The American Scholar by Emerson Bengali Summary

The Amarican Scholar by Ralph Waldo Emerson – Bangla Summary

দ্যা অ্যামেরিকান স্কলার –  রালফ ওয়ালডো এমারসন – বাংলা সারমর্ম

The American Scholar এটি র‍্যালফ ওয়ালডো এমারসন এর একটি বক্তৃতা। ১৮৩৭ সালের ৩১ আগষ্ট তিনি ফি বেটা কাপ্পা সোসাইটি নামক সংগঠনের আমন্ত্রনে ম্যাসাচুসেটস এর কেমব্রিজে অবস্থিত হার্ভার্ড কলেজে বক্তৃতা রাখেন। এমারসন হার্ভার্ড কলেজের সভাপতি ও ফি বেটা কাপ্পার সকল সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে তার বক্তৃতা শুরু করে। তিনি এই সভাকে প্রাচীন গ্রীসের মল্ল যুদ্ধের প্রতিযোগিতা, মধ্যযুগীয় কাব্য প্রতিযোগিতা অথবা উনিশ শতকে ইউরোপে বিজ্ঞান বিষয়ক পন্ডিতদের সভার সাথে তুলনা করেন।
এই বক্তব্যে তিনি বলেন, আমেরিকা ৬০ বছর আগে স্বাধীন হলেও এই দেশে ইউরোপিয়ান সাংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ করা যায়। এখনি সে সময়, আমেরিকাকে ইউরোপীয়ান প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে আমেরিকার নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়ে পরিচিত হওয়া উচিত।
যেহেতু ফি বেটা কাপ্পা ছিল বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন তাই তাদের কে ইউরোপিয়ান সাহিত্য ও ইতিহাসের উপর নির্ভর না করতে আহবান করেন। তিনি তাদের কাছে সাহিত্যের একটি রেনেসা সৃষ্টির প্রস্তাব রাখেন। যেখানে আমেরিকানরা তাদের সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে আমেরিকাকেই ব্যবহার করবে। এমারসন তার কথাকে বোঝাবার জন্যে একটি রুপকের আশ্রয় নেন। তিনি বলেন একজন মানুষ অনেক মানুষে ভাগ হয়ে যায়। এই ভাগ হয়ে যাওয়া মানুষেরা এই একজন মানুষ বা মানব জাতির জন্যে কাজ করতে থাকে অথচ এই কাজ গুলো এক জন মানুষের জন্যে অনেক কঠিন ছিল। এভাবেই সমাজের জন্ম হয়। তবে দুঃখের বিষয় হল এই মানুষের অংশ গুলো এতো বেশী ভাগ হয়ে গিয়েছে আর বর্তমানে ভাগ হয়ে যাওয়া অংশ গুলোকে আর এক করা যাচ্ছে না আর তারা অর্থাৎ হাত, পা, নাক ইত্যাদি প্রত্যেকেই নিজেদেরকে এক একটা আস্ত মানুষ মনে করছে।
এমারসন তার স্রোতাদের আজকের সভার উদ্দেশ্য স্মরণ করিয়ে দেন। আর তা হল একজন বিদ্বান বা পন্ডিত ব্যাক্তির শিক্ষা কতটুকু থাকা উচিত ও তার কাজ কি হওয়া উচিত। তাদের কে তিনি “Man Thinker”  হিসেবে সূচায়িত করেন। তাদেরকে তিনি “Mere Thinker”  হতে নিষেধ করেন যারা শুধু বই পড়ে কিন্তু তার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা কে কাজে লাগিয়ে সেই বই এর সত্যাসত্য ও শিক্ষা কে যাচাই বাছাই করে দেখে না। তিনি বিদ্বান ব্যাক্তিকে প্রকৃতি, অতীতের জ্ঞানবান ব্যাক্তিদের লিখা বই ও তার বর্তমান কালের কাজের দ্বারা নিজের চিন্তাকে প্রভাবিত করতে বলেন।
ভূমিকা শেষ করে তিনি আমাদের মনের উপর প্রকৃতির গুরুত্ব ও প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা করেন। একজন পন্ডিত ব্যাক্তি প্রাকৃতিক বিশ্বকে পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করবেন। এটা করতে গিয়েই সে মন বা আত্মার সাথে প্রকৃতির মিল খুজে পাবেন। প্রকৃতি ও মানুষের আত্মা উভয়ের মাঝেই একটা আদি ও অন্ত বিহিন প্রবাহমান ক্ষমতা রয়েছে। যে কেউই আত্মা ও প্রকৃতির মাঝে একটি শৃঙ্খলা খুজে পাবে। প্রকৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন করার মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি খুব সহজেই বুঝতে পারবে তার আত্মা সম্পর্কে তার জ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তৃতার ২য় অংশে এমারসন একজন পন্ডিত ব্যাক্তির উপর বই পড়া ও অতীত বিষয়ক অধ্যয়নের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। অতীতের বইগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য বহন করে কিন্তু  তারা বর্তমানে আমাদের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। তার এই চিন্তার কারন হচ্ছে অতীতের বই গুলোতে তাদের পূর্বের ভুল চিন্তাগুলো থাকতে পারে।  