Araby Bangla Summary and Analysis

Araby by James Joyce

জেমস জয়েসের “Araby” হল একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যা তার প্রথম গল্পগ্রন্থ Dubliners এ অন্তর্ভুক্ত। এই গল্পে একজন কিশোর ছেলের প্রথম ভালোবাসার অভিজ্ঞতা এবং তার স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কাহিনি গড়ে উঠেছে। জয়েস তার স্বকীয় লেখনী শৈলীতে ডাবলিনের সাধারণ জীবনের এক গভীর চিত্র তুলে ধরেছেন, যেখানে সমাজের স্তরবিন্যাস, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং কল্পনা বনাম বাস্তবতার মধ্যে অমিল স্পষ্ট হয়েছে। এই গল্পটি মূলত আধা-আত্মজীবনীমূলক, কারণ জয়েস তার নিজের শৈশবের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি রচনা করেছেন। “Araby” শুধু একটি কিশোর ছেলের ভালোবাসার গল্প নয়, এটি কৈশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে প্রবেশের এক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধির গল্প, যা পাঠককে মুগ্ধ এবং চিন্তিত করে তোলে।

মূল তথ্যবিস্তারিত
লেখকজেমস অগাস্টিন অ্যালোয়েসিয়াস জয়েস (১৮৮২-১৯৪১)
লেখকের উপাধিআইরিশ ঔপন্যাসিক, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক, স্রোতচেতনা (Stream of Consciousness) জন্য বিখ্যাত
লেখার সময়কাল১৯০৪-১৯০৬ এর মধ্যে
প্রকাশনার তারিখ১৯১৪, “ডাবলিনার্স” এ
ধরনছোট গল্প
সময় সেটিংঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ বা বিংশ শতাব্দীর শুরু (প্রায় ১৯০০ সালের দিকে)
স্থান সেটিংডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
প্রথম প্রকাশ১৯১৪ সালে “ডাবলিনার্স” গ্রন্থে প্রকাশিত
প্রধান থিমস্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব, নিরাশা, নির্দোষতা ও অভিজ্ঞতা

Major Characters

Narrator (বর্ণনাকারী):
গল্পের মূল চরিত্র, যাকে বলা যেতে পারে বর্ণনাকারী। সে একজন কিশোর ছেলে, যার চোখ দিয়ে পুরো গল্পটি প্রকাশ পায়। এই কিশোর তার প্রতিবেশী Mangan’s sister এর প্রতি একধরনের দুর্বার আকর্ষণ অনুভব করে। তার আবেগ ক্রমে প্রেমের মতো গভীর হলেও, এটি মূলত একটি কিশোরের প্রথম প্রেমের নির্দোষ, অস্থির অনুভূতি। তার হৃদয়ের এই আকাঙ্ক্ষা তাকে একটি নতুন অভিজ্ঞতার দিকে নিয়ে যায়—Araby মেলায় যাত্রা, যা তার জন্য এক রূপকথার মতো। তবে মেলায় যাওয়ার পর সে তার প্রেমের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বাস্তবতার কঠোর সংঘর্ষ অনুভব করে। তার এই চরিত্রের মাধ্যমে কিশোর বয়সের স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যকার বিপর্যয় স্পষ্ট হয়।

Mangan’s Sister (ম্যানগানের বোন):
Mangan’s sister গল্পের বর্ণনাকারীর প্রতিবেশী মেয়ে, যাকে কেন্দ্র করেই বর্ণনাকারীর প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে। মেয়েটির প্রতি বর্ণনাকারীর এই আকর্ষণ অদৃশ্য, কারণ গল্পের কোথাও মেয়েটির বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় না। সে কেবল একটি রহস্যময় চরিত্র হিসেবে উপস্থিত, যার প্রতি বর্ণনাকারীর আকর্ষণ গল্পের চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। মেয়েটি বর্ণনাকারীর কাছে যেন এক ধরণের স্বপ্ন বা ধাঁধা, যা কিশোর মনের প্রেমের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। তার আকর্ষণই বর্ণনাকারীকে Araby মেলায় যেতে অনুপ্রাণিত করে।

Mangan (ম্যানগান):
ম্যানগান হলো বর্ণনাকারীর বন্ধু। যদিও গল্পে তার উপস্থিতি সীমিত, তবুও সে গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার বোনের মাধ্যমে গল্পের প্রধান সংঘাতের সৃষ্টি হয়। ম্যানগান ও বর্ণনাকারী প্রায় একই বয়সের এবং তাদের বন্ধুত্বের কারণে বর্ণনাকারী তার বোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

