Jane Eyre Bangla and English Summary

Jane Eyre by Charlotte Bronte Bangla and English Summary

“জেন আয়ার” শার্লট ব্রন্টি রচিত একটি কালজয়ী উপন্যাস। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র জেন আয়ার, একজন সাহসী ও সৎ তরুণী, যার জীবনসংগ্রামের গল্প এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। সমাজের বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে নিজের আত্মমর্যাদা ও সম্মান বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে নেয় জেন। উপন্যাসটি প্রেম, নৈতিকতা, এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশের এক চমৎকার উদাহরণ, যা পাঠকদের মুগ্ধ করে। “জেন আয়ার” কেবলমাত্র একটি গল্প নয়; এটি একজন নারীর আত্মপরিচয় খোঁজার সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।

সম্পূর্ণ শিরোনামজেন আয়র
লেখকশার্লট ব্রন্টে (মূলত কারর বেল পুরুষ ছদ্মনামে প্রকাশিত)
কাজের ধরণউপন্যাস
ধারাগথিক বিলডুংস্রোমান রোমান্স
ভাষাইংরেজি
লেখার সময় ও স্থান১৮৪৭, লন্ডন
প্রথম প্রকাশের তারিখ১৮৪৭
বর্ণনাকারীজেন আয়র
প্রধান চরিত্রজেন আয়র
প্রতিপক্ষবার্থা ম্যাসন, জেনের খালা মিসেস রিড এবং তার পরিবার সবাই প্রতিপক্ষ।
পটভূমি (সময়)ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম কয়েক দশক

