The Collar By George Herbert Bangla Translation and Summary

The Collar by George Herbert

I struck the board, and cried, “No more;
I will abroad!
What? shall I ever sigh and pine?
My lines and life are free, free as the road,
Loose as the wind, as large as store.
Shall I be still in suit?
Have I no harvest but a thorn
To let me blood, and not restore
What I have lost with cordial fruit?
Sure there was wine
Before my sighs did dry it; there was corn
Before my tears did drown it.
Is the year only lost to me?
Have I no bays to crown it,
No flowers, no garlands gay? All blasted?
All wasted?
Not so, my heart; but there is fruit,
And thou hast hands.
Recover all thy sigh-blown age
On double pleasures: leave thy cold dispute
Of what is fit and not. Forsake thy cage,
Thy rope of sands,
Which petty thoughts have made, and made to thee
Good cable, to enforce and draw,
And be thy law,
While thou didst wink and wouldst not see.
Away! take heed;
I will abroad.
Call in thy death’s-head there; tie up thy fears;
He that forbears
To suit and serve his need
Deserves his load.”
But as I raved and grew more fierce and wild
At every word,
Methought I heard one calling, Child!
And I replied My Lord.

মূল কবিতা (The Collar)

আমি টেবিলে আঘাত হানছি এবং কাঁদছি, আর নয়
আমি বাইরে যাব।
কি? আমি কি অনন্ত দীর্ঘশ্বাস আর বেদনা নিয়ে থাকব?
আমার পথ, আমার জীবন স্বাধীন, মুক্ত রাস্তার মতো,
বাতাসের মতো বাধা-বন্ধনহীন, গোলাঘরের মতো সুবিশাল ।
আমি কি একই পোশাকে থাকব সারাক্ষণ ?
আমার কি নেই কোন ফসল, কণ্টক ছাড়া রক্তাক্ত হওয়া ছাড়া,
নেই কোন ক্ষতিপূরণ যা আমি হারিয়েছি বলদায়ক ফল?
অবশ্যই সেথায় মদ ছিল
আমার দীর্ঘশ্বাসে শুকিয়ে গেল সেথায় ছিল শস্য
আমার অশ্রুতে ডুবে গেল ।

একমাত্র আমিই কি হারালাম জীবনের পুরো সময়টা?
নাই কি আমার কোন বৃক্ষশোভা ইহাকে শোভিত করতে?
নেই কোন ফুল, নেই কোন আনন্দের মাল্য, সব কি ছিন্ন হয়ে গেছে?
সব নষ্ট?
না তা নয়, মম হৃদয় এখনো ফল আছে,
এবং তোমার হাতেও আছে ৷

ফিরিয়ে আন তোমার দীর্ঘশ্বাসের বছরগুলো
দ্বিগুণ আনন্দে ত্যাগ কর তোমার শীতল যুক্তি
কোনটা ঠিক, কোনটা নয়। ফেলে দাও তোমার খাঁচা,
তোমার বালির বাঁধ,
যা তুচ্ছ চিন্তার জন্ম দেয় আর বানায়
ভাল রশি, বল প্রয়োগে বাঁধতে এবং টানতে,
আর আইন মানতে,
যখন তুমি উঁকি মার কিছুই দেখতে পাও না ।
যেতে দাও; শোন
আমি বাইরে যাব ৷
ডেকে আন মৃত থামার খুলি টেনে আন তোমার ভীতিকে
যার ধৈর্য আছে
এ পোশাক পরতে আর তার প্রয়োজন থাকলে খাটাতে,
যোগ্য তার বোঝা ।
কিন্তু আমি পাগলের মতো, হয়ে গেছি আরও হিংস্র এবং বন্য
ক্রমে ক্রমে
আমার মনে হয় কারো ডাক শুনছি, ‘সন্তান’
এবং আমি উত্তর দিলাম, ‘হে প্রভু!

