To His Coy Mistress by Andrew Marvell in Bangla

To His Coy Mistress by Andrew Marvell

Had we but world enough and time,
This coyness, lady, were no crime.
We would sit down, and think which way
To walk, and pass our long love’s day.
Thou by the Indian Ganges’ side
Shouldst rubies find; I by the tide
Of Humber would complain. I would
Love you ten years before the flood,
And you should, if you please, refuse
Till the conversion of the Jews.
My vegetable love should grow
Vaster than empires and more slow;
An hundred years should go to praise
Thine eyes, and on thy forehead gaze;
Two hundred to adore each breast,
But thirty thousand to the rest;
An age at least to every part,
And the last age should show your heart.
For, lady, you deserve this state,
Nor would I love at lower rate.
       But at my back I always hear
Time’s wingèd chariot hurrying near;
And yonder all before us lie
Deserts of vast eternity.
Thy beauty shall no more be found;
Nor, in thy marble vault, shall sound
My echoing song; then worms shall try
That long-preserved virginity,
And your quaint honour turn to dust,
And into ashes all my lust;
The grave’s a fine and private place,
But none, I think, do there embrace.
       Now therefore, while the youthful hue
Sits on thy skin like morning dew,
And while thy willing soul transpires
At every pore with instant fires,
Now let us sport us while we may,
And now, like amorous birds of prey,
Rather at once our time devour
Than languish in his slow-chapped power.
Let us roll all our strength and all
Our sweetness up into one ball,
And tear our pleasures with rough strife
Through the iron gates of life:
Thus, though we cannot make our sun
Stand still, yet we will make him run.

বাংলা অনুবাদ

থাকত যদি আমাদের অনেক পৃথিবী, অসীম সময়,
তব এ লাজ তবে হতাে না গাে অপরাধ।
আমরা বসে বসে ভাবতাম কি করে
চলব, কাটাব মােদের ভালবাসার অফুরন্ত সময়।
তুমি থাকতে ভারতের গঙ্গা নদীর তীরে
আহরিতে মুক্তা; আমি থাকতাম
বিরহের গান গাইতে হাম্বার নদীর তীরে।
আমি তােমাকে ভালবাসতে শুরু করতাম প্লাবনের
দশ বছর আগে থেকে;
আর তুমি যদি আমার ভালবাসাকে প্রত্যাখ্যান করতে
কিয়ামত পর্যন্ত।
আমার দ্রুত বেড়ে ওঠা ভালবাসা
ছাড়িয়ে যেত বিশাল সাম্রাজ্যের সীমানা প্রাচীর।
শত বর্ষ কাটাতাম তব আঁখি বন্দনায় এবং
তব কপালের শিহরণ জাগা দৃষ্টিতে।
তােমার প্রতি স্তনের পূজা করতাম দু’শ বছর ধরে
অবশিষ্ট তনু পূজিতাম ত্রিশ হাজার বছরে
তব প্রতি অঙ্গ পূজিতাম কমপক্ষে এক যুগ
এবং শেষ অব্দে দেখা পেতাম তব হৃদয়ের।
প্রিয়তমা, এ মর্যাদা প্রাপ্য তােমার
আর এর থেকে কম মূল্যে তােমায় আমি ভালবাসতাম না।
কিন্তু সর্বদা শুনি মাের পিছে
সময়ের ডানাযুক্ত রথ দ্রুত আসছে কাছে।
আমাদের সামনে বিস্তৃত রয়েছে
অনন্তের অনেক মরু অঞ্চল।
তব অপরূপ রূপ আর দেখা যাবে না;
তব মার্বেল মােড়ান কবরে ঢুকবে না
মম গানের তান; তখন কবরের পােকা
হরণ করবে তােমার দীর্ঘকালের সুরক্ষিত কুমারিত্বকে বােকা
এবং তােমার সূক্ষ্ম সম্মান মিলাবে ধরার ধুলায়;
ছাই-ভস্ম হয়ে যাবে আমার সকল কামাকাক্ষা।
কবর নিঃসঙ্গ, একান্ত স্থান,
কিন্তু কেউ সেখানে করে না আলিঙ্গন।
এখন যখন তােমার বর্ণিল যৌবন আভা
শিশিরের মতাে অঙ্গে অঙ্গে আনে শােভা,
যখন তােমার আত্মা স্বেচ্ছায় প্রকাশে
প্রতি লােমকূপ হতে ঝরে তাৎক্ষণিক আগুন,
এসসা না প্রিয়া আমরা একটু খেলা করি;
কামুক পাখির ন্যায়,
নতুবা চল কালকে গ্রাস করি,
কালের চোয়ালে জীর্ণ হব না।
চল আমাদের সমস্ত শক্তিকে পাকিয়ে তুলি
সকল মাধুরী নিয়ে একটা বল তৈরি করে ফেলি
এবং সকল আনন্দাশ্রু নিয়ে আসি,
জীবনের লৌহ কপাট ভেঙ্গে।
আমরা আমাদের সূর্যকে পারব না
স্থির রাখতে, আমরা তাকে চালু রাখব।

