Because I could not stop for Death (479) Bangla

Because I Could not Stop for Death (479) by Emily Dickinson

“Because I could not stop for death” এমিলি ডিকিনসনের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলোর একটি, যা প্রায় ১৮৬৩ সালের দিকে রচিত হয়েছিল। এই কবিতায় এক মহিলা বর্ণনা করেন কীভাবে তিনি “মৃত্যু” দ্বারা পরিদর্শিত হন, যাকে একজন “দয়ালু” ভদ্রলোক হিসেবে ব্যক্তিকৃত করা হয়েছে, এবং তাকে তার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই যাত্রা কবিকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতীকগুলির পাশ দিয়ে নিয়ে যায়, এবং শেষমেশ তার নিজস্ব সমাধিস্থলে এসে থামে। কবিতাটি একদিকে স্বর্গীয় খ্রিস্টীয় পরজীবনের প্রত্যাশা হিসেবে পড়া যেতে পারে, আবার অন্যদিকে এটি অনেক বেশি নৈরাশ্যপূর্ণ এবং বাস্তবমুখী হিসেবে দেখা যেতে পারে। এর শক্তির একটি বড় অংশ আসে জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য—মানুষের মৃত্যুর পর কী ঘটে—এর সহজ উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানানো থেকে।

শিরোনামতথ্য
মূল কবিতাBecause I could not stop for Death
বাংলা শিরোনামকারণ আমি মৃত্যুর জন্য থামতে পারি না
লেখকএমিলি ডিকিনসন
লেখার সময়১৮৬৩
প্রকাশিত তারিখ১৮৯০ (মরণোত্তর)
ধরনলিরিক কবিতা, মৃত্যুর উপর ধ্যান
টোনশান্ত, প্রতিফলিত, ধ্যানমূলক
লাইন সংখ্যা২৪ লাইন (৬টি চতুর্দশ পংক্তি)
প্রধান প্রতীকমৃত্যু, অমরত্ব, গাড়ি যাত্রা, সূর্যাস্ত, কবর
লিটারারি ডিভাইসউপমা, রূপক, ব্যক্তিবাচকতা, পুনরাবৃত্তি, অলঙ্করণ, দৌড়ঝাঁপ

English Poem

Because I could not stop for Death –
He kindly stopped for me –
The Carriage held but just Ourselves –
And Immortality.

We slowly drove – He knew no haste
And I had put away
My labor and my leisure too,
For His Civility –

We passed the School, where Children strove
At Recess – in the Ring –
We passed the Fields of Gazing Grain –
We passed the Setting Sun –

Or rather – He passed Us –
The Dews drew quivering and Chill –
For only Gossamer, my Gown –
My Tippet – only Tulle –

We paused before a House that seemed
A Swelling of the Ground –
The Roof was scarcely visible –
The Cornice – in the Ground –

Since then – ’tis Centuries – and yet
Feels shorter than the Day
I first surmised the Horses’ Heads
Were toward Eternity –

Bangla Translation

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য থামতে পারিনি –
মৃত্যুই দয়াবশত থেমেছিল আমার জন্য –
যানটি বহন করল শুধু আমাদেরকে –
আর অমরত্বকে।

আমরা চললাম ধীরে, তাঁরও ছিল না কোনো তাড়াহুড়ো –
আর আমি রেখেছিলাম দূরে
আমার কর্ম এবং অবসরও,
তাঁর সৌজন্যের তরে।

আমরা পেরিয়ে গেলাম স্কুল, যেখানে শিশুরা খেলছিল
অবসরে – বৃত্তের মাঝে –
ফসলের মাঠ পেরিয়ে গেলাম তাকিয়ে –
আমরা পেরিয়ে গেলাম অস্তগামী সূর্যকে –

বরং, সূর্য আমাদের পেরিয়ে গিয়েছিল –
শিশির ঝরে শীতল শিহরণ তৈরি করছিল –
কারণ আমার পোশাক ছিল কেবল পাতলা জালের তৈরি –
আমার ওড়না – কেবল টিউলের।

আমরা থামলাম একটি গৃহের সামনে, যা মনে হলো
মাটির একটি উঁচু স্তূপ –
ছাদটি প্রায় অদৃশ্য –
কর্নিশ – মাটির ভেতরে।

