Holy Sonnets: Death be not Proud by John Donne Bangla Translation

Holy Sonnets: Death, be not Proud by John Donne

Death, be not proud, though some have called thee
Mighty and dreadful, for thou art not so;
For those whom thou think’st thou dost overthrow
Die not, poor Death, nor yet canst thou kill me.
From rest and sleep, which but thy pictures be,
Much pleasure; then from thee much more must flow,
And soonest our best men with thee do go,
Rest of their bones, and soul’s delivery.
Thou art slave to fate, chance, kings, and desperate men,
And dost with poison, war, and sickness dwell,
And poppy or charms can make us sleep as well
And better than thy stroke; why swell’st thou then?
One short sleep past, we wake eternally
And death shall be no more; Death, thou shalt die.

বাংলা অনুবাদ

গর্বিত হয়ােনা হে মৃত্যু, কেউ কেউ বলে
তুমি এতােটা শক্তিমান আর ভয়াল নও,
কেউ বলে এটা মৃত্যু নয়, ধ্বংস হয় না অনন্ত জীবন
নিঃশেষ করতে পারাে না তুমি, মৃত্যু তাে এক ধরনের নিদ্রা।
মৃত্যুর ছবি সে তাে চিরকালীন বিশ্রাম আরামের স্থান,
যে কারণে পুণ্যবান মানুষেরা মরে যুবা কালে,
মৃত্যু তাদের শরীরের কারাগার হতে আত্মাকে মুক্ত করে,
এ কারণে মােরা মৃত্যুকে বলবােনা বড়ােই ভয়াল।
মৃত্যুর দ্বারে ক্রীতদাস, অভাজন রাজার ক্ষমতা সকলই সমান।
বিষ, আফিমের নেশা, যুদ্ধাহত এসব হতেও অতি উঁচুমানের নিদ্রা এই মরণ
ও সবের চাইতে মরণকেই কেন বা জানাবােনা স্বাগতম?
মৃত্যুর পরে কবরে সে তাে স্বল্পকালীন নিদ্রা
যখন মােদের স্বর্গে হবে ঠাই তখন মৃত্যু আর পাবে না নাগাল,
মৃত্যুই শেষ কথা নয়, মৃত্যুর পরও আত্মা রবে জেগে।

কবিতার সারসংক্ষেপ

কবি জন ডান রচিত “Holy Sonnets” গুচ্ছের এটি দশম কবিতা। কবি এখানে মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন; অনেকেই বলে মৃত্যু অতােটা ভয়াল আর শক্তিমান নয়। কবি মনে করেন মৃত্যু এসে কখনােই অনন্ত জীবনকে ধ্বংস করতে পারে না। কবির মতে, মৃত্যু হচ্ছে স্বল্পকালীন কবর গৃহের নিদ্রা মাত্র, কিন্তু সামনে পড়ে আছে আছে অনন্ত স্বর্গীয় জীবন। কবি মনে করেন, মৃত্যু আসলে দেহের কারাগার হতে আত্মাকে মুক্ত করে, আত্মা মিলে যায় অনন্ত জীবন যাত্রায়, এ কারণে পুণ্যবান যুবারা অকালেই প্রাণ ত্যাগ করে। মৃত্যুর দরােজায় রাজা, ক্রীতদাস, অভাজন সবাই সমান। বিষের দাহ, আফিমের নেশায় মরণের কোলে ঢলে পড়ার চাইতে এই মৃত্যুকেই কবি স্বাগত জানিয়েছেন। কবি মনে করেন; মৃত্যুতে আত্মা শুধুমাত্র তাঁর খােলস বদলায়, অর্থাৎ দেহ পড়ে থাকে, আত্মা গিয়ে মিলিত হয় স্বর্গলােকে। কবি বলেন, ইহলৌকিক জীবনযাত্রা কিছু নয় পরলােকের অনন্ত জীবনটাই আসল, যেখানে মৃত্যুও যেতে ব্যর্থ হবে। অনন্ত স্বর্গলােকে ঠাই হলে আত্মার নাগাল পাবে না মৃত্যু। কবি এ কবিতার মধ্য দিয়ে আত্মার অবিনশ্বরতার কথা বােঝাতে চেয়েছেন।

 

