Table of Contents
London 1802 By William Wordsworth
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘London, 1802’ কবিতাটি ১৮০২ সালে রচিত হয়, যখন ইংল্যান্ড সামাজিক, নৈতিক এবং রাজনৈতিক সমস্যায় নিমজ্জিত ছিল। ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার কবিতার মাধ্যমে কবি জন মিলটনের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তিনি ফিরে এসে ইংল্যান্ডের মূল্যবোধ ও গৌরব পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেন। এই কবিতাটি পেত্রার্কীয় সনেট আকারে লেখা হয়েছে, যা দুটি অংশে বিভক্ত: অক্টেভ (প্রথম আটটি লাইন) এবং সেস্টেট (শেষ ছয়টি লাইন)।
ফর্ম এবং গঠন: লন্ডন, ১৮০২
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘London, 1802’ একটি ইতালীয় বা পেট্রার্কীয় সনেট, যা একটি বিশেষ ছন্দ এবং গঠনের মাধ্যমে রচিত হয়েছে। কবিতাটি একক স্তবকে গঠিত, তবে এটি দুটি অংশে বিভক্ত: প্রথম আটটি লাইন অকটেভ (Octave) এবং শেষ ছয়টি লাইন সেস্টেট (Sestet)। এই দুটি অংশের মধ্যে একটি ভোল্টা (Volta) বা ভাবান্তর রয়েছে, যা সাধারণত পেট্রার্কীয় সনেটে নবম লাইনে ঘটে। অকটেভ অংশে কবি ইংল্যান্ডের নৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কথা বলেছেন, এবং সেস্টেট অংশে জন মিলটনের মহত্ত্ব তুলে ধরেছেন।
কবিতাটির ছন্দ বিন্যাস ABBAABBA CDDECE, যা পেট্রার্কীয় সনেটের বৈশিষ্ট্য। অকটেভ অংশে ছন্দ বিন্যাস অত্যন্ত নিয়মিত এবং সুনির্দিষ্ট, যা সমস্যার গুরুতরতাকে প্রকাশ করে। সেস্টেট অংশে ছন্দে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়, যা ভোল্টা-পরবর্তী ভাবান্তর এবং সমাধানের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আইয়াম্বিক পেন্টামিটার (Iambic Pentameter) ছন্দে লেখা কবিতাটির প্রতিটি লাইনে দশটি মাত্রা রয়েছে। প্রতিটি মাত্রায় প্রথমটি অশ্রুত (unstressed) এবং দ্বিতীয়টি স্পষ্ট (stressed)। উদাহরণস্বরূপ:
“Milton! thou shouldst be living at this hour”
তবে, কিছু লাইন এই ছন্দ প্যাটার্ন থেকে বিচ্যুত হয়ে ট্রোকেইক (Trochaic) ছন্দে রচিত, যেমন ৪ এবং ৫ নম্বর লাইন। এই ছন্দের বিচ্যুতি কবিতার আবেগ ও নাটকীয়তাকে আরও গভীর করে তোলে।
ইতালীয় সনেটের গঠনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো অকটেভ ও সেস্টেটের মধ্যে বিষয়গত পার্থক্য। অকটেভ অংশে কবি ইংল্যান্ডের অবক্ষয়ের কারণ এবং সমস্যা উপস্থাপন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ:
“England hath need of thee: she is a fen / Of stagnant waters.”
সেস্টেট অংশে কবি জন মিলটনের মহত্ত্ব এবং তার জীবনধারা তুলে ধরেছেন, যা সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ:
“Thy soul was like a Star, and dwelt apart.”