সকল সময়েই যত বই লিখা হয়েছে সে সময়ের সমাজ এর উপর প্রভাব ফেলেছে। এমারসন যুক্তি দেন সকল যুগ এবং সকল সমাজ তাদের নিজস্ব সত্যকে তৈরী করেছে। এমারসন মানুষের সৃজনশীল প্রতিভা ও তার মূল চিন্তাকে মূল্যায়ন করেন। বইপোকাদের মত চিন্তা ভাবনা না করে শুধু অতীতের জ্ঞান নিয়ে পড়ে থাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি পূর্বোল্লেখিত ঝুকির কথা পুণরায় উল্লেখ করে বলেন এই ঝুকি সত্ত্বেও বই পড়ার মাঝে আনন্দ ও উপকার নিহিত রয়েছে যদি এটা সঠিক পন্থায় করা হয়। এই বইয়ে প্রাপ্ত জ্ঞান দার্শনিকদের চিন্তাকে আরো শাণিত করে তোলে। সকল জ্ঞানী মানুষদের বিজ্ঞান ও ইতিহাসের জ্ঞান থাকা উচিত। আর বিদ্যালয় গুলোর অবশ্যই পড়া মুখস্থ না করিয়ে বরং ছাত্রদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোতে মনোযোগী হওয়া উচিত। আমেরিকান বিদ্বান ব্যাক্তি অবশ্যই পূর্বের সময়ের বই পড়বে বিভিন্ন তথ্যের জন্যে  তারপর সেই বইয়ের তথ্য ও শিক্ষা সে তার নিজের মত করে চিন্তা করে সাজিয়ে নিবে।
বক্তৃতার ৩য় অংশে এমারসন উল্লেখ করেন একজন বিদ্বান ব্যাক্তিকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের সাথে যুক্ত থাকা উচিত। বিদ্বান ব্যাক্তি এমন কোন মানুষ হবেন না যিনি দূর্বল শারীরিক কাঠামোর অধিকারী বরং তিনি হবেন শক্ত ও সামর্থবান। যদিও শারীরিক সামর্থ গুরুত্বের দিক দিয়ে গৌণ কিন্তু এটা খুবই প্রয়োজনীয়।
মানুষের অতীতের কাজ গুলোই এক সময় চিন্তায় পরিবর্তিত হয়। আমাদের বর্তমানের কাজ গুলোই সময়ের আবর্তনে এক সময় চিন্তায় রুপান্তরিত হবে যেমন লার্ভা বা শূককীটের সময় লাগে প্রজাপতিতে রুপান্তরিত হতে।  শারীরিক ও মানসিক কর্মকান্ডের ভিতর একজন বিদ্বান ব্যাক্তির আদর্শ জীবন পরিবর্তিত হয়। শারীরিক ও মানসিক কর্মকান্ডের ভারসাম্যই বিদ্বান ব্যাক্তিকে একজন শক্তিশালী চরিত্ররুপে গড়ে তোলে।
৪র্থ অংশে ইমারসন সমাজে একজন আমেরিকান বিদ্বান ব্যাক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথমত একজন বিদ্বান ব্যাক্তিকে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস তৈরী করতে হবে যাতে করে সে একটি জ্ঞান ভান্ডার হিসেবে পরিগণিত হয়। বিদ্বানকে হতে হবে সকল প্রকার ও সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে জ্ঞানের নির্যাস ও সার্বজনীন ধারনা পৌছাতে সক্ষম ব্যাক্তি।
সর্বশেষ অংশে তিনি তার বক্তৃতায় আগের যুগের পশ্চিমা সভ্যতার চিন্তা বাদ দিয়ে বরং অতীন্দ্রিয় দর্শনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বলে তিনি স্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি আমেরিকান সভ্যতার উন্নয়নকে একটি শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কে উন্নয়নের সাথে তুলনা করেছেন। এরপর তিনি আঠারো শতকের প্রথম অংশকে উল্লেখ করেন এমন একটি সময় হিসেবে যখন প্রশ্ন করে অসন্তোষ ছাড়া কিছুই পাওয়া যেত না। আর বর্তমান সময় অর্থাৎ যখন তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন ইহাকে তিনি এক নতুন সময়ের সাথে তুলনা করেন।
এই অংশের শেষ অনুচ্ছেদে তিনি ব্যাক্তির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে আমেরিকানরা ব্যাক্তির উপর জোড় দেয়। তার “Self Reliance”  নামক প্রবন্ধের কথা তুলে ধরেন সেখানে তিনি বলেছেন ব্যাক্তির উপর গুরুত্বারোপ একেবারেই একটা আমেরিকান চিন্তাধারা। তিনি আমেরিকান বিদ্বানদের তাদের এই নতুন জ্ঞানকে সাহসীকতার সাথে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করেন।
ভবিষ্যত পৃথিবীকে পরিবর্তনের দায়িত্বের কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন আর বলেন এখন সিদ্ধান্ত তাদের, তারা কি চিন্তাশীল মানুষ হবেন নাকি অন্ধের মত অতীতের নিয়মনীতি অনুসরণ করবেন।

Prose (Masters) Code: 311111

NameStatus
The American Scholar by Emerson Published
Civil Disobedience by H.D Thoreau Published
Shakespeare's Sister by Virginia WoolfComing Soon
Tradition and Individual Talent by T.S EliotComing Soon
Literature and Society by F.R LeavisComing Soon
Comment us if you need any translation, or visit our Facebook Page.

Author

  • Ralph Waldo Emerson's Images

    রালফ ওয়াল্ডো এমারসন (১৮০৩ - ১৮৮২) একজন আমেরিকান সাহিত্যক। তিনি মূলত ইউনিটারিয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে মন্ত্রিপরিষদের পদ ছেড়ে দিয়ে লেখালেখির মধ্যে নিয়োজিত হন। আমেরিকান ট্রান্সেন্ডেন্টাল আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং হার্ভার্ডের ডিভাইনিটি স্কুলের সাথে জড়িত ছিলেন।

    View all posts

Leave a Comment