চরিত্রসমূহ

  • জেন আয়র: জেন আয়র উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এবং বর্ণনাকারী। তিনি বুদ্ধিমতী ও সৎ একটি মেয়ে, যিনি তার মাতামহী খালা এবং পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অত্যাচারিত এবং অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যের শিকার। জেনের শৈশব কষ্টে কাটলেও তিনি দৃঢ় মানসিকতা ও আত্মমর্যাদায় পরিপূর্ণ। তার সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি ধাপে তিনি আত্মসম্মান বজায় রেখে এগিয়ে চলেন।
  • এডওয়ার্ড রচেস্টার: এডওয়ার্ড রচেস্টার থর্নফিল্ডের ধনী প্রভু। তিনি জেনের প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করেন এবং খুবই স্বাধীনচেতা এবং উদার মনোভাবাপন্ন। তিনি সমাজের প্রচলিত নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে জেনের সঙ্গে মনের কথা ভাগাভাগি করতে চান। তার যুবক জীবন মূলত ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেই কেটেছে। বাধ্য হয়ে তিনি এক উন্মাদ নারী বার্থাকে বিয়ে করেন, যা তার জীবনে দুর্দশা বয়ে আনে।
  • সেন্ট জন রিভার্স: জেন থর্নফিল্ড থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সেন্ট জন তার রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন। তিনি জেনকে খাদ্য ও আশ্রয় দেন এবং তার বোন মেরি ও ডায়ানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেন্ট জন ধর্মপ্রাণ ও গুরুগম্ভীর মানুষ, যিনি তার জীবনে ধর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন।
  • মিসেস রিড: জেনের খালা মিসেস রিড তাকে গেটসহেড হলে নির্মমভাবে বড় করে তুলেন। জেন এগারো বছর বয়স পর্যন্ত সেখানে থাকেন, পরে তাকে স্কুলে পাঠানো হয়। জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে জেন তার খালার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চেষ্টা করেন, কিন্তু মিসেস রিড এখনো তার প্রতি রাগান্বিত থাকেন, কারণ তার স্বামী জেনকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন।
  • বেসি লি: গেটসহেডের গৃহপরিচারিকা বেসি লি জেনের শৈশবে তার প্রতি সদয় আচরণ করেন। তিনি জেনকে বই পড়ে শোনান এবং গান শোনান। পরে তিনি রিড পরিবারের কোচম্যান রবার্ট লিভেনকে বিয়ে করেন।
  • মিস্টার লয়েড: মিস্টার লয়েড রিড পরিবারের ওষুধ বিক্রেতা, যিনি প্রস্তাব দেন যে জেনকে স্কুলে পাঠানো উচিত। তিনি সবসময় জেনের প্রতি সদয় ছিলেন এবং মিস টেম্পলকে একটি চিঠি লিখে জানান যে, জেনকে মিসেস রিড যে মিথ্যাবাদী বলে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়।
  • জর্জিয়ানা রিড: জেনের খালাতো বোন এবং মিসেস রিডের দুই কন্যার মধ্যে একজন। ছোটবেলায় জর্জিয়ানা জেনের প্রতি নিষ্ঠুর ছিল, কিন্তু পরবর্তী জীবনে সে জেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও আস্থা গড়ে তোলে। জর্জিয়ানা লর্ড এডউইন ভেয়ারের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তার বোন এলিজা এটি আবিষ্কার করে এবং প্রকাশ করে দেয়। মিসেস রিডের মৃত্যুর পর জর্জিয়ানা এক ধনী পুরুষকে বিয়ে করেন।
  • এলিজা রিড: তিনি জর্জিয়ানার কম সুন্দরী বোন, যিনি নিজেকে চার্চের কাজে উৎসর্গ করেন। এলিজা তার জীবনে ধ্যানধারণায় ধর্মপ্রাণ এবং কঠোর শৃঙ্খলাবদ্ধ।
  • জন রিড: এলিজা এবং জর্জিয়ানার ভাই জন রিড জেনের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতেন। পরবর্তী জীবনে তিনি মদ্যপান এবং জুয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
  • হেলেন বার্নস: হেলেন বার্নস লোউড স্কুলে জেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তিনি একটি অনুভূতিপ্রবণ এবং ধৈর্যশীল মেয়ে, যিনি জেনকে জীবনের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করেন।
  • মিস্টার ব্রকলহার্স্ট: মিস্টার ব্রকলহার্স্ট লোউড স্কুলের নিষ্ঠুর ও ভণ্ডামিপূর্ণ প্রধান। তিনি দারিদ্র্যের কথা প্রচার করেন, অথচ স্কুলের তহবিল থেকে চুরি করে নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য খরচ করেন। একটি টাইফাস মহামারি লোউডে আঘাত হানার পর ব্রকলহার্স্টের কুটিল ও অসৎ কর্মকাণ্ড প্রকাশিত হয় এবং তিনি জনসম্মুখে অপদস্থ হন।
  • মারিয়া টেম্পল: মারিয়া টেম্পল লোউড স্কুলের একজন দয়ালু শিক্ষিকা, যিনি জেন এবং হেলেনের প্রতি সম্মান এবং সহানুভূতি দেখান। বেসি লির পাশাপাশি, তিনি জেনের জীবনের প্রথম ইতিবাচক নারী আদর্শ হিসেবে কাজ করেন। মিস টেম্পল মিসেস রিডের অভিযোগের বিরুদ্ধে জেনের পক্ষ সমর্থন করে এবং তাকে স্কুলে একটি নতুন জীবন শুরু করতে সহায়তা করেন।
  • মিস স্ক্যাচার্ড: মিস স্ক্যাচার্ড লোউডের একজন রুক্ষ ও নিষ্ঠুর শিক্ষিকা, যিনি বিশেষ করে হেলেনের প্রতি অত্যন্ত কঠোর আচরণ করেন। তার অশোভন আচরণ এবং নির্মমতার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করেন।

রেড রুম:

“জেন আয়ার” উপন্যাসে রেড রুম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে উপস্থিত হয়, যা জেনের জীবনের কঠিন ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। গেটসহেডে, তার মামী মিসেস রীডের বাড়িতে, এই রুমটি হলো এমন একটি স্থান যেখানে জেনকে শাস্তি হিসেবে আটকে রাখা হয়। রেড রুমটি তার মৃত মামা মি. রীডের মৃত্যুস্থল, যা জেনের মনে ভয় ও আতঙ্কের জন্ম দেয়।