Uncle (চাচা):
বর্ণনাকারীর চাচা হলো গল্পের একটি গৌণ চরিত্র। তিনি বর্ণনাকারীকে Araby মেলায় যাওয়ার জন্য টাকা দিতে প্রতিশ্রুতি দেন, তবে মদ্যপান ও অমনোযোগের কারণে তিনি প্রায় ভুলে যান। গল্পের শেষে, তার চাচা দেরিতে বাড়ি ফেরে, যা বর্ণনাকারীর পরিকল্পনায় বাধা সৃষ্টি করে। তার চরিত্রটি বর্ণনাকারীর জীবন ও আকাঙ্ক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।

Aunt (চাচী):
বর্ণনাকারীর চাচী একটি স্নেহময়ী এবং চিন্তাশীল চরিত্র, যিনি বর্ণনাকারীর প্রতি যত্নশীল। তিনি গল্পের চাচাকে মনে করিয়ে দেন যে তাকে বর্ণনাকারীকে Araby মেলায় যাওয়ার জন্য টাকা দিতে হবে। তার এই ভূমিকা থেকে বোঝা যায় যে তিনি পরিবারের অভ্যন্তরে বর্ণনাকারীর মনের আবেগকে সমর্থন করেন এবং তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কিছুটা সন্দেহও প্রকাশ করেন যে বর্ণনাকারী ফ্রিম্যাসনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কি না।

Mrs. Mercer (মিসেস মারসার):
মিসেস মারসার হলো একজন বয়স্ক মহিলা, যিনি মাঝে মাঝে বর্ণনাকারীর বাড়িতে আসেন। তিনি একজন মৃত বন্ধকী ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তার চরিত্রটি সামাজিক জীবনের এক সাধারণ দিককে তুলে ধরে, যেখানে বয়স্করা ঘরোয়া আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকেন। গল্পে তিনি আসেন বর্ণনাকারীর চাচাকে কিছু জিনিসপত্র দিয়ে যাওয়ার জন্য, যা গল্পের মূল স্রোতের একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দিক।

Priest (পুরোহিত):
গল্পের শুরুর অংশে পুরোহিতের উল্লেখ আছে, যিনি বর্ণনাকারীর চাচার আগে সেই বাড়িতে বাস করতেন। পুরোহিতের রেখে যাওয়া কিছু বই ও আসবাবপত্র বর্ণনাকারীর জীবনের এক নিঃশব্দ কিন্তু গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি দয়ালু মানুষ ছিলেন, যিনি তার সব টাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে দান করে গিয়েছিলেন এবং তার আসবাবপত্র বোনকে দিয়ে যান। তার চরিত্রটি গল্পের পটভূমিতে এক ধরণের পবিত্রতার অনুভূতি যোগ করে।

Bangla Story Insight

শুরু

উত্তর রিচমন্ড স্ট্রিট ছিল একটি শান্ত রাস্তা, যেখানে ক্রিশ্চিয়ান ব্রাদার্স স্কুল থেকে ছুটির সময় ছেলেরা মুক্ত হত। রাস্তার এক প্রান্তে একটি পুরোনো, পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল, যেটি তার চারপাশের অন্য বাড়ি থেকে আলাদা ছিল। অন্য বাড়িগুলোর অচলিত ভাব দেখে বোঝা যেত যে সেগুলোতে মানুষ বাস করত।

এই গল্পের বর্ণনাকারী ও তার পরিবার এই বাড়িতে বাস করছিলেন, এবং বাড়িটির আগে একজন পুরোহিত বাস করতেন, যিনি একা মারা গেছেন। বর্ণনাকারী জানায় যে বাড়ির প্রতিটি ঘরে বন্ধ বায়ু ছিল, এবং ভাঙা কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। বর্ণনাকারী পুরোহিতের কিছু পুরোনো বই পায়, এবং সেই বইগুলোর মধ্যে The Memoirs of Vidocq তাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে।