কবিতার সারসংক্ষেপ

কবি জর্জ হার্বার্ট তাঁর ‘The Collar’ কবিতায় বন্দি মানবাত্মার মুক্তির জয়গান গেয়েছেন। গলাবন্ধনী দ্বারা তিনি একজন মানুষকে শৃংঙ্খলিত রূপে দেখেছেন, যে মানুষ তার গলাবন্ধনী হতে মুক্ত হতে চায় । এখানে গলাবন্ধনী রূপকে সময়ের সীমাবদ্ধ জীবন যাত্রার কথা তুলে ধরেছেন। একজন মানব বাতাসের মতো বাধা বন্ধনহীন, স্বাধীন থাকতে চায়। কবি এখানে অসহায় বন্দি মানবের করুণ আর্তনাদ তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। এখানে মানবাত্মা যেন ক্ষত বিক্ষত, অসহায় এই মানব একই বৃত্তে অবস্থান করে অসহায় বোধ করেছে। তার জীবনের সকল অর্জনই যেন ব্যর্থ, সে তার অর্জনের মাঝে কোনো ফসল দেখতে পাচ্ছে না, সে শুধু প্রত্যক্ষ করছে কাঁটাগুল্ম। এখানে এই বন্দি জীবন যাত্রায় শুধু রক্তাক্ত হওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। অসহায় মানব ভাবে তার জীবনের পুরোটা সময় কেটে গেছে এই বৃত্তের মাঝে তার অশ্রু গেছে মদ্য, শুকিয়ে তার অশ্রু ডুবে গেছে তার শস্য সমুদয়। জীবন বৃক্ষে নেই কোন ফুল, সকল পুষ্পমালা তার ছিন্ন হয়েছে, বন্দি মানবাত্মা আর কোনো শীতল যুক্তি শুনতে চায় না। এই সব তুচ্ছ চিন্তা আর আইন-কানুনের নিগড় তাকে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে, মোট কথা, এই বন্দি মানবাত্মা এবার বৃত্ত ভেঙ্গে বাইরে আসতে চায়, তার গলাবন্ধনী যেন তাকে আটকে রেখেছে সীমার বন্ধনে। এখানে অসহায় মানবাত্মার মুক্তির সুরকি স্পষ্ট।

কাব্যিক মূল্যায়ন

কবি জর্জ হার্বার্ট রচিত ‘The Collar’ কবিতায় সীমার বন্ধনে আবদ্ধ জীবন হতে মুক্তির আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কলার দ্বারা একটা বন্ধনী বোঝানো হয়েছে। কলার যেমন গলার চারপাশ ঘিরে থাকে গোলাকার বন্ধনী নিয়ে, তেমনি জীবন যেন কলারের মতোই একটা বন্ধনীতে আটকা পড়ে আছে। কবি তাঁর কবিতার সূচনা পর্বেই টেবিলে মুষ্টাঘাত করে অস্থিরতা প্রকাশ করে বলেন, যথেষ্ট হয়েছে আর নয়, আমি এবার বাইরে যাব দীর্ঘশ্বাস আর বেদনাভরা জীবন নিয়ে, আমৃত্যু বাস করতে চাই
না ।