রেড রুমের ভেতরের পরিবেশ ছিল অন্ধকার, ঠাণ্ডা, এবং ভারী, যা জেনের মানসিক অবস্থা ও তার প্রতি সমাজের নির্দয় আচরণের প্রতীক। এই রুমটি জেনের প্রতি হওয়া অবিচার ও তার জীবনের শুরুতে তাকে যে নিঃসঙ্গতা ও অসম্মান সহ্য করতে হয়েছে, তার প্রতীকী স্থান। রেড রুমে তার অবস্থান জেনের জীবনের প্রথম বড় কষ্টের অভিজ্ঞতা, যা তাকে সাহসী ও দৃঢ়চেতা হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।

এই রুমে জেনের অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা তার জীবনের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রথম ধাপ এবং এর মধ্য দিয়েই তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে, যা উপন্যাসের পুরো অংশ জুড়ে লক্ষ্য করা যায়।

গেটসহেডে জেন আয়ারের জীবন সংগ্রাম

গেটসহেডের শুরুর কষ্টময় অধ্যায়:

জেন আয়ার, মাত্র দশ বছর বয়সী একটি অনাথ মেয়ে, গেটসহেডের কঠিন পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। তার মামী মিসেস সারাহ রীড, একটি নির্দয় মহিলা, জেনের প্রতি কোন স্নেহ প্রদর্শন করেন না। মিসেস রীডের সন্তানদের মধ্যে জন ছিল সবচেয়ে নিষ্ঠুর, যিনি প্রতিনিয়ত জেনের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে চেষ্টা করত। এই কঠিন সময়ে একমাত্র মিস বেসি, তাদের বাড়ির পরিচারিকা, জেনের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি দেখাতেন।

একদিন, জন জেনকে একটা বই নিয়ে লুকিয়ে পড়তে দেখে তাকে তুচ্ছ করে এবং তার বাবার সম্পত্তি নিয়ে কটাক্ষ করে। এক পর্যায়ে, জন বইটা জেনের মাথায় ছুঁড়ে মারে, যার ফলে তার কপাল কেটে যায়। প্রতিশোধ নিতে জেন জনকে আঘাত করে। এই ঘটনার জন্য মিসেস রীড জেনকে বাড়ির উপরের তলায় থাকা ভুতুড়ে লাল ঘরে শাস্তি হিসেবে বন্দী করে রাখেন। এখানে তার মামা মিস্টার রীডের মৃত্যু হয়েছিল, এবং জেন বিশ্বাস করতেন যে তার আত্মা এখনো সেই ঘরে ঘুরে বেড়ায়। ভয় ও আতঙ্কে জেন অজ্ঞান হয়ে পড়ে, এবং যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তিনি দয়ালু ডাক্তার জনাব লয়েড এবং মিস বেসিকে পাশে দেখতে পান। মিস্টার লয়েডের পরামর্শে, মিসেস রীড জেনকে দূরের কোনো স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

লোউড স্কুলে নতুন জীবনের সূচনা:

জেনকে লোউড স্কুলে ভর্তি করা হয়, যেখানে মিস্টার ব্রকলহার্স্ট, একজন নিষ্ঠুর এবং দ্বিচারী ব্যক্তি, স্কুলের প্রধান। তিনি ছাত্রীদের কঠোর জীবনযাপন করতে বাধ্য করেন, যদিও নিজে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। লোউডে থাকার সময় জেন দুইজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে পরিচিত হয়—তার বন্ধু হেলেন বার্নস এবং তার শিক্ষিকা মিস মারিয়া টেম্পল। যদিও স্কুলের পরিবেশ খুবই কঠিন, তবুও জেন এখানে কিছুটা শান্তি খুঁজে পান কারণ তিনি তার মামী ও কাজিনদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হন।