তারপর থেকে শতাব্দী পার হয়ে গেছে – তবুও
মনে হয় দিনের চেয়েও সংক্ষিপ্ত –
আমি প্রথম অনুমান করেছিলাম
ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল অনন্তকালের দিকে।

Themes

“Because I Could Not Stop for Death—” কবিতায় তিনটি প্রধান থিম রয়েছে: মৃত্যু, সময় এবং অনন্তকাল।

মৃত্যু (Death): মৃত্যু ডিকিনসনের কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই কবিতায়, মৃত্যু অনুসন্ধানের জন্য, ডিকিনসন এমন একটি চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন যিনি ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।

সময় (Time): কবি নিজের জীবন দ্রুত চলে যাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু মৃত্যুর যাত্রা দীর্ঘ মনে হয়। এটি জীবনের স্বল্পতা এবং মৃত্যুর দীর্ঘস্থায়ীতার প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

অনন্তকাল (Eternity): কবি মৃত্যু সম্পর্কে বলেন যে এটি কোন সময়কাল বা স্থানগত সীমা নেই এবং মৃত্যুর যাত্রা এমন অনুভূত হয় যে এটি কখনোই শেষ হয় না। এটি মৃত্যুর চিরস্থায়ীতার উপর একটি মন্তব্য হতে পারে।

Themes and Meanings

মৃত্যু এবং অমরত্ব
এমিলি ডিকিনসনের অনেক কাজের মূল বিষয়বস্তু হলো মৃত্যু, এবং “Because I Could Not Stop for Death” কবিতাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। মৃত্যু এবং অমরত্ব এই কবিতার প্রধান থিম। কবি মৃত্যুকে যেভাবে ব্যক্তিকৃত করেছেন, তা এই থিমটিকে শক্তিশালী করে তোলে—মৃত্যুকে পুংলিঙ্গ রূপে চিত্রিত করতে গিয়ে ডিকিনসন মৃত্যুকে ব্যক্তিরূপে তুলে ধরেছেন, যা কবিতার প্রথম দুই লাইনেই স্পষ্ট: “Because I could not stop for Death—He kindly stopped for me—।” এখানে মৃত্যুকে এমন একজন পুরুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে যার ক্ষমতা রয়েছে যা তিনি চান তা পাওয়ার। কেউ যদি মৃত্যুর কাছে নিজে থেকে না যায়, তবে মৃত্যু নিজেই তাদের কাছে এসে তাদেরকে তার গাড়িতে তুলে নেবে।

মৃত্যুর সাথে অমরত্বের থিমটিও উঠে আসে, যা প্রথম স্তবকে মৃত্যুর সঙ্গী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে এবং এখানে অমরত্বও ব্যক্তিকৃত হয়েছে। তবে, মৃত্যুর থিমটি পুরো কবিতায় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, যেখানে অমরত্বের উল্লেখ মাত্র একবার করা হয়েছে এবং এটির ওপর আর কোনো বিশদ বর্ণনা বা মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এই ব্যাখ্যার অভাব অর্থটিকে অস্পষ্ট করে রেখেছে এবং পাঠকের ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করছে।

চক্র এবং পরিক্রমা
কবিতাটিতে একটি বৃত্তাকার অনুভূতি রয়েছে, যা জীবনের বৃত্তাকার প্রকৃতির উপর একটি মন্তব্য। বৃত্তাকার থিমটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। গাড়ির যাত্রাটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতীকী রূপ, যা জীবনের চক্রকে প্রতিনিধিত্ব করে। গাড়ির ধীর ও স্থির গতি এবং কবির দ্বারা দৃশ্যের পর্যবেক্ষণ সময়ের অতিক্রমের ওপর জোর দেয়। এই সময়ের অতিক্রম পরিক্রমামূলক, কারণ এটি ব্যক্তির অভিজ্ঞতা বা আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর না করেই চলতে থাকে।

