I Have a Dream Bangla Translation and Summary

I Have a Dream by Martin Luther King

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এর ঐতিহাসিক ভাষণ “I Have a Dream” ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসির লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভাষণটি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নয়, বরং সমগ্র বিশ্বে সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের জন্য এক প্রভাবশালী বার্তা বহন করে। কিং তার ভাষণে বর্ণবাদ, বৈষম্য এবং অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্বাধীনতার এক নতুন দিগন্তের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেখানে সব মানুষ তাদের গায়ের রঙের জন্য নয়, তাদের চরিত্রের ভিত্তিতে বিচার পাবে।

মূল তথ্যবিবরণ
লেখকMartin Luther King Jr. (1929-68)
ভাষণের তারিখ২৮ আগস্ট, ১৯৬৩
প্রকাশনার তারিখ২৮ আগস্ট, ১৯৬৩
শ্রোতাদের সংখ্যা২,৬০,০০০
স্থানলিঙ্কন মেমোরিয়াল, ওয়াশিংটন, ডিসি
সময়কাল২৮ আগস্ট, ১৯৬৩, মার্চ অন ওয়াশিংটন চলাকালীন
প্রধান বিষয়স্বাধীনতা, সমতা, এবং ন্যায়বিচার
উদ্দেশ্যসকলের জন্য স্বাধীনতা, সমতা, এবং ন্যায়বিচার

Bangla Translation

আমি আজ এই মহান দিনে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। আজকের এই মুহূর্ত আমাদের জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

যে স্থান থেকে আমি আজ কথা বলছি, একশ বছর আগে এখানেই একজন মহান মার্কিন, মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন। এই মহৎ সিদ্ধান্ত নিগ্রো দাসদের জন্য নতুন আশার আলো হয়ে এসেছিল, যারা অন্যায় এবং অত্যাচারের শৃঙ্খলে আটকে ছিল। মুক্তির সনদ তাদের জন্য এক নতুন ভোরের সূচনা করেছিল।

কিন্তু একশ বছর পেরিয়েও, নিগ্রোরা এখনো সত্যিকার অর্থে মুক্তি লাভ করেনি। বৈষম্যের শৃঙ্খল এখনো তাদের জীবন থেকে সরানো হয়নি। তারা আজও বৈষম্যের কবলে, সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে দারিদ্র্যের গভীরে আটকে আছে। তারা যেন তাদেরই জন্মভূমিতে নির্বাসিত হয়ে আছে। তাই, আমরা আজ এই লজ্জাজনক অবস্থার প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি।

আমরা আজ এসেছি এক প্রতীকী চেক ভাঙানোর জন্য। যখন আমাদের দেশের নির্মাতারা সংবিধান এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকার করেছিলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এই দেশের সকল মানুষ—সাদা ও কালো—সমান অধিকার ভোগ করবে। তবে, আমেরিকা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। আমেরিকার নিগ্রোরা আজও এই প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না; সময় এসেছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার।

আজ আমাদের দেশে যে বৈষম্য এবং বঞ্চনার অবস্থা চলছে, তা একটি চরম সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে আমরা আর ফিরে যাব না, বরং সামনে এগিয়ে যাব। এই সংগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই থামবে না।

আমরা আজ এখানে এসেছি আমাদের দাবি আদায় করতে। আমাদের দাবি হচ্ছে ন্যায়বিচার এবং সমান অধিকার, যা এই জাতির প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রাপ্য। এই সময়ের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো বর্ণবাদী বিচারের অবসান এবং বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

আমরা শুধু আমাদের জন্যই লড়াই করছি না। অনেক সাদা মানুষও আজ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা বুঝেছে যে তাদের স্বাধীনতা আমাদের স্বাধীনতার সাথে জড়িত। আমরা একা নই। আমরা একসঙ্গে এই দীর্ঘ পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

আমাদের সামনে আরও অনেক বাধা আসবে। কিন্তু আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, আমরা থামবো না। আজ যারা আমাদের এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছে, তারা যেন এই লড়াইকে শৃঙ্খলা এবং মর্যাদার সাথে পরিচালনা করে। আমাদের কোনো সহিংসতার আশ্রয় নেয়া যাবে না। আমরা আমাদের শক্তিকে আত্মিক ও দৈহিক শক্তির সাথে ব্যবহার করবো। আমাদের আত্মার শক্তি দিয়ে এই আন্দোলন পরিচালিত করতে হবে।

