hair!
Weave a circle round him thrice,
And close your eyes with holy dread
For he on honey-dew hath fed,
And drunk the milk of Paradise.
এই লাইনে কবিতা শেষ হয়েছে, যদিও এটি একটি অসমাপ্ত কবিতা। কোলরিজ বলেন, যদি তিনি আবিসিনিয়ান তরুণীর সুরেলা গান ও ডালসিমারের মোহনীয় সুর মনে করতে বা পুনরায় শিখতে পারতেন, তবে তা তাকে এতটাই মোহিত করত যে, তিনি সেই সুরের শক্তি দিয়ে কুবলা খানের আনন্দ প্রাসাদ আকাশে তৈরি করতে পারতেন।
তার কল্পনার জগৎ সুরের গভীরতা ও শক্তি দিয়ে এতটাই অনুপ্রাণিত হয়ে উঠত যে, তিনি সেই প্রাসাদকে তার সম্পূর্ণ রূপে পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হতেন। কুবলা খানের প্রাসাদ যেমন উজ্জ্বল আলো ও বরফে পূর্ণ গুহার মিশ্রণে গঠিত ছিল, তেমনই তার কল্পনার দুনিয়ায় এই প্রাসাদ এক বিমূর্ত সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে উঠত।
কবির এই সৃষ্টিশীল কল্পনা “a willing suspension of disbelief” তৈরি করে। পাঠক অনুভব করবেন যে, তারা এই প্রাসাদের পুরো সৌন্দর্য তাদের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। তারা কবির চোখের ঝলকানি, তার ভাসমান চুল এবং তার আবেগপূর্ণ ঠোঁটের দ্বারা বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়ে উঠবেন।
তবে কবির এই উন্মত্ত অবস্থা পাঠকদের মধ্যে ভীতিও সঞ্চার করবে। তারা মনে করবে এই জাদুকরী মায়ার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে হলে তাকে তিনবার একটি মন্ত্রময় বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ করতে হবে। তারা এই প্রভাব এড়ানোর জন্য নিজের চোখ বন্ধ করে দেবেন এবং তাকে সম্মান ও ভয়ে দূরে রাখবেন।
শেষ লাইনগুলোতে কবি তার ঐশ্বরিক কাব্যিক অনুপ্রেরণার স্বাদ পাওয়ার কথা বলেন। তিনি “honey-dew” এবং “milk of Paradise” এর মতো ঐশ্বরিক সুধা পান করেছেন, যা তার কাব্যিক প্রতিভাকে অসীম শক্তি দিয়েছে। তার চোখের ঝলকানি এবং উপস্থিতির প্রভাব এতটাই তীব্র যে, সবাই তার থেকে সুরক্ষিত থাকতে চায়।
এই অংশটি কেবল কোলরিজের কল্পনার গভীরতা এবং তার কাব্যিক শক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে না, বরং সৃষ্টিশীল শিল্পের ভয় এবং বিস্ময় জাগানোর ক্ষমতারও দৃষ্টান্ত।
Bangla Summary of “Kubla Khan”
কুবলা খান কবিতাটি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের একটি মনোমুগ্ধকর কল্পনাপ্রসূত কবিতা, যা সম্রাট কুবলা খানের আদেশে নির্মিত এক অসাধারণ আনন্দ-ভবনের বিবরণ দিয়ে শুরু হয়। কবিতার শুরুতে যানাডু (Xanadu) নামক এক রহস্যময় ভূমির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই স্থানটি পবিত্র নদী, উর্বর জমি, এবং মায়াবী বনভূমি দিয়ে ঘেরা। কবিতায় বলা হয়েছে, আলফ (Alph) নামক একটি নদী এক পবিত্র খাত থেকে প্রবাহিত হয়ে অদ্ভুত মোড় নিয়ে গভীর এক সমুদ্রে মিশে গেছে।
পরে কবিতায় একটি গভীর খাত বা গিরিখাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখান থেকে এক ভয়ংকর ঝর্ণা বেরিয়ে আসে। এই ঝর্ণার জল পবিত্র আলফ নদীর দিকে ধাবিত হয় এবং নদীর প্রবাহ আশেপাশের প্রকৃতিকে ভিন্নধর্মী সৌন্দর্যে ভরিয়ে দেয়। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে, কুবলা খান তার পূর্বপুরুষদের কণ্ঠস্বর শুনতে পান, যা তাকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী দেয়। এদিকে, কুবলা খানের তৈরি বিশাল প্রাসাদের ছায়া নদীর ঢেউয়ের উপর ভাসতে থাকে। এই আনন্দ-ভবনটি এমনভাবে নির্মিত, যেখানে রোদের উষ্ণতা এবং বরফের গুহার শীতলতা একত্রে পাওয়া যায়, যা এক অপূর্ব নকশার নিদর্শন।