মোট কথা, কবি তাঁর এ কবিতায় মানব জীবনের অনন্ত বন্দনদশা, পৃথিবীর জাতাকলে সংসার জীবন যাত্রার পেষণে, সর্বক্ষেত্রেই মানব যেন নিয়মনীতি আর কর্মের শৃঙ্খলে বন্দি। তাঁর যেন মুক্ত বাতাসে শ্বাস ফেলার সুযোগটাও নেই। অথচ জীবন যেখানে বাঁধাবন্ধনহীন, মুক্ত, সেখানে আত্মা বন্দি থাকতে চায় না গৃহ আর কর্মের কারা প্রাচীরে, সে মুক্তি চায়, বিহঙ্গের মতো ডানা মেলতে চায়। কবি বলেন, এ জগতে তিনি যা কিছু উৎপাদন করেছেন সে সব উৎপাদিত সম্পদের মাঝে দেখো কণ্টকের স্তূপ, যেখানে শুধু বারবার রক্তাক্ত হতে হয়। যেখানে ছিল সুরার অফুরন্ত ধারা, সে ধারাটাও শুকিয়ে কাঠ । কবি তাঁর এ কবিতায় আক্ষেপ করে বলেছেন, তিনি তাঁর জীবনের পুরো সময়টাই নষ্ট করেছেন। জীবনের গাঁথা মালা যেন ছিন্ন ভিন্ন হয়েছে তাঁর জীবন বৃক্ষের সকল শোভিত ফুলগুলো গেছে ঝরে। কবি বলেন, জীবনের সেই দিনগুলো এবার ফিরিয়ে আনতে হবে, কিন্তু তা সম্ভব কি? কবি বারবার আর্তস্বরে অনুনয় করেছেন তাঁর জীবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য। কবি বলেন, সকল যুক্তি তর্ক নিয়ম-কানুন ত্যাগ করে পুরোনো দিনগুলো ফের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নাও, ভেঙ্গে ফেল অলিক স্বপের বাঁধ। অতীতকে ডাকো কাছে, আইন-কানুন, নিয়মনীতি তুমি মানো, কিন্তু আমাকে এসবে বেঁধো না, আমাকে বাইরে যেতে দাও। কবি বললেন, তিনি এই বন্ধনে আটকা পড়ে যেন পাগল হয়ে যাচ্ছেন। সীমাবদ্ধ এই সংকীর্ণ জীবন যাত্রা তাঁকে যেন অসুস্থ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি যেন ক্রমেই হিংস হতে হিংস্রতর হয়ে যাচ্ছি। শেষে কবি তাঁর মুক্ত জীবন কামনা করতে গিয়ে শুনতে পেরেছেন মহান প্রভুর দরদী আহবান। কবি বলেন, তিনি যেন শুনতে পেলেন মহান প্রভু তাঁকে আদরের সুরে, স্নেহের, মমতার পরশ বুলিয়ে ডাক দিলেন সন্তান বলে। মূলত এখানে কবি তাঁর পারিপার্শ্বিক জীবন যাত্রার চাপ থেকে নিজেকে সরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এই জীবন যাত্রা তাঁর কাছে যেন গলাবন্ধনী হয়ে দেখা দিয়েছে । কবি গলাবন্ধনী প্রতীক দ্বারা একজন সংসার জালে বন্দি মানবের চিত্র অংকন করেছেন।

Source: Poetry Foundation

Author

  • George Herbert

    জর্জ হারবার্ট ম্যাটাফিজিক্যাল কবিদের একজন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবিতার জনক জন ডান (১৫৭২-১৬৩১) এর সমসাময়িক। ১৫৯৩ সালের ৩রা এপ্রিল জর্জ হারবার্ট জন্মগ্রহণ করেন মন্টগােমারি ক্যাসল, ইংল্যান্ডে। হারবার্টরা ছিলেন দশ ভাইবােন, সাত ভাই এবং তিন বােন। ভাইদের মধ্যে জর্জ হারবার্ট ছিলেন পঞ্চম। আর তাদের পরিবারটি ছিল খুব সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলাের মধ্যে একটা। তার মা ম্যাগডলেন ছিলেন সুশিক্ষিতা রমণী। মায়ের জীবন দর্শন ও শিক্ষার প্রভাব পড়েছিল জর্জ হারবার্টের জীবনে। তার সাতটা ছেলেকেই পড়ালেখা করালেন। উল্লেখ্য যে, জর্জ হারবার্টের জন্মের মাত্র তিন বছর পর অর্থাৎ ১৫৯৬ সালে তার বাবা মারা গেলেন। হারবার্টের বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও তার মা তাদের লেখাপড়ার প্রতি অমনােযােগী ছিলেন না।

    View all posts

Leave a Comment