আমাদের সামনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, কিন্তু আমরা থামবো না। আমরা যতদিন না আমাদের সন্তানদের জন্য এমন একটি পৃথিবী তৈরি করতে পারছি যেখানে তারা বর্ণের কারণে নয়, তাদের চরিত্রের ভিত্তিতে বিচারিত হবে, ততদিন আমরা সন্তুষ্ট হবো না।

আমার স্বপ্ন, একদিন এই মহান দেশের প্রতিটি কোনায় স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের ধ্বনি বাজবে। আমার স্বপ্ন, মিসিসিপির অন্যায় ও অত্যাচারের উত্তাপ সরে গিয়ে তা ন্যায়বিচারের একটি বাগানে রূপান্তরিত হবে। আমার স্বপ্ন, আমার ছোট সন্তানরা এমন একটি দেশে বড় হবে, যেখানে তাদের বর্ণ দেখে নয়, তাদের চরিত্র দেখে বিচার করা হবে।

আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আলাবামার ছোট ছেলে-মেয়েরা একে অপরের হাতে হাত ধরে চলবে, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমেরিকার প্রতিটি পাহাড়-পর্বত থেকে স্বাধীনতার ঘণ্টা বাজবে।

আমরা যখন এই স্বাধীনতার ঘণ্টা বাজাতে সক্ষম হবো, তখন আমরা প্রত্যেক গ্রাম এবং শহর থেকে ন্যায়বিচার ছড়িয়ে দেবো। আমরা তখন হাতে হাত ধরে একটি নতুন পৃথিবীর পথে অগ্রসর হবো।

এখনই সেই সময়। এখনই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার সময়।

Read More: Introduction to Prose: Fiction and Non-Fiction

Symbols in Martin Luther King Jr.’s “I Have a Dream” Speech

Martin Luther King Jr.-এর “I Have a Dream” ভাষণে বহু প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে যা তার স্বপ্ন, সংগ্রাম, এবং সামগ্রিক বার্তাকে আরও গভীরভাবে প্রকাশ করে।

“I Have a Dream” Phrase (ফ্রেজ):
ড. কিং বারবার “I have a dream” বাক্যটি ব্যবহার করে তার স্বপ্ন এবং আশার প্রতীক তুলে ধরেছেন। এটি ভবিষ্যতের জন্য তার ইচ্ছা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে যেখানে জাতিগত সমতা, ন্যায়বিচার, এবং মানবতার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই বাক্যটি ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি আহ্বান এবং নতুন পৃথিবীর প্রতিশ্রুতি বহন করে।

Mountaintop Metaphor (মাউন্টেনটপ মেটাফোর):
ড. কিং যখন মাউন্টেনটপের কথা বলেন, তখন তিনি জাতিগত সমতার দিকে যাত্রার প্রতীক হিসেবে এটি তুলে ধরেন। মাউন্টেনটপ এমন এক স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি আশার আলো দেখতে পান, যদিও সংগ্রাম চলমান। এই মেটাফোরটি মূলত আমাদের সমষ্টিগত সংগ্রাম এবং ভবিষ্যতের জন্য উঁচু স্থান থেকে আশার আলো দেখার প্রতীক।

Lincoln Memorial (লিংকন মেমোরিয়াল):
ভাষণটি যে স্থানে দেওয়া হয়েছিল, সেই লিংকন মেমোরিয়ালটি স্বাধীনতা এবং সমতার প্রতীক। এখানে গ্রেট এম্যান্সিপেটরের মূর্তি রয়েছে, এবং ড. কিং লিংকনের মুক্তির আদর্শগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে এখানে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের বাস্তবায়নের দাবি করেন।

References to American Ideals (আমেরিকার আদর্শের প্রতি উল্লেখ):
ড. কিং তার ভাষণে আমেরিকান ইতিহাসের বিভিন্ন আদর্শের প্রতি উল্লেখ করেছেন, যেমন সংবিধান এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এগুলি আমেরিকার স্বাধীনতা এবং সমতার প্রতীক, যা ড. কিং জাতিগত অবিচারের বিপরীতে তুলে ধরেন। এগুলি জাতির প্রতিশ্রুতি, যা আজও অনেকের জন্য অপূর্ণ রয়ে গেছে।

