A Tale of Two Cities Bangla and English Summary

A Tale of Two Cities by Charles Dickens Bangla Summary

চার্লস ডিকেন্সের “এ টেইল অব টু সিটিস” ফরাসি বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস, যা প্যারিস এবং লন্ডন শহরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসটি ফরাসি বিপ্লবের সময়কালের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা চিত্রিত করেছে। বিশেষ করে তৎকালীন সময়ে ধনী বুর্জোয়া শ্রেণী ও গরিব প্রান্তিক শ্রেণীর মধ্যে চলমান বৈষম্য এবং অত্যাচার উপন্যাসের প্রধান থিম।

উপন্যাসের শুরুতে, ১৭৭৫ সালে টেলসন ব্যাংকের কর্মকর্তা জার্ভিস লরি লুসি ম্যানেটকে জানান যে তার দীর্ঘদিন ধরে হারিয়ে যাওয়া পিতা ডক্টর আলেক্সান্ডার ম্যানেট এখনও জীবিত আছেন। তাকে ফ্রান্সের বাস্তিল দুর্গে আটক রাখা হয়েছিল, এবং এখন তিনি তার পুরোনো চাকর মিস্টার ডিফার্জের মদের দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন। লুসি এবং লরি ফ্রান্সে গিয়ে ডক্টর ম্যানেটকে উদ্ধার করেন এবং তাকে লন্ডনে নিয়ে আসেন।

এদিকে, ফ্রান্সে বিপ্লবী উত্তাল সময়ে চার্লস ডার্নে নামে এক ফরাসি অভিজাত ইংল্যান্ডে পালিয়ে আসেন, কিন্তু তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সিডনি কার্টন নামে একজন আইনজীবীর সাহসিকতায় ডার্নে মুক্তি পান। এই ঘটনার মাধ্যমে ডার্নে, লুসি এবং সিডনির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

উপন্যাসের শেষের দিকে, বিপ্লবী ফ্রান্সে ডার্নে বিপদের সম্মুখীন হন যখন তিনি তার পুরোনো চাকর গ্যাবেলকে বাঁচানোর জন্য ফ্রান্সে ফিরে আসেন। তাকে বিপ্লবীরা বন্দী করে এবং মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি করা হয়। কিন্তু সিডনি কার্টন, ডার্নের স্থানে নিজেকে উৎসর্গ করে, তাকে বাঁচিয়ে তোলেন। কার্টনের এই আত্মত্যাগ উপন্যাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ও নায়কোচিত মুহূর্ত হয়ে থাকে।

“এ টেইল অব টু সিটিস” উপন্যাসটি ভালোবাসা, আত্মত্যাগ, প্রতিশোধ এবং পুনরুদ্ধারের গল্প। চার্লস ডিকেন্সের এই উপন্যাসটি ফরাসি বিপ্লবের সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও নিষ্ঠুরতার চিত্র তুলে ধরে পাঠককে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

বিষয়তথ্য
পুরো নামদুই নগরীর গল্প
লেখকচার্লস ডিকেন্স (১৮১২-৭০)
কাজের ধরনউপন্যাস
ধরনঐতিহাসিক উপন্যাস
ভাষাইংরেজি
লেখার সময় ও স্থান১৮৫৯, লন্ডন
প্রথম প্রকাশের তারিখ২০ এপ্রিল, ১৮৫৯ থেকে ২৬ নভেম্বর, ১৮৫৯ এর মধ্যে
প্রকাশকচ্যাপম্যান এবং হল
বর্ণনাকারীলেখক নিজেই, কিন্তু অজ্ঞাত রূপে
দৃষ্টিকোণতৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ
টোনআবেগপ্রবণ, সহানুভূতিশীল, এবং ঐতিহাসিক
কালঅতীত
সময়ের পটভূমিঅষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ (১৭৭৫-১৭৯৩)
স্থানের পটভূমিদুটি শহর – প্যারিস এবং লন্ডন – ফরাসি বিপ্লবের সময়
প্রধান চরিত্রসিডনি কার্টন

 