কবিতার সারসংক্ষেপ

কবি এন্ড্রু মারভেল তার “To His Coy Mistress” কবিতায় আকাঙ্ক্ষা করেছেন ভালােবাসার জন্য অফুরন্ত সময়। কবি বলেন, তিনি তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে বসে বসে ভাবতেন কী করে কাটাবেন দীর্ঘ সময়। কবি তাঁর প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমি ভারতের গঙ্গা নদীর কিনারায় মুক্তা কুড়াতে আর আমি হাম্বার নদীর কিনারে বসে গাইতাম বিরহের গান। কবি বলেন, তিনি তাঁর প্রেমিকাকে ভালােবাসতে শুরু করেছেন নূহের প্লাবনের দশ বছর আগে থেকে। কবি বলেন, তাদের দুজনের ভালােবাসা বিশাল সাম্রাজের সীমানা পার হয়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ত। তিনি তাঁর প্রেমিকার আঁখিবন্দনা করতেন, গুণের পূজা করতেন আর পুরাে শরীরটার পূজা করতেন ত্রিশ হাজার বছর ধরে। কিন্তু কবি শংকিত এই ভেবে যে, তাঁর পিছে সময়ের রথের শব্দ শােনা যাচ্ছে। কবি মনে করেন তাঁর প্রেমিকার রূপটি হয়তাে তিনি আর দেখতে পাবেন না কারণ কবির মৃত্যুর পর প্রেমিকার রূপের চিত্র তার কবরে প্রবেশ করবে না, দেহ হবে ছাইভস্ম, যে দেহকে আর আলিঙ্গন করা সম্ভব হবে না। কবি এ কারণে প্রিয়ার সাথে কিছুটা সময় খেলা করতে চান, কবি জানেন এই সময় আর স্থির থাকবে না, একদিন এ শরীর ছাইভস্মে রূপ নেবে।