Children Holding Hands (শিশুদের হাত ধরা):
ড. কিং-এর স্বপ্নে দেখা গেছে, বিভিন্ন বর্ণের শিশুদের একে অপরের হাত ধরে হাঁটার দৃশ্য। এটি এমন এক ভবিষ্যতের প্রতীক যেখানে জাতিগত ভেদাভেদ ভেঙে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই চিত্রটি এমন এক সমাজের প্রতিফলন, যেখানে মানুষের মূল্যায়ন তাদের বর্ণের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের উপর ভিত্তি করে হবে।

Rising Tides and Ebbing Currents (উঠানামার জোয়ার):
রাশিয়াল প্রিজুডিসের “rising tides” এবং রাশিয়াল জাস্টিসের “ebbing currents” মেটাফোরগুলো বর্ণবাদের বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রামের প্রতীক। ড. কিং এমন এক সময়ের স্বপ্ন দেখেন, যখন ন্যায়বিচার ও সমতার ঢেউ প্রিজুডিস এবং বৈষম্যকে প্রতিস্থাপন করবে।

Promised Land (প্রমিসড ল্যান্ড):
ড. কিং “promised land” কথাটি বাইবেলের মূসার প্রসঙ্গে ব্যবহার করেন, যেখানে তিনি ইজরায়েলীয়দের প্রতিশ্রুত দেশে নিয়ে যান। এখানে এটি এমন এক ভবিষ্যতের প্রতীক যেখানে নাগরিক অধিকার এবং সমতা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে—এমন এক ভবিষ্যত যা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য।

Table of Brotherhood (ভ্রাতৃত্বের টেবিল):
ড. কিং-এর ভাষণে “table of brotherhood” একটি ঐক্য, সহযোগিতা এবং সমতার প্রতীক। এটি এমন এক সমাজের ইঙ্গিত দেয় যেখানে বিভিন্ন বর্ণের মানুষ সমানভাবে বসে, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে।

এই প্রতীকসমূহের মাধ্যমে ড. কিং তার ভাষণের মূল বার্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলেন, যা ছিল ন্যায়বিচার, সমতা এবং মানবতার জন্য সংগ্রামের এক নিরন্তর ডাক।

Read More: Of Studies Bangla Translation and Summary

Themes in “I Have a Dream” Speech

Martin Luther King Jr.-এর “I Have a Dream” ভাষণে বিভিন্ন গভীর এবং জটিল থিম তুলে ধরা হয়েছে, যা জাতিগত সমতা, মানবাধিকার, এবং সামাজিক পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দেয়।

Racial Equality (জাতিগত সমতা):
ভাষণের মূল থিমটি হলো জাতিগত সমতা। ড. কিং শক্তিশালীভাবে জাতিগত বিভাজন, বৈষম্য, এবং অবিচারের অবসান চান। তিনি এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে মানুষকে তাদের বর্ণের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের দ্বারা মূল্যায়ন করা হবে। জাতিগত সমতার এই ধারণা পুরো ভাষণ জুড়ে প্রকাশিত হয়েছে।

Justice and Freedom (ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা):
ড. কিং এর ভাষণে ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে সকল মানুষের, বিশেষ করে আফ্রিকান আমেরিকানদের, মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অবসান হওয়া উচিত। তার ভাষণ আমাদের সকলের জন্য ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তাকে পুনর্ব্যক্ত করে।

Unity and Brotherhood (ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্ব):
ড. কিং এর ভাষণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো সকল বর্ণের মানুষের মধ্যে ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্ব। তিনি এমন এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন যেখানে বিভিন্ন পটভূমির মানুষ একত্রে একটি সুসংগঠিত সমাজ গড়ে তুলবে। তার এই আহ্বান জাতিগত ভেদাভেদ ভেঙে ভাইচারা প্রতিষ্ঠার জন্য।

Nonviolent Resistance (অহিংস প্রতিরোধ):
ড. কিং অহিংস প্রতিরোধ এবং অসহযোগ আন্দোলনের এক দৃঢ় সমর্থক ছিলেন। তিনি সামাজিক পরিবর্তন আনার জন্য শান্তিপূর্ণ পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছেন। তার এই থিম মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার নীতির প্রতিফলন। ড. কিং এর আন্দোলন শান্তিপূর্ণ উপায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত ছিল।