শৈশবের চিত্র

এই ছোট গল্পের মূল চরিত্র একটি কিশোর ছেলে, যিনি নিজের ছোট জগতে হারিয়ে যায়। শীতকালের ছোট দিনগুলোতে সন্ধ্যা নামার আগে তাদের খেলার সুযোগ ছিল। তারা ঘরের পেছনের অন্ধকার গলিতে খেলত, যেখানে কাচা বুনো বাতাস তাদের দেহে আঘাত করত। তারা বুনো উদ্যানের মধ্য দিয়ে ছুটে যেত, যেখানে বৃষ্টির ধারা পড়ে অদ্ভুত এক পরিবেশ তৈরি করত।

বর্ণনাকারী তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলে, কিন্তু তার আসল মনোযোগ ছিল তার প্রতিবেশী মেয়েটির প্রতি। মেয়েটি, যাকে গল্পের বর্ণনাকারী “ম্যানগানের বোন” নামে উল্লেখ করে, তার জীবনে এক অদ্ভুত আবেশ হয়ে দাঁড়ায়। বর্ণনাকারী প্রতি সকালে তার দরজা দেখতে দেখতে শুয়ে থাকে, এবং যখনই মেয়েটি দরজার বাইরে আসে, তার হৃদয় নাচতে থাকে।

আবেগের প্রকাশ

এখানে বর্ণনাকারীর আবেগ ধীরে ধীরে গভীর হয়। সে জানায়, মেয়েটির শরীরের প্রতিটি ক্ষুদ্র প্রতিফলন, তার কথা বলার ভঙ্গি, তার চুলের নড়াচড়া — সবকিছুই তার মনে একটি অমোঘ প্রেমের অনুভূতি জাগায়। যদিও সে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার জন্য সংকোচ বোধ করে, তবুও তার প্রতি একটি তীব্র আকর্ষণ জন্ম নেয়। এই আকর্ষণ তাকে বিভ্রান্ত করে, কিন্তু সে তার আবেগকে অগ্রাহ্য করতে পারে না।

আরাবি মেলার প্রেক্ষাপট

একদিন মেয়েটি বর্ণনাকারীকে আরাবি মেলায় যাওয়ার কথা বলে। মেয়েটি জানায় যে সে যেতে পারবে না, এবং এতে বর্ণনাকারী নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে ফেলে যে সে মেলায় যাবে এবং তার জন্য কিছু নিয়ে আসবে।

এই চিন্তা তাকে উদ্দীপিত করে। মেলায় যাওয়ার প্রতিশ্রুতি তার মনে অদ্ভুত এক উত্তেজনার সৃষ্টি করে। তবে তার পারিপার্শ্বিকের সবকিছুই এখন তাকে বিরক্তিকর মনে হয়। স্কুলের কাজ, পড়াশোনা, তার রুটিন জীবনের দায়িত্ব — সবই তার জন্য আর সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

যাত্রার বাধা

মেলার দিন এলে বর্ণনাকারীর অসহায়তা বাড়তে থাকে। তার মনোবাসনা পূরণে একের পর এক বাধা আসে। সে যখন তার চাচাকে মেলায় যাওয়ার কথা মনে করায়, তখন চাচা প্রথমে তা ভুলে যায় এবং পরে দেরি করে বাড়ি ফিরে। ফলে সে মেলায় যাওয়ার সুযোগ প্রায় হারিয়ে ফেলে। তার মনে আশঙ্কা দেখা দেয় যে, সে হয়তো মেলায় পৌঁছাতে পারবে না।

আরাবি মেলায় যাওয়া

অবশেষে বর্ণনাকারী মেলায় পৌঁছায়, কিন্তু তখন মেলা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এবং আলো ম্লান হয়ে আসছে। একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সে কিছু জিনিসপত্র দেখে, কিন্তু কোনো কিছু কেনার জন্য তার ইচ্ছা চলে যায়। দোকানদার মেয়েটি তাকে ক্রেতা হিসেবে গুরুত্ব দেয় না, বরং তার প্রতি দায়সারা মনোভাব দেখায়।

গল্পের শেষে আত্মজ্ঞান

গল্পের শেষ পর্যায়ে বর্ণনাকারীর অনুভূতি এক বিষণ্ণ আত্মজ্ঞান নিয়ে শেষ হয়। সে বুঝতে পারে যে তার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা আসলে ভিত্তিহীন ছিল। মেলায় তার যাওয়া, মেয়েটির প্রতি তার আবেগ — সবকিছুই এক শূন্যতায় এসে মিলে। তার চোখে ক্রোধ ও হতাশার অশ্রু জমে, কারণ সে বুঝতে পারে যে তার আকাঙ্ক্ষাগুলো অবাস্তব ছিল, এবং সে শুধু নিজেকে ভোলানোর চেষ্টা করছিল।