প্রথম স্তবকটি শুরু হতে পারে জন্মের প্রতীক হিসেবে। দ্বিতীয় স্তবকটি শৈশবের সেই প্রথম দিকের বছরগুলিকে উপস্থাপন করে, যেখানে “কোনও তাড়া নেই”। এরপর স্কুলের উল্লেখ আসে, এবং যখন গাড়িটি স্কুলের পাশ দিয়ে যায়, তারা বৃত্তে খেলা করা বাচ্চাদের দেখে, যা কবিতার বৃত্তাকার প্রকৃতিকে প্রকাশ করে। শেষ স্তবকে বৃত্তাকার থিমটি এমনভাবে মোড়ানো হয়েছে: “We paused before a House that seemed/A Swelling of the Ground—/The Roof was scarcely visible—/The Cornice — in the Ground—,” এখানে পাঠকদের ঘরের দিকে তাকাতে বলা হয়েছে, কিন্তু তারা মূলত মাটির দিকে মনোযোগ দেয়। এই ঘরটি মাটির ওপর তৈরি, যেখানে কবি এবং পাঠকরা অবশেষে মৃত্যুর পর পৌঁছাবে।

কবিতায় প্রকৃতি এবং ঋতুর পরিবর্তনের উল্লেখগুলি পরিক্রমামূলক থিমগুলিকে জোর দেয়। “Fields of Gazing Grain” এবং “Setting Sun” প্রাকৃতিক বিশ্বের চক্রগুলির প্রতিচ্ছবি। ঋতুগুলির পরিবর্তন জীবনের বিভিন্ন ধাপকে প্রতীকী রূপে উপস্থাপন করে, যা বৃদ্ধি, পরিপক্কতা থেকে ক্ষয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত।

শেষ স্তবকে কবির সময়ের অনুভূতি বদলে যায়, যা এক ধরনের চিরন্তন দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। তিনি উল্লেখ করেন যে “Centuries” তাদের গাড়ির দিনটির চেয়ে ছোট মনে হয়। এই সময়ের বিকৃতি এ ধারণাকে প্রতিফলিত করে যে একবার কেউ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গেলে, তারা এমন একটি ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে যেখানে মানবিক সময়ের ধারণা আর প্রযোজ্য নয়, যা একটি পরিক্রমামূলক পরিবর্তন ঘটায় মানবিক সময় থেকে এক চিরন্তন বা কালাতীত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে।

“Because I Could Not Stop for Death” কবিতার পরিক্রমামূলক থিমটি মৃত্যুর অপরিহার্যতা এবং জীবন ও পরজীবনের আন্তঃসংযোগকে তুলে ধরে। কবিতার গঠন, চিত্রকল্প এবং অগ্রগতি এই থিমকে সমর্থন করে, যা এই ধারণাকে জোর দেয় যে মৃত্যু কোনও সমাপ্তি নয় বরং অস্তিত্বের প্রাকৃতিক চক্রের একটি অবিরত অংশ।

Bangla Summary

“Because I could not stop for Death” এমিলি ডিকিনসনের লেখা একটি প্রখ্যাত কবিতা, যেখানে তিনি মৃত্যুকে একজন ভদ্রলোকের রূপে তুলে ধরেছেন। এই ভদ্রলোক কবিকে একটি শবযানে করে জীবনের বিভিন্ন পর্যায় পাড়ি দিয়ে অনন্তকালের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। কবিতাটি ছয়টি স্তবকে ABCB ছন্দমিল এবং iambic tetrameter এ রচিত হয়েছে।

প্রথম স্তবকে কবি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি মৃত্যুর জন্য থামতে পারেননি, তাই মৃত্যুই ভদ্রতার সাথে তাঁর জন্য থেমেছিল। এতে বোঝানো হয়েছে যে মৃত্যু কখনও কারও ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, বরং নিজেই এসে উপস্থিত হয়। দ্বিতীয় স্তবকে, মৃত্যুর সাথে কবির যাত্রা শুরু হয়, যেখানে শৈশবের স্মৃতি হিসেবে স্কুলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি জীবনের একটি অধ্যায়ের প্রতীক।

তৃতীয় স্তবকে, তারা শস্যক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে যাত্রা করেন, যা কবির যৌবনকালের প্রতীক। এটি জীবনের মধ্যবর্তী সময়কালকে চিহ্নিত করে। চতুর্থ স্তবকে, তারা অস্তগামী সূর্যকে অতিক্রম করেন, যা কবির মৃত্যুর প্রতীক। এই পর্যায়ে, কবি অনুভব করেন যে শীতল রাত্রির আগমন মৃত্যুর উপস্থিতি নির্দেশ করছে।