চরিত্রসমূহ

  • চার্লস ডার্নে: এই উপন্যাসের নায়ক। ইংল্যান্ডে অবস্থানরত এই ফরাসি অভিবাসী তার সম্ভ্রান্ত ফরাসি বংশমর্যাদা প্রত্যাখান করেন। গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে তারই বন্ধু কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। তিনি ড. মেনেটের কন্যা লুসি ম্যানেটকে বিয়ে করেন।
  • সিডনি কার্টন: দেখতে হুবহু চার্লস ডার্নের মতো এই মদ্যপ আইনজীবী লুসি ম্যানেটকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। ভালোবাসার জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন।
  • লুসি ম্যানেট: ডক্টর ম্যানেটের কন্যা। ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা এই তরুণ ফরাসি মহিলা উপন্যাসের নায়িকা।
  • ডক্টর আলেকজান্দ্রে ম্যানেট: ফরাসি ডাক্তার, যাকে ১৮ বছর ধরে বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। মুক্তির পর তিনি লুসির তত্ত্বাবধানে নতুন জীবন ফিরে পান।
  • মঁসিয়ে আর্নেস্ট ডিফার্জ: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি মদের দোকানের মালিক। পূর্বে ডক্টর ম্যানেটের চাকর হিসেবে কাজ করা এই ব্যক্তি, ডক্টর ম্যানেটকে বাস্তিল দুর্গ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে তাকে আশ্রয় দেন।
  • ম্যাডাম তেরেস ডিফার্জ: মঁসিয়ে আর্নেস্ট ডিফার্জের স্ত্রী। তিনি ছিলেন নিষ্ঠুর বিপ্লবী, যার অভিজাতদের প্রতি প্রবল ঘৃণা ছিল।
  • জার্ভিস লরি: ডক্টর ম্যানেটের পুরনো বন্ধু। এই বয়স্ক ভদ্রলোক টেলসন ব্যাংকের একজন কেরানী।
  • জেরি ক্রাঞ্চার: টেলসন ব্যাংকের পোর্টার এবং জার্ভিস লরির দেহরক্ষী। তিনি মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ বের করে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিজ্ঞানীদের কাছে বিক্রি করতেন।
  • মিস প্রস: লুসি ম্যানেটের বিশ্বস্ত সঙ্গী এবং রক্ষক।
  • সি. জে. স্ট্রাইভার: লন্ডনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী আইনজীবী, যিনি লুসিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তিনি প্রতিরক্ষা অ্যাটর্নি হিসেবেও কাজ করেছেন।
  • মারকুইস এভ্রেমনড: চার্লস ডার্নের চাচা। অতিমাত্রায় অহংকারী এই ফরাসি ব্যক্তি নিম্ন শ্রেণীর মানুষদেরকে খুব নগণ্য করে দেখতেন।
  • সলোমন প্রোস (জন বারসাড): একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর এবং মিস প্রোসের ভাই।
  • গ্যাবেল: একজন ফরাসী পোস্টমাস্টার, যাকে বিপ্লবীরা বন্দী করার কারণে চার্লস ডার্নে প্যারিসে ফিরে যান।
  • রজার ক্লাই: একজন দেশপ্রেমিক ব্রিটিশ গুপ্তচর।
  • গ্যাসপার: সেন্ট অ্যান্টোইনের একজন বাসিন্দা, যাকে মনসেইনিউর হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
  • জ্যাক ওয়ান, জ্যাক টু, এবং জ্যাক থ্রি: ডিফার্জের সাথে সংশ্লিষ্ট তিন ফরাসি বিপ্লবী।
  • জ্যাক ফাইভ: ডিফার্জের আরেক সহযোগী, তিনি রাস্তা মেরামত করেন।
  • টম: ডোভার মেইল কোচের কোচম্যান।
  • মিসেস ক্রাঞ্চার: জেরি ক্রাঞ্চারের স্ত্রী, একজন ধার্মিক মহিলা যাকে তার স্বামী তার বিরুদ্ধে প্রার্থনা করার অভিযোগ করেন।
  • মারকুইস সেন্ট এভ্রেমনড: মনসেইনিউরের যমজ ভাইয়ের স্ত্রী এবং চার্লস ডার্নের মা।
  • লুসি সেন্ট এভ্রেমনড: চার্লস ডার্নে এবং লুসি ম্যানেটের ছোট্ট কন্যা।
  • দ্য ভেনজেন্স: ম্যাডাম ডিফার্জের বন্ধুর ডাকনাম, যিনি সেন্ট অ্যান্টোইনের একজন নেতৃস্থানীয় বিপ্লবী।