Hope and Aspiration (আশা এবং আকাঙ্ক্ষা):
ভাষণটি আশা এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নে পূর্ণ। ড. কিং এর ভাষায় এমন একটি পৃথিবীর আশা ব্যক্ত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বর্ণের শিশু একসঙ্গে খেলবে এবং হাত ধরবে। এটি এমন একটি সমাজের প্রতীক যেখানে জাতিগত বিভাজন থাকবে না, এবং এটি একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা বহন করে।

American Ideals and Democracy (আমেরিকান আদর্শ এবং গণতন্ত্র):
ড. কিং আমেরিকান গণতন্ত্রের আদর্শের প্রতি উল্লেখ করে বলেন, জাতির উচিত তাদের স্বাধীনতা ও সমতার প্রতিশ্রুতিগুলির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। তিনি আমেরিকাকে জাতিগত বৈষম্যের বাস্তবতার সঙ্গে তাদের প্রতিশ্রুত আদর্শের বৈপরীত্য তুলে ধরেন এবং এটি ঠিক করার আহ্বান জানান।

Legacy and Change (ঐতিহ্য এবং পরিবর্তন):
ভাষণে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। ড. কিং এর আহ্বানটি নাগরিক অধিকার আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, অগ্রগতির জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি অপরিহার্য।

The Power of Speech (ভাষণের শক্তি):
এই ভাষণটি ভাষার শক্তি এবং বক্তৃতার প্রভাবের এক নিদর্শন। ড. কিং এর অমায়িক ভাষণ এবং প্রভাবশালী চিত্রকল্প মানুষের হৃদয় ছুঁতে সক্ষম। এটি প্রমাণ করে যে বক্তৃতা মানুষকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করার শক্তি রাখে।

Human Dignity (মানব মর্যাদা):
ড. কিং তার ভাষণে প্রতিটি মানুষের অন্তর্নিহিত মর্যাদা এবং মূল্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি যুক্তি দেন যে বর্ণ নির্বিশেষে, প্রতিটি ব্যক্তির সমান আচরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি তার সামগ্রিক বার্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Institutional Change (প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন):
ড. কিং জাতিগত অসমতা বজায় রাখার জন্য যে নীতিমালা, আইন এবং সামাজিক রীতিনীতি দায়ী, সেগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সত্যিকার পরিবর্তনের জন্য মৌলিক নীতি এবং বিধানে পরিবর্তন আনতে হবে যা শুধুমাত্র পৃষ্ঠতলের সামান্য পরিবর্তনে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

এই থিমগুলোর মধ্য দিয়ে ড. কিং তার ভাষণে শুধু নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বান জানাননি, বরং একটি ন্যায়বিচার এবং শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের উপর জোর দিয়েছিলেন।

Read More: Shooting an Elephant Bangla Summary

Bangla Summary

মার্টিন লুথার কিং তার “I Have a Dream” ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সমানাধিকার, ও ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আব্রাহাম লিংকনের নেতৃত্বে ১০০ বছর আগে ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের কথা উল্লেখ করেন। এই ঘোষণাপত্রে নিগ্রোদের সমান অধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে কখনোই পূর্ণ হয়নি।

বৈষম্যের শিকার হওয়া:
ড. কিং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, ১০০ বছর পার হয়ে গেলেও নিগ্রোরা এখনও বৈষম্যের শিকার। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বঞ্চিত এবং তাদের উপর নিপীড়ন চলছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে, বিশেষ করে চাকরি এবং অন্যান্য অধিকারগুলোতে তারা অবহেলিত। এই বৈষম্য দূর করার জন্য ড. কিং তার সমাবেশের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।

আন্দোলনের কারণ:
ড. কিং ভাষণে উল্লেখ করেন যে, নিগ্রোদের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করা হলে, তা দেশের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি আমেরিকান সরকারকে “Bad Check” বা নামমাত্র স্বাধীনতা দেওয়ার অভিযোগ করেন, তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাদের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা:
ড. কিং সকল নিগ্রোদের প্রতি আহ্বান জানান যে, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হতে হবে। তিনি চান না যে সশস্ত্র সংঘর্ষের মাধ্যমে এই আন্দোলন পরিচালিত হোক। কারণ অনেক শ্বেতাঙ্গ মানুষও এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। ড. কিং মনে করেন, সাদা এবং কালো চামড়ার মানুষের ভাগ্য একত্রে জড়িত, এবং তারা একে অপরের ছাড়া বাঁচতে পারবে না।