এই গঠন এবং ফর্ম কবিতার বার্তাকে সুসংগঠিত করেছে। অকটেভের মধ্যে সমস্যার বিশ্লেষণ এবং সেস্টেটের মধ্যে সমাধানের ইঙ্গিত কবিতার দার্শনিক গভীরতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। পেট্রার্কীয় সনেটের গঠন, ছন্দ বিন্যাস, এবং ভোল্টা কবিতাটির আবেগকে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য বিশ্লেষণের উদাহরণ।
লন্ডন, ১৮০২: সাহিত্যিক অলঙ্কার (Literary Devices)
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের ‘London, 1802’ কবিতায় ব্যবহৃত সাহিত্যিক অলঙ্কারগুলি কবিতার ভাব ও বার্তাকে আরও গভীরতা ও সৌন্দর্য প্রদান করেছে। নিচে উল্লেখযোগ্য অলঙ্কার এবং তাদের প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো।
১. উপমা (Simile)
উপমার মাধ্যমে জন মিলটনের গুণাবলিকে প্রকৃতির সাথে তুলনা করা হয়েছে।
- “Thy soul was like a Star” (লাইন ৯):
এখানে মিলটনের আত্মাকে একটি তারার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এটি বোঝায় তার অনন্যতা ও উদ্ভাস। তার আত্মা ছিল আলাদা এবং উজ্জ্বল, যা অন্যদের থেকে তাকে স্বতন্ত্র করেছে। - “Whose sound was like the sea” (লাইন ১০):
মিলটনের কণ্ঠস্বর সমুদ্রের মতো গভীর ও প্রভাবশালী। এটি তার বাকশক্তি এবং লেখনী দ্বারা সমাজে সৃষ্ট প্রভাবকে বোঝায়।
২. রূপক (Metaphor)
রূপকের সাহায্যে কবি ইংল্যান্ডের অবস্থা এবং এর পতন তুলে ধরেছেন।
- “England is a fen / Of stagnant waters” (লাইন ২-৩):
এখানে ইংল্যান্ডকে একটি স্থির জলাভূমির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এটি বোঝায় যে দেশটি স্থবির, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক পতনের মধ্যে রয়েছে। এই চিত্রকল্প ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ শূন্যতা এবং দুর্বলতা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
৩. ব্যক্তিত্ব আরোপ (Personification)
কবিতায় ইংল্যান্ডকে মানবিক বৈশিষ্ট্য প্রদান করা হয়েছে।
- “England hath need of thee: she is a fen” (লাইন ২):
ইংল্যান্ডকে এখানে একজন নারীর মতো কল্পনা করা হয়েছে, যিনি সাহায্যের জন্য আহ্বান করছেন। এই ব্যক্তিত্ব আরোপের মাধ্যমে কবি ইংল্যান্ডের পতনের কারণ মানুষদের কর্মকাণ্ডে নিহিত তা বোঝাতে চেয়েছেন।
৪. মেটনিমি (Metonymy)
মেটনিমি ব্যবহার করে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পতন নির্দেশ করা হয়েছে।
- “Altar, sword, and pen, / Fireside the heroic wealth of hall and bower” (লাইন ৩-৪):
এখানে,- ‘altar’ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা চার্চকে বোঝায়।
- ‘sword’ সামরিক শক্তি বা সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে।
- ‘pen’ সাহিত্য বা লেখকদের প্রতিনিধিত্ব করে।
- ‘fireside’ পরিবারের নৈতিক মূল্যবোধ এবং সুখকে বোঝায়।
এই উপমাগুলির মাধ্যমে কবি দেখিয়েছেন যে ইংল্যান্ডের সবকিছুই এখন দুর্বল এবং ক্ষয়িষ্ণু।
৫. অলঙ্কারমূলক ইঙ্গিত (Symbolism)
এই কবিতার বিভিন্ন উপাদান ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক গৌরব এবং বর্তমান অবক্ষয়কে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করে।
- “Star” এবং “sea”:
এই উপমাগুলি মিলটনের উচ্চতর নৈতিকতা এবং তার শক্তিশালী প্রভাবের প্রতীক। - “Fen of stagnant waters”:
স্থবির জলাভূমি ইংল্যান্ডের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্থবিরতা এবং অবক্ষয়কে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করে।
৬. ধ্বনিতত্ত্ব (Alliteration)
কবিতার ছন্দ ও সুর তৈরিতে ধ্বনির পুনরাবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- “Milton! thou shouldst be living at this hour”
এখানে ‘Milton’ এবং ‘living’ শব্দের প্রথম ধ্বনি ‘l’ শব্দটির সুর বাড়িয়ে দিয়েছে।
৭. ব্যঞ্জনা (Consonance)
ব্যঞ্জনধ্বনির পুনরাবৃত্তি কবিতার সুর ও ছন্দকে সমৃদ্ধ করেছে।
- “England hath need of thee: she is a fen”
এখানে ‘n’ ধ্বনির পুনরাবৃত্তি কবিতার আবেগকে গভীরতা প্রদান করেছে।
৮. প্রতিধ্বনি (Repetition)
কবিতায় বিশেষ শব্দ এবং ভাবের পুনরাবৃত্তি পাঠকের মনে বিষয়টি আরও গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে সহায়তা করেছে।
- “Virtue, freedom, power” (লাইন ৮):
এখানে নৈতিকতা, স্বাধীনতা, এবং শক্তির পুনরাবৃত্তি ইংল্যান্ডের পতনের কারণ ও সমাধানকে আরও স্পষ্ট করেছে।
Bangla Analysis
লাইন ১-৮: অক্টেভ
“Milton! thou shouldst be living at this hour:
England hath need of thee: she is a fen
Of stagnant waters: altar, sword, and pen,
Fireside, the heroic wealth of hall and bower,
Have forfeited their ancient English dower
Of inward happiness. We are selfish men;
Oh! raise us up, return to us again;
And give us manners, virtue, freedom, power.”