উপন্যাসের সূচনা

1775 সাল। ফ্রান্সে রাজা ষোড়শ লুই (Louis XVI) এবং ইংল্যান্ডে রাজা জর্জ ৩য় (George III) এর শাসনকাল চলছে। উপন্যাসটি শুরু হয় জার্ভিস লরি (Jarvis Lorry) এর ডোভার ভ্রমণের মাধ্যমে, যেখানে তিনি লুসি ম্যানেট (Lucie Manette) এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। ডোভারে পৌঁছে তিনি লুসি এবং তার নার্স, মিস প্রস (Miss Pross) এর সাথে দেখা করে জানান যে, লুসির পিতা ড. আলেক্সান্ডার ম্যানেট (Dr. Alexandre Manette) এখনও জীবিত আছেন। লুসি, যিনি নিজেকে এতদিন অনাথ ভাবতেন, অবাক হন। এরপর লরি লুসিকে প্যারিসে নিয়ে যান, যেখানে তার পিতা দীর্ঘ ১৮ বছর বাস্তিল দূর্গে বন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন এবং আর্নেস্ট ডিফার্জ (Ernest Defarge) নামের একজন বিপ্লবীর ওয়াইন শপে আশ্রয় নিয়েছেন।

বাস্তিল দূর্গ থেকে মুক্তি

  • লরি এবং লুসি ড. ম্যানেটকে দেখতে যান এবং তাকে জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায়, জুতা সেলাই করতে দেখে বিস্মিত হন। তিনি তার পূর্বের স্মৃতি ভুলে গেছেন, ফলে কাউকে চিনতে পারেন না। তবে, লুসির ভালোবাসা ও সেবাযত্নে ধীরে ধীরে তার স্মৃতি ফিরতে শুরু করে। তিনি লুসির লম্বা সোনালি চুল এবং নীল চোখ দেখে তাকে তার মেয়ের মতো চিনতে পারেন। এরপর বাবা-মেয়ে প্যারিস থেকে লন্ডনে ফিরে আসেন এবং পাঁচ বছর শান্তিপূর্ণভাবে কাটান।

চার্লস ডারনে ও সিডনি কার্টনের পরিচয়

  • 1780 সাল। চার্লস ডারনে (Charles Darnay), যিনি ফ্রান্সের নাগরিক, তার বিরুদ্ধে ইংরেজদের গোপনীয়তা ফ্রান্স ও আমেরিকার কাছে ফাঁস করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। তার বন্ধু জন বারসাদ (John Barsad) ও রজার ক্লাই (Roger Cly) এই মামলার প্রধান সাক্ষী। ডারনের পক্ষে সি. জে. স্ট্রাইভার (C. J. Stryver) নামে একজন আইনজীবী কাজ করেন, তবে তার মাতাল সহকারী সিডনি কার্টনের (Sydney Carton) দক্ষতার জন্য ডারনে মামলাটি থেকে মুক্তি পান। সিডনি কার্টন আদালতকে যুক্তি দেখান যে তিনি এবং ডারনে দেখতে একই রকম, ফলে মামলা দুর্বল হয়ে যায়।

ফ্রান্সে অত্যাচারের বর্ণনা

  • ফ্রান্সে নিষ্ঠুর মারকুইস এভরেমন্ড (Marquis Evremonde), চার্লস ডারনের চাচা, তার অধীনস্থ নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের প্রতি নির্মম অত্যাচার করেন। একদিন, তার ঘোড়ার গাড়ির নিচে একটি শিশু চাপা পড়ে মারা গেলে তিনি কোনো অনুশোচনা প্রকাশ না করে শিশুটির বাবাকে একটি সোনার মুদ্রা ছুড়ে দেন। তার নিষ্ঠুরতা বিপ্লবী আর্নেস্ট ডিফার্জের (Ernest Defarge) নজরে আসে, যিনি পরবর্তীতে ফরাসি বিপ্লবের সাথে যুক্ত হন।