কাব্যিক মূল্যায়ন

কবি এন্ড্রু মারভেল তাঁর “To His Coy Mistress” কবিতায় তাঁর প্রেমিকার সাথে জীবনের দীর্ঘ সময় কী করে কাটাবেন সে বিষয় নিয়ে নানা দিকের অবতারণা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর প্রেমিকা যখন ভারতের গঙ্গানদীর তীরে মুক্তা কুড়াবে তিনি তখন হাম্বার নদীর তীরে বসে বিরহের গান গাইবেন। আর প্রেমিকা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করতে থাকবে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত। কবির প্রেম শেষে ছড়িয়ে যাবে সাম্রাজ্যের সীমানা প্রাচীর পার হয়ে। প্রেমিকার আঁখি বন্দনায় সময় কাটাতেন তিনি, শুধু তাই নয় তিনি তার প্রেমিকাকে ভালােবাসতেন ত্রিশ হাজার বছর ধরে এবং প্রেমিকার প্রতিটি অঙ্গের পূজা করতেন এক যুগ ধরে, স্তনের পূজা করতেন দুশাে বছর আর পুরাে অঙ্গের পূজা করতেন ত্রিশ হাজার বছর ধরে। কিন্তু কবি এত সব কামনা প্রকাশ করার পরও পেছনে শুনতে পান সময়ের রথের চাকার ঘর্ঘর ধ্বনি। কবি মনে করেন সময় দ্রুত তাকে কেড়ে নেবে পৃথিবী থেকে, তিনি তাঁর এই প্রিয়ার মুখমণ্ডল, তার রূপরাশি আর দেখতে পাবেন না। কবি মনে করেন প্রিয়ার এই রূপের ঝলক কখনােই আর দেখা যাবে না তার মার্বেল বাঁধানাে কবরে। প্রিয়ার শরীর ঠুকরে খাবে কবরের কীটেরা, কীটেরাই হরণ করবে কবির প্রেমিকার কুমারীত্ব। প্রেমিকার অপরূপ দেহলালিত্য মিশে যাবে ধুলার আস্তরণে, কবি বলেন তাঁরও কামনা-বাসনা সবই পরিণত হবে ছাই ভস্মে। কবি কামনা করছেন, এখনাে তাঁর প্রিয়ার শরীরে যৌবনের ঝলমলে বর্ণবিভা, এখনাে সেথায় জ্বলে কামনার আগুন। কবি কিছুটা সময় প্রার্থনা করেন তাঁর প্রিয়ার সাথে খেলা করার অথবা সময়কে গ্রাস করে নিজেদের শক্তিকে আরাে পাকাপােক্ত করার। কবি মনের সকল মাধুরী মিশিয়ে একটি বল তৈরি করার কথা বলেন, যদিও জীবনের সূর্যকে কবি স্থির রাখতে সমর্থ হবেন না তবুও তিনি কামনা করছেন তার এবং তাঁর প্রেমিকার ভালােবাসাকে চালু রাখতে। এ কবিতায় কবির এক তরফা ভালােবাসার বর্ণিল প্রকাশ ঘটেছে। তাঁর প্রিয়ার তরফ হতে কোনাে সাড়া পাওয়া গেলেও তিনি তাকে হাজার বছর ধরে ভালােবেসে যাবেন।

Rhyme Scheme

“To His Coy Mistress” is organized into rhyming couplets. Each couplet has its own rhyme; after Marvell completes one rhyme, he moves on to the next. One can see this pattern in the first 10 lines of the poem, which are rhymed aabbccddee.

Author

  • Andrew Marvell

    মারভেল সেই প্রকৃতি চেতনার কবি। প্রেমের কবি। সৌন্দর্যের কবি। প্রকৃতির কবি। শহুরে সভ্যতার যন্ত্রণাকাতর যন্ত্রজীবন ছেড়ে ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় পল্লী প্রান্তরই তাঁর কবিতার চারণ ভূমি। তবে প্রকৃতিপ্রীতির পাশাপাশি তাঁর কবিতায় স্বদেশানুভূতি, ধর্মতত্ত্ব, প্রেম-বিরহ, হিউমার, আয়রনী, উইট এসবও উঠে এসেছে নিপুণ পরিচর্যায়। এই প্রতিভাধর কবি মারভেল জন্মগ্রহণ করেন ১৬২১ সালের ৩১শে মার্চ, লন্ডনের ইয়র্কশায়ারে। তার বাবা ছিলেন পাদ্রী। মারভেল ছিলেন বাবা মায়ের প্রথম ছেলে এবং পরিবারের চতুর্থ সন্তান। মারভেলের পরে তাঁর আর একটা ভাই মাত্র এক বছর বয়সে মারা গেল। সুতরাং মারভেলই হচ্ছে পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান। বড় তিন বােন হচ্ছে এ্যানি, মেরী ও এলিজাবেথ। তিন বােনের এক ভাই। বােনদের কোলে কোলে আদরে আদরে বেড়ে উঠেছেন মারভেল। | এই মারভেলই পরবর্তীকালে কন্সটান্টিনােপলে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করেন। বন্ধুত্ব অর্জন করেন জন মিলটনের মতাে নামী-দামী কবির। জন মিল্টন এক সময়ে কমনওয়েলথের বৈদেশিক সেক্রেটারি ছিলেন। কিন্তু তাঁর দৃষ্টি শক্তি কমে আসার কারণে মারভেলকে মিলটনের সহকারী নিয়ােগ করা হয় ১৬৫৭ সালে। তাঁর নিজ শহর হাল থেকে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন এবং আমরণ তিনি পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন।

    View all posts

Leave a Comment