প্রথম আটটি লাইন বা অক্টেভে কবি জন মিলটনকে সরাসরি সম্বোধন করেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের অবনতিশীল অবস্থা তুলে ধরে বলেন যে, বর্তমান সময়ে মিলটনের মতো একজন মহৎ ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন।
ইংল্যান্ডের অবস্থা: ‘a fen of stagnant waters’
কবি ইংল্যান্ডের নৈতিক অবস্থা তুলনা করেছেন এক স্থবির জলাভূমির সাথে। এটি বোঝায় যে দেশটি স্থবির, গতিহীন এবং অমলিন এক সামাজিক পরিবেশে আটকে গেছে।
‘altar, sword, and pen’ এর অবক্ষয়
এই তিনটি উপমার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের ধর্মীয় মূল্যবোধ (altar), সামরিক শক্তি (sword), এবং সাহিত্য (pen)-এর অধঃপতন নির্দেশ করা হয়েছে। একসময়ের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এখন অতীত স্মৃতি হয়ে গেছে।
‘We are selfish men’
কবি সমাজের পতনের মূল কারণ হিসেবে স্বার্থপরতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। স্বার্থপর মানুষরা একসময়ের ‘inward happiness’ বা অভ্যন্তরীণ আনন্দ হারিয়ে ফেলেছে।
মিলটনের প্রতি আহ্বান
ওয়ার্ডসওয়ার্থ মিলটনের প্রতি আহ্বান জানান যেন তিনি ফিরে এসে ইংল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে ‘manners, virtue, freedom, power’ (আচরণ, নৈতিকতা, স্বাধীনতা এবং শক্তি) ফিরিয়ে দেন।
লাইন ৯-১৪: সেস্টেট
“Thy soul was like a Star, and dwelt apart:
Thou hadst a voice whose sound was like the sea:
Pure as the naked heavens, majestic, free,
So didst thou travel on life’s common way,
In cheerful godliness; and yet thy heart
The lowliest duties on herself did lay.”
সেস্টেট অংশে কবি জন মিলটনের গুণাবলিকে প্রশংসা করেছেন এবং তাকে আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরেছেন।
মিলটনের আত্মার তুলনা: ‘like a Star’
মিলটনের আত্মা একটি তারার মতো, যা আকাশে আলাদা ও উজ্জ্বলভাবে জ্বলত। এটি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ছিলেন সাধারণ জনস্রোত থেকে ভিন্ন এবং এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।
মিলটনের কণ্ঠস্বর: ‘like the sea’
মিলটনের কণ্ঠস্বর সমুদ্রের মতো গম্ভীর, শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী। এটি তার কবিতা ও লেখার মাধ্যমে মানুষের উপর তার গভীর প্রভাব বোঝায়।
‘Pure as the naked heavens’
মিলটনের নৈতিকতা এবং তার মুক্তচিন্তা ‘নগ্ন আকাশ’-এর সাথে তুলনীয়, যা পরিষ্কার, বিশুদ্ধ এবং সীমাহীন।
‘In cheerful godliness’
মিলটনের জীবনের দৈনন্দিনতা ছিল সাধারণ, কিন্তু তিনি তার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং সদাচরণ বজায় রেখেছিলেন।
‘The lowliest duties on herself did lay’
মিলটনের বিনয় এবং সাধারণ জীবনধারার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ। তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে, একজন মানুষ মহান কাজ করার পাশাপাশি বিনয়ী ও সরল জীবনযাপন করতে পারেন।
মূল বার্তা ও থিম
১. ইংল্যান্ডের অবক্ষয়: কবি ইংল্যান্ডের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধঃপতনকে তুলে ধরেছেন।
২. মিলটনের প্রশংসা: জন মিলটনকে আদর্শ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যার জীবন ও দর্শন এখনকার সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক।
৩. নৈতিক পুনর্জাগরণ: কবি নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা এবং বিনয়ী জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন।
৪. আহ্বান: কবি সমাজকে জাগ্রত করার জন্য অতীতের মহৎ ব্যক্তিত্বের আদর্শ অনুসরণের পরামর্শ দেন।
কবিতার সারাংশ: লন্ডন, ১৮০২
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতা লন্ডন, ১৮০২ দুটি প্রধান উদ্দেশ্য পূরণ করে। প্রথমত, এটি জন মিলটনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। জন মিলটন (১৬০৮-১৬৭৪), যিনি তার মহাকাব্যিক রচনা প্যারাডাইস লস্ট এর জন্য বিখ্যাত, ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধের সময় মানুষের নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কবি মনে করেন, মিলটন যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তবে তার মহত্ব ও নৈতিক গুণাবলী দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে আবার গৌরবোজ্জ্বল করতে পারতেন।