কিন্তু এক শীতের মৌসুমে, টাইফাস মহামারী আঘাত হানে, এবং জেনের প্রিয় বান্ধবী হেলেনসহ প্রায় ত্রিশজন ছাত্রী প্রাণ হারায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, লোউড স্কুলের ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠিত হয় এবং সেখানে নতুন পরিবর্তন আনা হয়। জেন এখানে ছয় বছর শিক্ষার্থী হিসেবে এবং আরও দুই বছর শিক্ষিকা হিসেবে কাটান। তবে মিস টেম্পলের বিয়ের পর, জেনের মন আর লোউডে বসে না, তাই তিনি পত্রিকায় শিক্ষকতার বিজ্ঞাপন দেন।

থর্নফিল্ডে জেনের নতুন জীবন ও প্রেমের সূচনা:

প্রায় দুই সপ্তাহ পর, জেন থর্নফিল্ডের একটি চাকরির প্রস্তাব পান, যেখানে তাকে অ্যাডেল নামে একটি ফরাসি মেয়েকে পড়ানোর দায়িত্ব নিতে বলা হয়। অ্যাডেলকে বাড়ির মালিক জনাব রচেস্টার দত্তক নিয়েছেন। জেন থর্নফিল্ডে গেলে সেখানকার পরিবেশ এবং অ্যাডেল ও মিস ফেয়ারফ্যাক্সের সাথে পরিচয় পেয়ে তিনি আনন্দিত হন।

মাস তিনেক পর, জেন থর্নফিল্ডে জনাব রচেস্টারের সাথে দেখা করেন এবং মনে মনে তাকে ভালোবেসে ফেলেন। এক রাতে জেন একটি চিৎকার শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে রচেস্টারের ঘরে আগুন দেখতে পান। তিনি দ্রুত রচেস্টারকে জাগিয়ে তোলেন এবং আগুন নেভাতে সহায়তা করেন। তবে রচেস্টার আগুন লাগার আসল কারণ গোপন রাখেন এবং সবকিছু পুরোপুরি খোলাসা করেন না।

পরবর্তীতে, থর্নফিল্ডে ব্লানশে ইনগ্রাম নামে এক মহিলার আগমন ঘটে, যা জেনের মনে হতাশা সৃষ্টি করে। এদিকে, জনাব ম্যাসন নামে এক ব্যক্তি জ্যামাইকা থেকে আসেন, যিনি রচেস্টারের সাথে কিছু গোপন বিষয়ে আলোচনা করেন। জেনের কৌতূহল বাড়লেও, রচেস্টার তাকে পুরো ঘটনা জানাতে নারাজ।

মিসেস রীডের অসুস্থতা ও জেনের পুনর্মিলন:

এর কিছুদিন পর, মিস বেসির স্বামী লীভেন এসে জেনকে জানায় যে, মিসেস রীড গুরুতর অসুস্থ এবং তাকে দেখতে চেয়েছেন। জেন ছুটি নিয়ে গেটশেডে যান এবং মিসেস রীডের সাথে দেখা করেন। মিসেস রীড জেনকে জানান যে, তিনি এখনো তাকে ঘৃণা করেন। মিসেস রীডের মৃত্যু এবং জন রীডের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জেনে জেন দুঃখিত হন।

মিসেস রীডের মৃত্যুর পর, জেন থর্নফিল্ডে ফিরে আসেন এবং জনাব রচেস্টার তাকে তার ভালোবাসার কথা জানান। প্রথমে জেন বিশ্বাস করতে পারেন না, কিন্তু পরে রচেস্টার তাকে বোঝান যে তিনি তাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসেছিলেন। তারা বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন, কিন্তু বিয়ের আসরে মি. ম্যাসন এসে জানায় যে, রচেস্টারের একটি স্ত্রী আছে—বার্থা ম্যাসন, যাকে তিনি থর্নফিল্ডের উপর তলায় বন্দী করে রেখেছেন। এই ঘটনা জেনে জেন ভীষণভাবে আহত হন এবং থর্নফিল্ড ছেড়ে চলে যান।