কবিতার পরবর্তী অংশে, কোলরিজ তার কল্পনার একটি দৃশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একবার স্বপ্নে তিনি এক আবিসিনিয়ান কুমারীকে দেখতে পান, যে একটি ডুলসিমার (dulcimer) বাজিয়ে “মাউন্ট এবোরা” (Mount Abora)-র গান গাইছিল। এই সুর এবং গানের মাধুর্যে কবি এতটাই বিমোহিত হন যে তিনি মনে করেন, যদি তিনি সেই গানের সুর পুনরায় সৃষ্টি করতে পারেন, তবে তিনিও একটি আনন্দ-ভবন নির্মাণ করতে পারবেন, যা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকবে।
কবিতার শেষে, কবি নিজের ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার কথা বলেন। তার কল্পনা এতটাই জীবন্ত এবং শক্তিশালী যে তার চোখে-মুখে জ্বলে ওঠে এক ভয়ংকর মাধুর্য। এই জাদুকরী অবস্থার কারণে অন্যরা তার কাছ থেকে ভীত হয়ে পড়ে এবং তাকে সুরক্ষিত রাখতে তিনবার একটি জাদুকরী বৃত্ত তৈরি করে। কবি নিজেকে এমন এক ব্যক্তিরূপে দেখান, যিনি “মধুময় শিশির” এবং “স্বর্গীয় দুধ” পান করেছেন। এটি ইঙ্গিত করে যে, তিনি ঐশ্বরিক কবিতা-প্রতিভায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যা তাকে অতিমানবীয় কল্পনার শক্তি দিয়েছে।
কবিতার ব্যাখ্যা ও শিক্ষা
কবিতাটি কল্পনার শক্তি, শিল্পের ঐশ্বরিক উৎস এবং মানুষের সৃষ্টিশীলতার সীমাহীন ক্ষমতা তুলে ধরে। এটি আমাদের শেখায়, সৃজনশীলতা কখনোই বাস্তবতার সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়। কবিতাটি তার অসামান্য ভাষা এবং চিত্রকল্পের মাধ্যমে পাঠককে মুগ্ধ করে এবং এক রহস্যময় জগতের অনুভূতি দেয়।
English Summary of “Kubla Khan”
The poem begins with a depiction of Xanadu, a mesmerizing pleasure dome constructed under the orders of Kubla Khan, the Mongolian emperor. This enchanted land is surrounded by fertile grounds, sacred rivers, and mysterious forests. It describes a powerful chasm where a fountain bursts forth, feeding the sacred river Alph that flows through the landscape and eventually disappears into a dark, lifeless ocean. Kubla Khan, amidst this captivating scenery, hears the voices of his ancestors foretelling wars and gazes upon the shadow of his grand dome floating on the waves.
In the latter part of the poem, the narrator shares a vision of an Abyssinian maiden playing a dulcimer and singing a heavenly song. This melody inspires him to dream of recreating the magnificent pleasure dome of Kubla Khan, not on solid ground but suspended in the air—a vision that blurs reality and imagination. The narrator believes that such divine music can imbue him with the power to rebuild the dome with its sunny brilliance and icy caves.
As the poem concludes, the narrator reflects on his otherworldly experience and warns readers of the poet’s divine inspiration, which manifests through his “flashing eyes” and “floating hair.” His mystical aura causes awe and fear, prompting others to protect themselves by weaving a magical circle around him. The poet, having consumed the sacred “honey-dew” and “milk of Paradise,” represents a figure transformed by divine artistic inspiration, exuding a mesmerizing charm that is both enchanting and unsettling.
This poem masterfully intertwines themes of imagination, creativity, and the supernatural, illustrating the transcendental power of art and inspiration.