আন্দোলন থামানোর প্রসঙ্গে:
ড. কিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত নিগ্রোদের উপর অত্যাচার বন্ধ হবে না, এবং তাদের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকার নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ তাদের এই আন্দোলন থামবে না। তারা সমাজের হোটেল ও মোটেলগুলোতে প্রবেশের অধিকার, ভোটের অধিকার এবং সমান সুযোগ পেতে হবে।

সমানাধিকার পাওয়ার আশা:
ড. কিং বিশ্বাস করেন যে একদিন এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে এবং নিগ্রোরা সমানাধিকার পাবে। তিনি তার অনুসারীদের আহ্বান জানান তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে কাজ করতে এবং পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করতে। তার ভাষণে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে একদিন আমেরিকা এমন একটি দেশ হবে যেখানে মানুষের বর্ণের ভিত্তিতে বিচার করা হবে না, বরং তাদের চরিত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। তিনি দেখেন একদিন কালো এবং সাদা চামড়ার ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে হাঁটবে, এবং সবাই ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও সাম্যতা উপভোগ করবে।

কিভাবে আমেরিকা একটি মহান জাতি হবে:
মার্টিন লুথার কিং বিশ্বাস করেন, আমেরিকা তখনই একটি মহান জাতি হবে যখন প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাধীনতা, সমানাধিকার এবং ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সকল বর্ণ, ধর্ম এবং গোষ্ঠীর মানুষ একত্রে বসবাস করবে এবং সমান অধিকার ও স্বাধীনতার গান গাইবে।

Read More: Introduction to Poetry

English Summary

Martin Luther King Jr. begins his speech by referencing Abraham Lincoln and the Emancipation Proclamation, which was signed 100 years earlier. This proclamation promised freedom and equal rights for Black Americans, but despite this, Black people still face systemic discrimination and inequality even a century later. King highlights how, despite living in a prosperous nation, Black people remain marginalized and economically oppressed. The promise of equality and justice has not been fulfilled.

King explains the purpose of the march, saying they are there to demand their rightful freedom. He criticizes the American government for giving Black people a “bad check,” meaning promises of freedom and equality that were never honored. However, King believes the American government is not bankrupt—it still has the potential to fulfill its promise of freedom for all.

While advocating for change, King stresses that their movement must be peaceful. He does not want armed conflict or violence between Black and White people because many White allies also support their cause. King points out that the destinies of Black and White people are intertwined, and neither group can progress without the other.

When asked when the protests will end, King responds that the movement will not stop until police brutality ends, hotels and motels grant access to Black people, and voting rights and justice are provided to all.

King remains hopeful and believes that change will come. He encourages everyone to return to their jobs and continue working for change in their daily lives, without resorting to violence. Despite the hardships, King dreams of a future where America becomes a land where all people are treated equally. He envisions a time when the sons of former slaves and slave owners will sit together in brotherhood.

He expresses his dream that one day, his children will be judged not by the color of their skin, but by the content of their character. He dreams of a day when Black and White children will walk together in unity, and justice, equality, and freedom will prevail for all.

King concludes by stating that America will become a great nation only when people of all races, religions, and backgrounds can live freely and harmoniously together, singing the song of freedom.

Author

  • Martin Luther King Jr By Nobel Foundation - Description page (direct link), Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=9719576

    মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র (১৫ জানুয়ারি, ১৯২৯ - ৪ এপ্রিল, ১৯৬৮) একজন প্রখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, যিনি তার খ্রিষ্টীয় ধর্মবিশ্বাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। জর্জিয়ার আটলান্টায় জন্মগ্রহণকারী কিং, ১৯৫৫ সালে মন্টগোমারি বাস বয়কটের নেতৃত্ব দেন যা তাকে জাতীয়ভাবে পরিচিত করে তোলে। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে তার ঐতিহাসিক "আই হ্যাভ এ ড্রিম" ভাষণ দেন, যা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি অহিংস আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে সর্বকনিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নোবেল বিজয়ী করে তোলে। কিং ১৯৫৭ সালে সাউদার্ন ক্রিশ্চিয়ান লিডারশিপ কনফারেন্স (SCLC) প্রতিষ্ঠা করেন, যা নাগরিক অধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, মেমফিসের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী জেমস আর্ল রে-এর গুলিতে তিনি নিহত হন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর।

    View all posts

Leave a Comment