গল্পের বিশ্লেষণ

গল্পটি মূলত কিশোর মনের আবেগ ও বাস্তবতার সংঘর্ষকে প্রকাশ করে। কিশোর বয়সে প্রেমের অনুভূতি, স্বপ্ন, এবং বাস্তব জীবনের কঠিন বাস্তবতা—এইসব বিষয়কে কেন্দ্র করে “Araby” গল্পটি আবর্তিত হয়েছে। বর্ণনাকারী মেলায় গিয়ে যে অভিজ্ঞতা লাভ করে, তা তার কিশোর মনের অপ্রাপ্তি ও ক্রমাগত হতাশার প্রতীক।

কাহিনীর মূল ভাব

গল্পটি শেষে এসে বর্ণনাকারী যখন মেলায় হতাশ হয়ে ফিরে আসে, তখন তার কিশোর মনের সরলতা ধীরে ধীরে এক জটিল বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। সেই মুহূর্তে তার যে আত্মজ্ঞান জাগ্রত হয়, তা কিশোর বয়সের স্বপ্ন ও বাস্তব জীবনের মাঝে এক গভীর ব্যবধানকে প্রতিফলিত করে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

Araby (অ্যারাবি):
Araby হলো ১৮৯৪ সালের ১৪ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ডাবলিনে অনুষ্ঠিত একটি মেলা। এই মেলা গল্পের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে বর্ণনাকারী তার ভালোবাসার মেয়েটির জন্য কিছু কেনার আশায় যায়। এই মেলায় যাওয়া গল্পের মূল প্লটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে বর্ণনাকারী তার স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার পার্থক্য অনুভব করে।

Semi-autobiographical (আত্মজীবনীমূলক অংশ):
গল্পটি James Joyce এর নিজের জীবনের কিছু অংশের উপর ভিত্তি করে লেখা, যখন তিনি ১২ বছর বয়সে ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি তার বন্ধুর বড় বোনের প্রতি প্রেমানুভূতি পোষণ করেছিলেন, যা গল্পের মূল চরিত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও গল্পে উল্লেখিত স্থান যেমন “North Richmond Street” এবং “The Christian Brothers School” জেমস জয়েসের শৈশবের সঙ্গে জড়িত। তবে গল্পের বাকিটা কাল্পনিক।

Priest’s Room-এর তিনটি বই (পুরোহিতের ঘরে থাকা তিনটি বই):
পুরোহিতের ঘরে তিনটি বই পাওয়া যায়:
১. The Abbot – লেখক Walter Scott,
২. The Devout Communicant, এবং
৩. The Memoirs of Vidocq
বর্ণনাকারী শেষের বইটি বেশি পছন্দ করে, কারণ এর পাতা হলুদ হয়ে গেছে এবং এটি তাকে কিছুটা রহস্যময় এবং পুরোনো অনুভূতি দেয়। এই বইগুলো গল্পের পটভূমিতে কিছু অতীত স্মৃতি এবং মানসিকতার ছাপ রেখে যায়।

The Arab’s Farewell to his Steed (দ্য অ্যারাব’স ফেয়ারওয়েল টু হিজ স্টিড):
এটি একটি কবিতা, যা Caroline Norton লিখেছেন। এই কবিতাটি বর্ণনাকারীর মানসিকতা এবং আবেগকে প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে, কারণ এটি বিদায় ও ত্যাগের এক ধরনের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

Free Mason (ফ্রি ম্যাসন):
Free Mason হলো একটি গোপন সংগঠন, যা পুরোহিত বা ধর্মীয় সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। গল্পের চরিত্রগুলো কখনও কখনও এই সংগঠন সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে, বিশেষ করে বর্ণনাকারীর চাচী, যিনি মনে করেন যে বর্ণনাকারী হয়তো Free Mason এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

Irony (বিদ্রূপ):
গল্পে Irony বা বিদ্রূপ একটি প্রধান থিম। বিদ্রূপ হলো প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে অসঙ্গতি। গল্পে বর্ণনাকারী আশা করে যে সে Mangan’s sister এর জন্য কিছু উপহার আনবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে তা করতে পারে না। এই বিদ্রূপ তার স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার প্রতীক।