জেনের নতুন জীবন এবং উপন্যাসের সমাপ্তি:

কিছুদিন পর, জেন থর্নফিল্ড ত্যাগ করে এবং ফার্নাডিনে মিস্টার রচেস্টারকে খুঁজে পান, যিনি একটি ভয়াবহ আগুনে তার দৃষ্টিশক্তি এবং এক হাতের কর্মশক্তি হারিয়েছেন। তাদের পুনর্মিলন ঘটে এবং তারা বিয়ে করেন। জেন এবং রচেস্টার সুখী দাম্পত্য জীবন শুরু করেন এবং তাদের একটি সন্তানও হয়। রচেস্টার তার দৃষ্টিশক্তি কিছুটা ফিরে পান এবং তার সন্তানকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেন।

উপন্যাসের শিক্ষা:

জেন আয়ারের জীবন সংগ্রাম, প্রেম, এবং আত্মসম্মান রক্ষা করার এই গল্পটি পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এটি দেখায় কিভাবে একজন নারী, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, তার জীবনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এবং তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

Course Code241101Marks: 100Credits: 4Class Hours: 60
Course Title: Nineteenth Century NovelSubject For: Honours Fourth Year
Writer NameNovel NameSummary
Jane AustenPride and PrejudiceRead Summary
Charles DickensA Tale of Two CitiesRead Summary
Charlotte BronteJane EyreRead Summary
Thomas HardyTess of the D’UrbervillesRead Summary

 

Summary of “Jane Eyre” in English

Jane’s Early Struggles at Gateshead:

The story begins with Jane Eyre, a 10-year-old orphan living with her cruel aunt, Mrs. Sarah Reed, at Gateshead. Jane is treated poorly by her aunt and her cousins, especially John, who constantly bullies her. Despite the harsh treatment, the only person who shows Jane some kindness is the servant, Miss Bessie. One day, after being insulted and hit by John, Jane fights back, leading Mrs. Reed to lock her in the “red room,” where Jane’s deceased uncle had passed away. Jane is terrified and eventually faints from the fear. When she recovers, she is comforted by the kind doctor, Mr. Lloyd, who suggests that Jane be sent away to school, as she is unhappy at Gateshead.

Jane’s Life at Lowood School:

Jane is sent to Lowood School, which is run by the harsh and hypocritical Mr. Brocklehurst. The school has strict rules, and the girls are often hungry and cold. However, Jane befriends Helen Burns, a kind and patient girl, and Miss Maria Temple, a compassionate teacher. Despite the hardships, Jane finds some stability and peace at Lowood. Tragedy strikes when a typhus epidemic sweeps through the school, killing many students, including Helen. This event brings attention to the poor conditions at Lowood, leading to improvements. Jane stays at Lowood for six years as a student and then two more years as a teacher. However, after Miss Temple marries and leaves, Jane feels restless and decides to seek a new position.

Jane’s New Life and Love at Thornfield:

Jane finds a job as a governess at Thornfield Hall, where she is to teach a French girl named Adèle, who has been taken in by the house’s owner, Mr. Rochester. Jane quickly grows fond of Thornfield, Adèle, and the housekeeper, Mrs. Fairfax. After some time, Jane meets Mr. Rochester, who is a stern and mysterious man. Jane falls in love with him, although she keeps her feelings hidden.

One night, Jane hears a strange cry and discovers that Mr. Rochester’s room is on fire. She saves him, but he does not explain the cause of the fire, leaving Jane puzzled. Later, Mr. Rochester brings home a woman named Blanche Ingram, which makes Jane feel heartbroken, believing that he intends to marry Blanche. However, strange events continue to happen at Thornfield, including the arrival of a man named Mr. Mason from Jamaica, who seems to have a secret connection with Mr. Rochester.