কাব্যিক মূল্যায়ন

কবি জন ডান তাঁর “Death be not Proud” শীর্ষক কবিতায় মৃত্যুর স্বরূপ ও মহিমার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। মৃত্যু যে শক্তিধারী ভয়াল কোনাে বিষয় নয় বরং শান্তির নিদ্রা এবং দেহের মৃত্যু হলেও আত্মার যে মৃত্যু ঘটে না সে সম্পর্কে জোরালাে যুক্তি তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। কবি প্রথমেই জানান দেন, মৃত্যুকে ভয়ের কিছু নেই কারণ মৃত্যু কোনাে ভয়াল বিষয় নয় আর প্রচণ্ড শক্তিমানও নয়। মৃত্যু হচ্ছে শরীরী মৃত্যু এতে শুধু জৈবিক দেহটারই পতন ঘটে, আত্মা তাে অবিনশ্বর, আত্মার মৃত্যু ঘটে না কখনােই। কবি ইঙ্গিত করেন, মৃত্যু হচ্ছে কবরস্থানে কিছুকাল পরম শান্তিতে দ্রিার ব্যাপার। এরপরই আছে অনন্ত জীবন যাত্রা। জীবন কখনােই নিঃশেষ হয় না। মৃত্যুর গভীর দ্রিা পার হয়ে আত্মার স্থান হয় স্বর্গলােকে। দেহের কারাগার হতে আত্মা বের হয়ে যাত্রা করে অনন্ত লােকে, শেষে স্থিত হয় স্বর্গলােকে, কবি বলেন, এ কারণেই পুণ্যবান মানুষেরা যুবাকালেই ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। মৃত্যু এসে তাদের জীবনকে দেয় চূড়ান্ত মহিমা, তাদের স্থান হয় স্বর্গলােকে। এখানে মৃত্যু সম্পর্কে একটি অমােঘ সত্যি বাণী উচ্চারণ করেন কবি, সেটি হলাে, মৃত্যুর সামনে ক্রীতদাস, অভাজন, রাজা সবাই সমান। সব স্তরের মানবের মৃত্যুর চেহারা একই রূপ পরিগ্রহ করে। বিষজ্বালায়, আফিমের নেশায়, যুদ্ধে আহত হয়ে মৃত্যুর চাইতে এই সহজ সরল নিরাভরণ মৃত্যু অনেক শ্রেষ্ঠমানের, তাহলে এই সহজ সরল মৃত্যুকে কেন স্বাগত জানাবাে না? কবি বলেন, মৃত্যু সেতাে অল্প সময়ের দ্রিার ব্যাপার।
দ্রিা হতে জাগরণ শেষে শুরু হবে আসল সত্যিকার জীবন যাত্রা। কবি বলেন আত্মার যখন স্বর্গলােকে ঠাই হবে তখন আর কোনাে জরা ব্যাধি মৃত্যু তার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না, সে জীবন হলাে অনন্ত এক পুণ্যতর মহাজীবন যাত্রা। কবি এ কারণে উচ্চারণ করেন দৈহিক মৃত্যুটাই শেষ কথা নয়। মৃত্যুর পরও অনন্তলােকে স্বর্গীয় মহিমা নিয়ে আত্মা চির জাগরুক থাকে।

Author

  • John Donne

    সমাজ পরিবার ও ব্যক্তি বিধৃত জীবনকে শুধুমাত্র উচ্ছ্বসিত ভাবাবেগের পরিবর্তে মূখ্যত বুদ্ধিসচেতন, বিশ্লেষণধর্মী, দার্শনিক মনােভঙ্গি নিয়ে উপলব্ধির প্রয়াস জন ডান-এর অভিষ্ট লক্ষ্য ছিল। জীবনের হতাশা নিরাশা, ধূসর ভবিষ্যতের ঊষর মরুতে বিচরণ না করে তিনি জীবনকে তৃণে-শস্যে, ফুলেফসলে সফল দেখতে চান। আর এই মানসে তিনি প্রত্যয়ী, পরিশ্রমী। তাঁর প্রত্যয়ী মনােভাব তাঁকে পৌছে দিয়েছে খ্যাতির উচ্চাসনে। তিনি আবিষ্কার করলেন স্বতন্ত্র কাব্যধারা। ম্যাটাফিজিক্যাল’ কবিতা।

    View all posts

Leave a Comment