লুসি এবং ডারনের বিবাহ

  • কিছুদিন পর, লুসি ম্যানেটকে তিনজন ব্যক্তি ভালোবাসতে শুরু করে: ডারনে, সিডনি কার্টন, এবং স্ট্রাইভার। তবে, লুসি ডারনেকে বেছে নেন এবং তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের দিন সকালে ডারনে তার আসল পরিচয় প্রকাশ করেন যে তিনি জন্মসূত্রে একজন ফরাসি অভিজাত। ড. ম্যানেট প্রথমে বিবাহটি ভাঙার কথা ভাবেন, তবে মেয়ের সুখের কথা ভেবে তা করেন না। সিডনি কার্টনও লুসিকে তার ভালোবাসার কথা জানায় এবং লুসি তাকে সুস্থ ও সৎ জীবন যাপনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।

ফরাসি বিপ্লব এবং বিপদ

  • 1789 সালে ফরাসি বিপ্লব শুরু হয়। সাধারণ মানুষরা বাস্তিল দূর্গ আক্রমণ করে বন্দীদের মুক্ত করেন। বিপ্লবীরা ডারনের চাচা মারকুইস এভরেমন্ডকে (Marquis Evremonde) বন্দী করে এবং তার চাকর গ্যাবেলকে (Gabelle) কারাবন্দি করে। গ্যাবেলের সাহায্যপ্রার্থনার চিঠি পেয়ে ডারনে ফ্রান্সে আসেন, কিন্তু বিপ্লবীরা তাকে দেশত্যাগী এবং অভিজাত বংশধর হিসাবে গ্রেপ্তার করে।

সিডনি কার্টনের আত্মত্যাগ

  • ডারনের বিপদের খবর পেয়ে লুসি এবং ড. ম্যানেট প্যারিসে আসেন। ড. ম্যানেট বিপ্লবীদের প্রভাব ব্যবহার করে ডারনেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ডিফার্জ এবং তার স্ত্রী ডারনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। সিডনি কার্টন ডারনেকে বাঁচানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্যারিসে আসেন এবং লুসির প্রতি তার ভালবাসার প্রমাণ দিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। কার্টন ডারনের স্থানে মৃত্যুবরণ করেন, যা তার জীবনের সমস্ত কাজকে ছাড়িয়ে যায় এবং তার জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।

উপন্যাসের সমাপ্তি

  • চার্লস ডিকেন্স এই উপন্যাসের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার, অত্যাচার, নিপীড়ন, ভালোবাসা, প্রতিহিংসা, এবং সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ফরাসি বিপ্লব যে কতটা নিষ্ঠুর এবং নিরর্থক ছিল, তা তিনি এই উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

লুসি এবং ডারনের পরবর্তী জীবন

  • ডারনে এবং লুসির জীবন ফরাসি বিপ্লবের পর শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকে। তারা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, যার নাম রাখা হয় লিটল লুসি (Little Lucie)। লুসি এবং ডারনে তাদের সন্তানকে ভালোবাসা এবং স্নেহ দিয়ে বড় করে তোলেন, তবে তাদের জীবন অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারে না। সিডনি কার্টনের আত্মত্যাগ তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে স্মরণীয় হয়ে থাকে এবং লুসি কার্টনের স্মৃতির প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকেন।

উপন্যাসের নৈতিকতা এবং বার্তা

  • “A Tale of Two Cities” উপন্যাসটি মানবতার প্রকৃতি, প্রেম, প্রতিশোধ, এবং আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি। ফরাসি বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ডিকেন্স মানুষের আত্মার উত্থান-পতনের গল্প বর্ণনা করেছেন। সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা এবং ক্ষমা ও পুনরুদ্ধারের শক্তি—এই উপন্যাসের মূল বার্তা। ডিকেন্স আমাদের দেখিয়েছেন যে, একজন ব্যক্তির ত্যাগ শুধু তার নিজের জীবনকেই অর্থবহ করে তোলে না, বরং তার আশেপাশের সকলকেও প্রভাবিত করে এবং পরিবর্তিত করে।

A Tale of Two Cities – English Summary

Charles Dickens’ A Tale of Two Cities is a historical novel set against the backdrop of the French Revolution, exploring the turbulent period in the cities of Paris and London. The novel vividly portrays the social, political, and economic unrest of the time, focusing on the stark contrasts between the wealthy aristocrats and the impoverished masses.