Stream of Consciousness (চেতনাপ্রবাহ):
Stream of Consciousness হলো বর্ণনাকারীর মনের গভীরতম চিন্তা ও অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার একটি শৈলী। গল্পে, বর্ণনাকারীর চেতনা এবং তার অবচেতন ভাবনা প্রবাহিত হয়, যা তার অভ্যন্তরীণ আবেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং যন্ত্রণা ফুটিয়ে তোলে।

Epiphany (উজ্জ্বল উদ্ভাস বা উপলব্ধি):
Epiphany হলো হঠাৎ করে কোনো সত্য বা বাস্তবতা উপলব্ধির মুহূর্ত। গল্পের শেষে বর্ণনাকারী এমন একটি সত্য উপলব্ধি করে যে তার প্রেমের আকাঙ্ক্ষা এবং বাস্তবতার মধ্যে গভীর পার্থক্য রয়েছে। এই উপলব্ধি গল্পের সমাপ্তি এবং বর্ণনাকারীর অভিজ্ঞতার একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

থিমস (Themes)

Growing Up (বড় হয়ে ওঠা):
গল্পটি এক কিশোর ছেলের বেড়ে ওঠার কাহিনি। যখন সে একটি মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তার জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। সে উপলব্ধি করে যে, জীবন ততটা সহজ নয় যতটা সে আগে ভাবত। মেয়েটির প্রতি তার ভালোবাসা তাকে বাস্তবতার সঙ্গে মুখোমুখি করে দেয় এবং সে বুঝতে পারে যে জীবনে অনেক জটিলতা রয়েছে।

Daydreaming and Reality (স্বপ্ন দেখা এবং বাস্তবতা):
ছেলেটি তার কল্পনায় একটি রূপকথার মত জায়গা, Araby, ভাবতে থাকে, যেখানে সে মেয়েটিকে মুগ্ধ করবে। কিন্তু যখন সে সত্যিই Araby মেলায় যায়, তখন সেটি তার কল্পনার মতো নয়, বরং একটি সাধারণ বাজার। তার স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে এই বড় ফারাক তাকে হতাশ করে।

Finding Out Things Aren’t Always as They Seem (সবকিছু যেমন দেখায় তেমন নয় তা বুঝতে পারা):
গল্পে ছেলেটি শেখে যে, সে যা আশা করে আর যা পায়, তার মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। জীবন সবসময় যেমন আমরা কল্পনা করি তেমন হয় না। এটি আমাদের শেখায় যে, কখনও কখনও আমরা যা আশা করি, তা বাস্তবে আসলে ভিন্ন হতে পারে।

Words and Meanings (শব্দ এবং তাদের অর্থ):
Araby শব্দটি শোনার পর মনে হয় এটি যেন এক দুরদুরান্তের বিশেষ জায়গা। কিন্তু গল্পটি দেখায় যে, কেবলমাত্র শব্দ বা ধারণাগুলোই চমকপ্রদ হতে পারে, বাস্তবতা তা সবসময় হয় না। কখনও কখনও আমাদের কল্পনা এবং প্রত্যাশা বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনা, যা গল্পের প্রধান থিমগুলোর একটি।

Harsh Times and Feeling Stuck (কঠিন সময় এবং আটকে যাওয়া অনুভূতি):
ছেলেটির পরিবার এবং আশেপাশের এলাকা সংগ্রামের মধ্যে রয়েছে। এটি জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে অনেক মানুষই বাস্তবে সংগ্রামের মুখোমুখি হয়। গল্পটি দেখায় যে, কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবর্তন করা সহজ নয় এবং জীবন আটকে যায়।

Feeling Alone (একাকীত্ব অনুভব করা):
গল্পের ছেলেটি তার অনুভূতিগুলো নিজের মধ্যে রেখে দেয়, যার কারণে সে একাকী অনুভব করে। যখন সে Araby মেলায় যায়, তখনও সে একাই যায়। এই একাকীত্ব তার জীবন এবং মনের গভীর অসন্তোষ এবং একাকীত্বের প্রতীক, যা গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Big Realizations (বড় উপলব্ধি):
গল্পের শেষে ছেলেটি হঠাৎ করে জীবনের কিছু সত্য উপলব্ধি করে। এটি একটি “Epiphany” বা হঠাৎ সত্য উপলব্ধির মুহূর্ত হিসেবে পরিচিত। জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হঠাৎ করেই আমাদের বোধগম্য হয়, যা গল্পের একটি প্রধান থিম।

English Summary

“Araby” is a short story from Dubliners, a collection of stories by James Joyce that depict everyday life in Dublin. The story focuses on a young unnamed boy, who narrates his experience of growing up and discovering the harsh realities of life.