পঞ্চম স্তবকে, কবি বুঝতে পারেন যে, মৃত্যুর সাথে তার যাত্রাটি একটি সাধারণ ভ্রমণ নয়, বরং এটি আসলে অনন্তকালের দিকে যাত্রা। এটি কবির মৃত্যুর জন্য অপ্রস্তুত থাকার অবস্থা নির্দেশ করে। শেষ স্তবকে, কবি তার চূড়ান্ত বিশ্রামস্থলে পৌঁছান, যা তিনি “বাড়ি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে, এটি তার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ছোট, যা মৃত্যুর পর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। স্পিকারের চূড়ান্ত গন্তব্যকে এমন একটি স্থান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে তিনি “অনন্তকালের সূর্যোদয়”-এ শুয়ে থাকবেন, যা চিরস্থায়ী বিশ্রামের প্রতীক।

English Summary

Emily Dickinson’s poem “Because I Could Not Stop for Death” presents death as a courteous gentleman who arrives unexpectedly to escort the speaker on a journey toward eternity. The poem, composed in six quatrains, follows an ABCB rhyme scheme and is written in iambic tetrameter.

In the first stanza, the speaker acknowledges that death arrives unbidden, but she does not fear it. Instead, she embraces it as a companion on this inevitable journey. The speaker metaphorically personifies death as a kind figure who “kindly stopped” for her when she could not stop for it.

The second stanza describes how the speaker willingly abandons her work and leisure to accompany death. The journey is slow and deliberate, reflecting death’s calm demeanor and the speaker’s acceptance of her fate.

In the third stanza, the carriage passes by familiar scenes, including a school where children are playing, symbolizing the stages of life. The passing of the fields of grain represents maturity, and the setting sun signifies the approach of death.

The fourth stanza shifts the tone as the speaker realizes that the sun (time) has passed them, leading to a colder, more somber atmosphere. The speaker describes her clothing as inadequate for the growing chill, symbolizing the transition from life to death and the vulnerability that comes with it.

In the fifth stanza, the carriage pauses before a house that appears to be a burial site, with the roof scarcely visible above the ground. This house represents the speaker’s grave, where she will rest for eternity.

The final stanza reveals that the speaker has been dead for centuries, yet the journey with death feels shorter than a day. The speaker reflects on her realization that the horses’ heads were leading her toward eternity, signifying that death is not the end but a passage to an everlasting existence.

Through this poem, Dickinson explores the theme of mortality, portraying death not as something to be feared, but as a natural and inevitable part of life’s journey toward eternity.

Author

  • Emily Dickinson

    এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন (১০ই ডিসেম্বর, ১৮৩০ - ১৫ই মে, ১৮৮৬) ছিলেন একজন বিখ্যাত মার্কিন কবি, যিনি তার জীবদ্দশায় খুব কমই পরিচিত ছিলেন, তবে মৃত্যুর পর মার্কিন কবিতার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে উঠেছেন। ডিকিনসন ম্যাসাচুসেটসের অ্যামহার্স্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং একাকী, নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেছেন। তিনি কখনো বিয়ে করেননি এবং তার জীবনের শেষ সময়টা সম্পূর্ণভাবে একাকী কাটান।ডিকিনসন তার জীবনে প্রায় ১৮০০টি কবিতা লিখেছিলেন, তবে মাত্র কয়েকটি কবিতা তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা প্রকাশকরা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছিল। তার কবিতাগুলি শিরোনামবিহীন, ছোট বাক্যে সাজানো এবং তির্যক অর্থপূর্ণ ছিল। তার কবিতায় মৃত্যু এবং অমরত্বের ভাব প্রবলভাবে উপস্থিত ছিল। মৃত্যুর পর, তার ছোট বোন লাভিনিয়া তার রচনাগুলির সিংহভাগ খুঁজে পান এবং পরে সেগুলি প্রকাশিত হয়। এমিলি ডিকিনসন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে স্বীকৃত।

    View all posts

Leave a Comment