Introduction and Initial Events:

  • The story begins in 1775, with Jarvis Lorry, an employee of Tellson’s Bank, informing Lucie Manette that her father, Dr. Alexandre Manette, who was believed to be dead, is actually alive. Dr. Manette had been imprisoned in the Bastille for 18 years by the French aristocracy and was now residing in the wine shop of his former servant, Ernest Defarge, in Paris. Lucie, accompanied by Lorry, travels to France, where they find Dr. Manette in a fragile mental state, obsessively making shoes—a skill he learned during his imprisonment. Lucie’s love and care eventually help restore his memory, and they return to London together.

The Trial of Charles Darnay:

  • In 1780, Charles Darnay, a French aristocrat living in England, is accused of treason against the British government. He is saved from execution by the brilliant yet dissolute lawyer, Sydney Carton, who points out the striking resemblance between himself and Darnay, casting doubt on the prosecution’s case. This event intertwines the lives of Darnay, Lucie, and Carton, setting the stage for the novel’s central conflicts.

The French Revolution and Darnay’s Imprisonment:

  • As the French Revolution erupts in 1789, Darnay returns to France to help an old family servant, Gabelle, who has been imprisoned by the revolutionaries. Upon his arrival, Darnay is arrested as an emigrant and an enemy of the people. Despite Dr. Manette’s influence among the revolutionaries, Darnay is condemned to death due to his aristocratic lineage and the sins of his ancestors, particularly those of his uncle, the cruel Marquis St. Evrémonde.

Sydney Carton’s Sacrifice:

  • In a poignant and heroic turn, Sydney Carton, who has secretly loved Lucie, arrives in Paris with a plan to save Darnay. He uses his physical resemblance to Darnay to switch places with him in prison. Carton willingly goes to the guillotine in Darnay’s place, finding redemption and meaning in his self-sacrifice, knowing that his death will ensure the happiness of Lucie and her family.

Conclusion:

  • A Tale of Two Cities is a powerful narrative of love, sacrifice, revenge, and redemption. Through its rich character development and vivid depiction of the French Revolution’s horrors, Dickens highlights the profound social inequalities and the personal costs of political upheaval. Carton’s ultimate sacrifice stands as a testament to the enduring human spirit and the possibility of redemption, even in the darkest of times.
Course Code241101Marks: 100Credits: 4Class Hours: 60
Course Title: Nineteenth Century NovelSubject For: Honours Fourth Year
Writer NameNovel NameSummary
Jane AustenPride and PrejudiceRead Summary
Charles DickensA Tale of Two CitiesRead Summary
Charlotte BronteJane EyreRead Summary
Thomas HardyTess of the D’UrbervillesRead Summary

 

Author

  • Charles Dickens

    চার্লস জন হাফ্যাম ডিকেন্স (ইংরেজি: Charles John Huffam Dickens; জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮১২ – মৃত্যু: ৯ জুন, ১৮৭০) ছিলেন ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক। তাকে ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করা হয়। ডিকেন্স জীবদ্দশাতেই তার পূর্বসূরি লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও তার জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে, ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যে প্রবাদপ্রতিম বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন।তার অধিকাংশ রচনাই পত্র-পত্রিকায় মাসিক কিস্তিতে প্রকাশিত হত। এই পদ্ধতিতে রচনা প্রকাশকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনেও ডিকেন্সের কিছু অবদান আছে। অন্যান্য লেখকগণ ধারাবাহিক কিস্তি প্রকাশের আগেই উপন্যাস শেষ করতেন, কিন্তু ডিকেন্স কিস্তি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী অধ্যায়গুলি রচনা করে যেতেন। এই পদ্ধতিতে উপন্যাস রচনার ফলে তার উপন্যাসগুলির গল্পে একটি বিশেষ ছন্দ দেখা যেত। অধ্যায়গুলির শেষটুকু হত রহস্যময়, যার জন্য পাঠকেরা পরবর্তী কিস্তিটি পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকত। তার গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাসগুলি এতই জনপ্রিয় যে এগুলি কখনই আউট-অফ-প্রিন্ট হয়ে যায়নি।

    View all posts

Leave a Comment