দ্বিতীয়ত, কবিতাটি ইংল্যান্ডের নৈতিক অবক্ষয় এবং হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ওয়ার্ডসওয়ার্থ উল্লেখ করেন যে “manners, virtue, freedom, power” বা শালীনতা, নৈতিকতা, স্বাধীনতা এবং ক্ষমতার মতো গুণাবলী ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছে। শিল্পবিপ্লবের মতো কারণগুলো দেশকে এক সময়ের গৌরব থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
এই কবিতার মাধ্যমে কবি তার সময়ের মানুষের মধ্যে নৈতিক ও সামাজিক পুনর্জাগরণের আহ্বান জানান। জন মিলটনের মতো একজন আদর্শিক ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, ওয়ার্ডসওয়ার্থ সমাজকে তাদের হারিয়ে যাওয়া গুণাবলী পুনরুদ্ধার করতে অনুপ্রাণিত করেন।
Summary of London, 1802
William Wordsworth’s poem London, 1802 is a passionate plea to the English poet John Milton, calling upon him to return and help restore England’s former glory. Wordsworth expresses his despair over the moral and cultural decay of his country, describing it as a stagnant swamp. He laments the loss of values in England’s religious, military, literary, and domestic life, emphasizing that selfishness has taken over the people. The poet believes Milton, with his virtues and leadership, could inspire the nation to regain its lost manners, freedom, and power.
The poem follows the structure of an Italian or Petrarchan sonnet, with the first eight lines (octave) addressing England’s decline and calling for Milton’s return. In the last six lines (sestet), Wordsworth praises Milton’s character, comparing his soul to a bright star, his voice to the majestic sound of the sea, and his freedom to the purity of the sky. Despite his greatness, Milton was humble, fulfilling even the simplest duties of life.
Wordsworth uses this poem to highlight the need for virtuous leadership and moral revival. By presenting Milton as a model of humility, virtue, and greatness, he urges his contemporaries to learn from the past and lead a more meaningful and ethical life.
উপসংহার: লন্ডন, ১৮০২
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের লন্ডন, ১৮০২ শুধুমাত্র একটি কবিতা নয়; এটি তার সময়ের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। কবিতার মাধ্যমে তিনি জন মিলটনের মতো মহৎ চরিত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, যিনি নৈতিকতা, শালীনতা, এবং মানবিক গুণাবলীর প্রতীক। ইংল্যান্ডের হারিয়ে যাওয়া গৌরব এবং মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের জন্য কবি একদিকে জন মিলটনের মহত্ত্বের প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে তার সমকালীন সমাজকে আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাব এবং মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতার বৃদ্ধি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, জন মিলটনের মতো একজন ব্যক্তিত্বই ইংল্যান্ডকে আবার নৈতিক ও সামাজিক সমৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। কবিতার ভাষা, ছন্দ, এবং আবেগপূর্ণ আবেদন এর প্রাসঙ্গিকতাকে চিরন্তন করেছে।
অতএব, লন্ডন, ১৮০২ শুধু এককালের ইংল্যান্ড নয়, বরং যে কোনো সময় এবং সমাজের জন্য নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের আহ্বান হিসেবে কাজ করে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আদর্শ চরিত্র এবং সৎ নেতৃত্ব একটি জাতির উন্নতির জন্য অপরিহার্য।