The boy lives in a gloomy house on North Richmond Street, which mirrors the dull and stagnant atmosphere of his neighborhood. His house, once inhabited by a priest who left behind religious books, is filled with a sense of decay. The boy spends his days playing with his friends on the street, but his thoughts are dominated by his growing affection for Mangan’s sister, a girl who lives next door. Though they never have a proper conversation, the boy becomes infatuated with her, watching her from a distance and fantasizing about her.

One day, Mangan’s sister speaks to the boy for the first time. She mentions that she cannot attend the Araby, a grand bazaar in Dublin, because she has other commitments. Hearing this, the boy eagerly promises to bring her a gift from the bazaar, seeing this as a chance to impress her. This encounter ignites his imagination even more, and he becomes obsessed with the idea of the bazaar as a mystical, exotic place where he can win the girl’s affection. His feelings become intertwined with his religious fervor, as he idolizes her almost as if she were a holy figure.

As the day of the bazaar approaches, the boy becomes increasingly anxious. However, on the day he is supposed to go, his uncle arrives home late. The boy waits impatiently for his uncle to return, feeling both frustrated and eager. When his uncle finally arrives, somewhat drunk and dismissive, he gives the boy some money and the boy rushes off to the bazaar.

By the time he arrives at Araby, the market is closing down, and most of the stalls are empty. The boy’s excitement quickly turns into disillusionment as he realizes that the bazaar is not the magical, faraway place he had imagined. It is just a regular market filled with everyday, unremarkable items. He listens to a conversation between a shopkeeper and two customers, which seems trivial and meaningless, further highlighting the gap between his fantasies and reality.

In the final moments of the story, the boy experiences an epiphany. He suddenly understands that his romantic ideals and dreams of Araby were misguided, and that he has been foolish in his obsession with Mangan’s sister. Overwhelmed by feelings of shame and disappointment, he realizes that the world is not as enchanting or fulfilling as he had hoped. His innocence is replaced by a more mature, though painful, awareness of the harsh realities of life.

The story ends with the boy standing in the dark, his dreams shattered. This moment marks his transition from childhood innocence to the complexities of adult life, symbolizing the loss of youthful idealism and the acceptance of reality. The theme of growing up, disillusionment, and the gap between fantasy and reality runs throughout the story, making “Araby” a powerful exploration of the human experience.

Author

  • James Joyce Better Contrast Public Domain, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=2379544

    জেমস অগাস্টিন অ্যালওসিয়াস জয়েস (২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ - ১৩ জানুয়ারি, ১৯৪১) ছিলেন একজন প্রখ্যাত আইরিশ লেখক, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসেবে পরিচিত, তিনি আধুনিকতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ "ইউলিসিস" (১৯২২), যেখানে হোমারের "ওডিসি"র বিভিন্ন পর্বকে বৈচিত্র্যময় সাহিত্যিক শৈলীতে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে "ডাবলিনারস" (১৯১৪) গল্প সংকলন, "অ্যা পোর্টেট অব দ্য আর্টিস্ট এস অ্যা ইয়াং ম্যান" (১৯১৬) এবং "ফিনেগ্যানস ওয়েক" (১৯৩৯) অন্তর্ভুক্ত। ডাবলিনের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া জয়েস তাঁর জীবনকাল অনেক সময় বিদেশে কাটিয়েছেন, তবে তাঁর সাহিত্যিক কাজগুলো সাধারণত ডাবলিন শহরকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং শত্রুর চরিত্রগুলো উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সৃষ্টিশীলতায় অভ্যন্তরীণ মনোলগ, শব্দকল্পনা এবং পারম্পরিক কাহিনী ও চরিত্র উন্নয়নের নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে। জয়েসের জীবনে আর্থিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং পারিবারিক টানাপোড়েন ছিল, যা তাঁর লেখার উপজীব্য। ১৯৪১ সালে সুইজারল্যান্ডে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু তাঁর রচনা আজও সাহিত্য জগতে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।

    View all posts

Leave a Comment