Returning to Gateshead and Discovering Family:

Jane is called back to Gateshead to see her dying aunt, Mrs. Reed. There, she learns that her cousin John has died, and Mrs. Reed confesses that she once received a letter from Jane’s uncle, John Eyre, who wanted to adopt Jane. However, Mrs. Reed lied and told him that Jane had died of typhus. After Mrs. Reed’s death, Jane returns to Thornfield, where Mr. Rochester finally confesses his love for her and proposes marriage. Jane is overjoyed, but during the wedding ceremony, a shocking secret is revealed: Mr. Rochester is already married to a woman named Bertha Mason, who is mentally ill and kept locked in the attic at Thornfield.

The Ending and Jane’s Happy Reunion:

Devastated by the revelation, Jane leaves Thornfield with a heavy heart and very little money. She eventually finds shelter at Moor House, where she meets St. John Rivers and his sisters, who take her in. Jane adopts a new name and starts teaching at a local school. St. John later discovers Jane’s true identity and informs her that her uncle has left her a large inheritance. Jane is also surprised to learn that St. John and his sisters are her cousins. Jane decides to share her newfound wealth with them.

St. John proposes to Jane, asking her to join him as a missionary in India, but she declines, as she still loves Mr. Rochester. One night, she hears Mr. Rochester calling her name and decides to return to Thornfield. There, she discovers that Thornfield has burned down, and Mr. Rochester is now blind and has lost the use of one hand due to the fire. Jane finds Mr. Rochester at a nearby house and they are joyfully reunited. They marry, and Jane cares for him. Over time, Mr. Rochester regains some of his sight, and they have a child together, leading a happy and fulfilling life.

Moral Lessons:

“Jane Eyre” is a story of resilience, self-respect, and love. It teaches readers the importance of staying true to oneself, standing up against injustice, and finding inner strength in the face of adversity. Jane’s journey from a mistreated orphan to a strong, independent woman is an inspiration to all.

Author

  • Charlotte Brontë

    শার্লট ব্রন্টি (ইংরেজি: Charlotte Brontë; ২১ এপ্রিল ১৮১৬ - ৩১ মার্চ ১৮৫৫) ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি। তিনি ব্রন্টি বোনদের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ ও প্রাপ্ত বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। তার উপন্যাসগুলো ইংরেজি সাহিত্যের ধ্রুপদী সাহিত্যকর্ম হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।১৮৩১ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪ বছর বয়সে শার্লট রো হেডে বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি পরের বছর তার দুই বোন এমিলি ও অ্যানকে শিক্ষাদানের জন্য বাড়ি ফিরে আসেন এবং ১৮৩৫ সালে গৃহশিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৩৯ সালে তিনি সিজউইক পরিবারের গৃহশিক্ষিকার দায়িত্ব নেন, কিন্তু কয়েক মাস পর তিনি হাওয়ার্থে ফিরে আসেন যেখানে তার বোনেরা একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, কিন্তু তার শিক্ষার্থী সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। এর পরিবর্তে তারা লেখনী শুরু করেন এবং ১৮৪৬ সালে তারা যথাক্রমে কুরার, এলিস এবং অ্যাক্টন বেল ছদ্মনামে তাদের প্রথম কাজ প্রকাশ করেন। শার্লটের প্রথম উপন্যাস দ্য প্রফেসর প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয় এবং তার দ্বিতীয় উপন্যাস জেন আইয়ার ১৮৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। এই বোনেরা ১৮৪৮ সালে তাদের বেল ছদ্মনাম উন্মোচন করেন এবং পরের বছর লন্ডন লিটারেরি সার্কেলের সাথে যোগ দেন।শার্লটের বাকি বোনেরা অল্প বয়সে মারা যান। তিনি ১৮৫৪ সালের জুন মাসে বিয়ের কিছুদিন পর অন্তঃসত্ত্বা হন এবং ১৮৫৫ সালের ৩১শে মার্চ গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব ও বমিজনিত হাইপারমেসিস গ্র্যাভিডারামে রোগে মারা যান।

    View all posts

Leave a Comment